ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নারীরা জুমার নামাজ পড়তে পারবে কি?

প্রকাশনার সময়: ০৮ জুন ২০২৩, ১৮:৩৯

জুমার নামাজ ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিন শুক্রবারে প্রাপ্তবয়স্ক মুমিন-মুসলমান একটি নির্দিষ্ট সময়ে একই স্থানে একত্রিত হয়ে জামাতের সঙ্গে সে দিনের জোহরের নামাজের পরিবর্তে এই নামাজ ফরজরূপে আদায় করে, সে জন্য এই নামাজকে ‘জুমার নামাজ’বলা হয়।

সপ্তাহের সেরা দিন শুক্রবার তথা জুমার দিন। এটি পৃথিবীর অন্যতম তাৎপর্যবহ দিবস। জুমা নামে পবিত্র কুরআনে একটি স্বতন্ত্র সুরা নাজিল হয়েছে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘অতপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান কর ও আল্লাহকে অধিকরূপে স্মরণ কর; যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা জুমা : ১০)

জুমার নামাজ পুরুষদের জন্য ফরজ; নারীদের জন্য নয়। তাই নারীরা বাড়িতে জুমার সময়ে যথা নিয়মে জোহরের নামাজ পড়বে। নবিজি (সা.)-এর হাদিসের দিকনির্দেশনাও এমনই। রাসুল (সা.) বলেছেন,

‌জুমার নামাজ প্রত্যেক মুসলমানের ওপর জামাতের সঙ্গে আদায় করা ওয়াজিব (অবশ্যক কর্তব্য)। কিন্তু তা চার প্রকার লোকের ওপর ওয়াজিব নয়। ১. ক্রীতদাস। ২. নারী। ৩. শিশু ও ৪. রুগ্ন ব্যক্তি।’ (আবু দাউদ ১০৬৭)

উপরোক্ত হাদিসের আলোকে এটা সুস্পষ্ট যে, নারীর জন্য জুমার নামাজ পড়া আবশ্যক নয়। তারা জুমার সময় জোহরের নামাজ আদায় করবে। তবে নারীরা বাড়ির সন্নিকটে অবস্থিত তাদের জন্য আলাদা নিরাপদ নামাজের ব্যবস্থা থাকে তবে এমন মসজিদে জুমা আদায় করতে পারবে। তারা সেখানে স্বামী বা মাহরাম পুরুষ (তথা পিতা, ভাই, সন্তান, দাদা, চাচা) এর সঙ্গে জুমা সমজিদে যায়, তাহলে সেখানে পুরুষের সঙ্গে আলাদা ব্যবস্থাপনায় একই সময়ে জুমার নামাজ পড়বে। যদিও নারীদের জন্য মসজিদে না গিয়ে বাড়িতে নামাজ পড়াই অধিক উত্তম।

নারীরা যদি জুমা মসজিদে যায় তবে তারা অবশ্যই পূর্ণ পর্দা সহকারে যাবে, পরপুরুষদের থেকে দূরে অবস্থান করবে এবং আতর-সুগন্ধি ব্যবহার করবে না। বাড়িতে শুধু নারীদের নিয়ে আলাদাভাবে জুমার নামাজ অথবা এককভাবে জুমার নামাজ বৈধ নয়।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ