ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

একই ব্যক্তি ইকামত দিয়ে নামাজ পড়লে হবে কি?

প্রকাশনার সময়: ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:৫৪

মুসলমানের ওপর নামাজ ফরজ। ঈমানের পরে সর্বোত্তম ইবাদাত হলো নামাজ। যারা নামাজ পড়বে না, তাদের জন্য শাস্তি নির্ধারিত। আল্লাহ বলেন, ‘অতপর তাদের পরে আসল পরবর্তী অপদার্থ লোকগুলো। তারা নামাজ নষ্ট করলো এবং কুপ্রবৃত্তির অনুবর্তী হলো। সুতরাং তারা অচিরেই পথভ্রষ্টতার শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে। কিন্তু তারা ব্যতীত, যারা তওবা করেছে, বিশ্বাস স্থাপন করেছে। সুতরাং তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের ওপর কোনো জুলুম করা হবে না।’

নামাজের জন্য আজান দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা। পাশাপাশি নামাজের জন্য ইকামত দেওয়াও সুন্নত। আমাদের সমাজে সাধারণত মসজিদে আজান দেওয়ার জন্য ও নামাজ পড়ানোর জন্য আলাদা আলাদা ইমাম ও মুয়াজ্জিন নিযুক্ত করা থাকে। মুয়াজ্জিন একইসঙ্গে আজান ও ইকামত দেওয়ার দায়িত্ব পালন করেন। মুয়াজ্জিনের ইকামত দেওয়া শেষ হলেই ইমাম নামাজ পড়ানো শুরু করেন। কিন্তু অনেক সময় মুয়াজ্জিন থাকে না বা ইকামত দেওয়ার কেউ থাকে না ফলে ইমামকেই ইকামত দিতে হয়। এভাবে ইকামত দিয়ে নামাজ পড়লে অসুবিধা হবে কি না, অনেকে জানতে চান।

না কোনো অসুবিধা নেই। এতে নামাকের ক্ষতি হবে না। মসজিদে নির্ধারিত ইমাম-মুয়াজ্জিন না থাকলে একই ব্যক্তি আজান-ইকামত উভয়টি বলতে পারেন এবং ইমামতি করতে পারেন। এতে কোনো অসুবিধা নেই। তবে এলাকাবাসীর কর্তব্য হচ্ছে এ জন্য পৃথক লোক নির্ধারণ করা। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নির্দেশে বিলাল (রা.) আজান দিয়েছেন এবং আব্দুল্লাহ ইবনে জায়েদ (রা.) ইকামত দিয়েছেন। (আবু দাউদ : ৫১২)

নবীজি (সা.) থেকেও ইকামত দিয়ে নিজেই ইমামতি করার প্রমাণ পাওয়া যায়। উকবা ইবনে আমের জুহানি (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে এক সফরে ছিলাম। পথিমধ্যে রাত্রিযাপনের পর যখন ফজর উদিত হলো, তখন তিনি আজান দিলেন এবং ইকামত দিলেন। অতপর আমাকে তাঁর ডানপাশে দাঁড় করিয়ে তিনি নামাজে ইমামতি করলেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ৩৭০৮; ফাতহুল কাদির : ১/২২৩)

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ