ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জুমার দিনের যে আমল নবীজির কাছে পৌঁছানো হয়

প্রকাশনার সময়: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৩৩

জুমার দিন সপ্তাহের সেরা দিন। এ দিনের ফজিলত অনেক। এ দিনে বিশেষ কিছু আমলে রয়েছে বহু সওয়াব। এ দিনে নবীজি (সা.) বিশেষ একটি আমল বেশি বেশি করার প্রতি তাগিদ দিয়েছেন। কারণ জুমার দিনের বিশেষ এ আমলটি তাঁর কাছে উপস্থাপন করা হবে বলে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন।

রাসুল (সা.) বলেন, ‘দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিনই সর্বোত্তম। এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এই দিনে শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে। এই দিনে সমস্ত সৃষ্টিকে বেহুশ করা হবে। অতএব তোমরা এই দিনে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করো। কেননা তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)

আরেক হাদিসে আছে, নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ জিবরাইল (আ.) এইমাত্র আল্লাহ তাআলার বাণী নিয়ে হাজির হয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পৃথিবীতে যখন কোনো মুসলমান আপনার ওপর একবার দরুদ পাঠ করে—আমি তার ওপর দশবার রহমত নাজিল করি এবং আমার সব ফেরেশতা তার জন্য দশবার ইস্তেগফার করে।’ (তারগিব, হাদিস : ৩/২৯৯)

এমন বহু আমল আছে যার নির্দেশনা শুধু নবীজিই দেননি; বরং কোরআনেও সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেস্তারা নবীর প্রতি সালাত (দরূদ) পাঠায়, হে মুমিনগণ! তোমরাও নবির জন্য সালাত (দরূদ) ও যথাযথভাবে সালাম জানাও।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৫৬)

দরুদ পড়ার সময় এই কথা মনে রাখতে হবে, আমি দরুদ পড়ছি আর ফেরেশতারা রাসুল (সা.)-এর কাছে গিয়ে বলছেন, ‘বাংলাদেশের অমুকের ছেলে অমুক আপনার ওপর দরুদ পাঠ করেছে।’ রাসুল (সা.)-এর কাছে আমার নাম উচ্চারিত হচ্ছে। তিনি আমার ওপর খুশি হচ্ছেন। আহ, আমাদের কি খুশ নসিব। সুতরাং দরুদ পাঠের সময় আমাদেরকে খুব যত্ন নিয়ে হৃদয়ের গভীর থেকে পাঠ করতে হবে।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ