তিরিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে আজ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। অর্থনৈতিক, ক্রীড়া -সাংস্কৃতিকসহ সকল ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এখন কেউ বাংলাদেশকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা কিংবা তাচ্ছিল্যের চোখে দেখার সাহস পায় না। তবুও কিছু মানুষ এদেশের নাড়ী নিয়ে টানাটানির অভ্যাসটা বদলাতে পারছে না। কারণ উপরে উঠবে এটা তো মেনে নেয়া যায় না তাছাড়া আমাদের মোড়লগিরিও থাকে না। ছলেবলে- কৌশলে আমাদের আধিপত্য ধরে রাখতে হবে নইলে আমরা গোলাম পাব কোথায়? সেজন্যই আমরা সময়ে সময়ে তাদের কারণে বিপথে চলে যাই। দেশ গড়ার প্রত্যয় থেকে দূরে সরে যাই।
আজ শ্রীলঙ্কার অবস্থা দেখে আমরা সবাই এখন বাংলাদেশের নাড়ী টেনে ধরার চেষ্টা করছি। কিন্তু কেন করছি তা নিজের চিন্তা ভাবনা থেকে বোঝার চেষ্টা করি না। আর কেনইবা করবো- এটা তো আমার দায়িত্ব নয়। যারা দায়িত্বে আছে তারাই দেখবেন আর না পারলে সরিয়ে দিতে পারব অর্থাৎ যেভাবেই হোক আমাদের আধিপত্য বজায় রাখতে হবেই। এটাই জাতি হিসেবে আমাদের দুঃখ। কই, সেদিন তো মনে হয়নি যমুনা সেতু তৈরি করলে আমাদের আর্থিক ঘাটতি হবে। আমাদের যমুনা সেতু চাই, বড় বড় হাইওয়ে চাই, পদ্মা সেতু চাই, ঢাকার যানজট মুক্ত করতে মেট্রোরেল চাই, শুধু চাই আর চাই। কই তখন তো বলি না টাকা পাব কোথায়?
আজ দেশে পদ্মা সেতু হয়েছে, যোগাযোগের ক্ষেত্রে এ প্রান্ত হতে অপর প্রান্ত পর্যন্ত হাইওয়ে হয়েছে, মেট্রোরেল হচ্ছে এবং শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন হয়তো তারা বলবে মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি। তাই আজ বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মত হবে কথাটি খুব জোরেসোরে ঢোল পেটানো হচ্ছে। আসলে আমরা কী চাই, আর কী পেলে সন্তুষ্টি হবো তা আমরা নিজেরাও জানি না। বিষয়টা এমন চিলে কান নিয়ে গেছে এখন চিলের পেছনে দৌড়াচ্ছি। পরিশেষে বলতে চাই, দেশটা আমাদেরই। তাই প্রতিহিংসা নয় বরং যার যার অবস্থান থেকে এদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা এবং সম্নান সমুন্নত রাখতে কাজ করে যাওয়া উচিৎ।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ