আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে (স্ত্রী) সৃষ্টি করেছেন; আর (পৃথিবীতে) বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী।’ (সুরা নিসা : আয়াত ১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা জেন রেখ, তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের ওপর অধিকার আছে। আর তোমাদের স্ত্রীদেরও অধিকার আছে তোমাদের ওপর।’
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক খুব মধুর ও প্রশান্তিদায়ক। এই সম্পর্কের মাঝেও প্রায় সময় খুনসুটি লেগে থাকে। অনেক সময় স্ত্রী স্বামীর মানিব্যাগ বা পকেট থেকে অনুমতি ছাড়া টাকা নেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াও হয়। তাই অনুমতি ছাড়া স্বামীর টাকা স্ত্রীর জন্য খরচ করা শরিয়তে বৈধ কি না, এটা আমাদের জানা প্রয়োজন।
স্বামীর অনুমতি না থাকলে স্ত্রীর জন্য স্বামীকে না জানিয়ে তার টাকা-পয়সা ও সম্পদ খরচ করা বৈধ হবে না। আবু উমামা আল-বাহিলী ( রা.) বলেন, বিদায় হজের বছর আমি রাসুল ( সা.)-কে তার ভাষণে বলতে শুনেছি যে, স্বামীর ঘর থেকে তার পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো স্ত্রীলোক যেন কিছু খরচ না করে। প্রশ্ন করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল! খাবারও কি নয়? তিনি বললেন, খাবার তো আমাদের উত্তম সম্পদ। (তিরমিজি, ২১২০)
রাসুল ( সা.) আরও বলেছেন, কোনো নারীর জন্য তার স্বামীর অনুমতি ছাড়া কাউকে উপহার দেওয়া বৈধ নয় (নাসায়ি : ৫/৬৬)
তাই স্বামীর অনুমতি ছাড়া কোনো নারীর জন্য তার স্বামীর ঘর থেকে কিছু খরচ না করা উচিত।
তবে সম্পদের অপচয় না করে যদি সদকা বা দান করে, তাহলে স্ত্রী সওয়াব পাবে। পাশাপাশি স্বামীও পাবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, দান করতে গিয়ে যেন স্বামীর সম্পদ শেষ না হয়ে যায়। রাসুল ( সা.) বলেছেন, ‘যদি কোনো স্ত্রী ক্ষতি না করে বাড়ির খাবার থেকে দান করে, তাহলে সে তার দানের সওয়াব পাবে এবং তার স্বামী এ খাবার উপাজর্নের কারণে সওয়াব পাবে। আর সঞ্চয়কারীও সওয়াব পাবে। এদের কেউ অন্যের সওয়াবে কমতি করবে না। ’ (মুসলিম : ১৭০৬)
স্বামীর সঙ্গে যদি স্ত্রীর সমঝোতা থাকে এবং স্বামীর মৌন সমর্থন থাকে, তাহলে অনুমতি ছাড়া খরচ করতে পারবে। তবে স্বামী যদি রাগ করেন বা নিষেধ করেন, তাহলে তার সম্পদ খরচ বা দান-সদকা করা যাবে না।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ