ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মহররম মাসের মর্যাদা ও করণীয়

প্রকাশনার সময়: ২৬ জুলাই ২০২৩, ০৮:০৮
ছবি : সংগৃহীত

চলছে ‘আল্লাহর মাস’ খ্যাত মহররমের প্রথম দশক। মহররম হলো আরবি চন্দ্রবছরের প্রথম মাস। এই মাসের গুরুত্ব ও মর্যাদা অনেক বেশি।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট সংরক্ষিত ফলকে (বছরে) মাসের সংখ্যা বারোটি- আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। সেগুলোর মধ্যে চারটি (মাস) সম্মানিত। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান; সুতরাং এর মধ্যে তোমরা (গুনাহ করার মাধ্যমে) নিজেদের প্রতি জুলুম করো না।’ (সুরা তাওবা : ৩৬)

আর সেই চারটি সম্মানিত মাস হলো জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব। (বুখারি, আস-সহিহ: ৩১৯৭) ‘মহররম’ মানে সম্মানিত। এই মাসের সম্মানের কারণেই এমন নামকরণ হয়েছে। আলিমগণের বড় একটি অংশের মতে, রমজানের পর সর্বশ্রেষ্ঠ মাস হলো মহররম। (ইমাম ইবনু রজব, লাত্বাইফুল মা‘আরিফ, পৃষ্ঠা: ৭৯-৮০)

সব মাসই আল্লাহর, তবে মহররম মাসকে হাদিসে বিশেষভাবে বলা হয়েছে শাহরুল্লাহ তথা ‘আল্লাহর মাস’। (মুসলিম, আস-সহিহ: ২৬৪৫)। মূলত মাসটির বিশেষ গুরুত্ব ও মর্যাদার কারণেই এই নামে অভিহিত করা হয়েছে। যেভাবে সকল মসজিদই আল্লাহর ঘর, কিন্তু কাবার বিশেষ গুরুত্ব ও মর্যাদা থাকায় এটিকে বিশেষভাবে বাইতুল্লাহ তথা ‘আল্লাহর ঘর’ বলা হয়। (ইমাম ইবনু রজব, লাত্বাইফুল মা‘আরিফ, পৃষ্ঠা: ৮১-৮২)

এই মাসের প্রধান আমল দুইটি। নফল রোজা রাখা ও বেশি বেশি তাওবাহ-ইস্তিগফার পাঠ করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘রমজানের পর সর্বোত্তম রোজা হলো আল্লাহর মাস মহররম (মাসের রোজা)।’ (মুসলিম, আস-সহিহ: ২৬৪৫)

সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রা.) সম্মানিত মাসগুলোতে রোজা রাখতেন। (ইমাম ইবনু আবি শাইবাহ, আল-মুসান্নাফ: ৪/২৯২; বর্ণনাটির সনদ সহিহ) শায়খ ইবনু উসাইমিন (রা.) বলেন, অনেক ফকিহ মহররমের সারা মাস ধরে রোজা রাখা উত্তম বলেছেন। তারা উপরে বর্ণিত সহিহ মুসলিমের হাদিসটিকে দলিল হিসেবে সামনে এনেছেন। তবে নবী (সা.) মহররমের সারা মাস রোজা রাখেননি।

মহররমের প্রথম দশ দিন রোজা রাখা যায়। কারণ সালাফগণ মহররমের প্রথম দশককে মর্যাদাপূর্ণ বলেছেন। তবে এ ব্যাপারে বিশুদ্ধ কোনো হাদিস আছে কি না তা আমাদের জানা নেই। তাছাড়া মহররমের প্রথম দশদিন জিলহজের প্রথম দশক বা রমজানের শেষ দশকের মতো নয়। তাই মহররম মাসের যে কয় দিন সুবিধা হয় রোজা রাখা উত্তম।

তবে মহররমের ১০ তারিখ আশুরার রোজা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে রাখা উচিত। আশুরার দিনে রোজা রাখার ফজিলত ও গুরুত্ব অনেক বেশি। এ ব্যাপারে বেশ কিছু হাদিস এসেছে।

তাছাড়া মহররম মাসে তাওবা ও ইস্তিগফারের আলাদা গুরুত্ব আছে; বিশেষত আশুরার দিন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘...এই মাসে এমন একটি দিন রয়েছে, যেদিন আল্লাহ তাআলা একটি সম্প্রদায়ের তাওবাহ কবুল করেছেন। (ভবিষ্যতে) অন্যান্য সম্প্রদায়ের তাওবাহ কবুল করবেন।’ (তিরমিজি, আস-সুনান: ৭৪১; আহমাদ, আল-মুসনাদ: ১৩২২; হাদিসটির সনদ দুর্বল)

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ