ঢাকা, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১, ৩ রজব ১৪৪৬

কোটা অসম্পূর্ণ রেখেই হজ নিবন্ধন সম্পন্ন

প্রকাশনার সময়: ১২ এপ্রিল ২০২৩, ২০:২৭

দুই মাসে আট দফা হজের নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর পরও বাংলাদেশিদের জন্য সৌদি আরবের নির্ধারিত কোটা পূরণ হলো না। ফলে কোটা অসম্পূর্ণ রেখেই বুধবার (১২ এপ্রিল) ২০২৩ সালের হজ নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হয়েছে।

সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের হজ চুক্তি অনুযায়ী এবার এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার সুযোগ ছিল। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন।

সব মিলিয়ে এবার নিবন্ধন করেছেন এক লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০,০৩৫ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ৯ হাজার ৬৬০ জন হজে যাবেন। ফলে সব মিলিয়ে কোটার চেয়ে হজযাত্রীর সংখ্যা ৭,৫০৩ জন কম। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবছরের নিবন্ধিত হজযাত্রীদের বায়োমেট্রিক ভিসার আবেদন আগামী ১৬ থেকে ৩০ এপ্রিল ‍পর্যন্ত চলবে।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় যারা হজে যাবেন, তারা সব জেলার ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়, ঢাকার আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বায়তুল মোকাররম মসজিদ কমপ্লেক্সে ইসলামিক ফাউন্ডেশন অফিস, ঢাকার ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয় এবং আঁশকোনা হজ অফিসে বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। যেখানে তারা বায়োমেট্রিক ভিসার আবেদন করবেন সেখানে পাসপোর্ট জমা দিয়ে রশিদ বুঝে নিতে হবে।

অন্যদিকে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধনকারীরা নিজ নিজ এজেন্সির মাধ্যমে এবং হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ অফিসে বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রেও তাদের পাসপোর্ট জমা দিয়ে রশিদ নিতে হবে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এ বছরের হজ নিবন্ধন শুরু হয়েছিল। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার পরিস্থিতিতে এবার হজ প্যাকেজের খরচ দেড় থেকে দুই লাখ টাকা বেড়ে যাওয়ায় একাধিকবার সময় বাড়িয়েও হজের নির্ধারিত কোটা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছিল না।

প্রথমে এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করতে একজন বাংলাদেশিকে কমপক্ষে ৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা খরচ করতে হবে বলে জানানো হয়েছিল, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা বেশি। অন্যদিকে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে এ বছর ন্যূনতম খরচ ধরা হয়েছিল ৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় দেড় লাখ টাকা বেশি।

পরবর্তীতে এ বছরের সরকারি ও বেসরকারিভাবে হজ পালনে খরচ ১১,৭২৫ টাকা কমানো হয়। তখন সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ মূল্য ৬ লাখ ৭১ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যূনতম হজ প্যাকেজ মূল্য ৬ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।

নয়াশতাব্দী/জেডআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ