জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে আমরা মেয়েরাও প্রতিনিয়ত ঘরের বাইরে বের হই। গতিশীল জীবনে সময় বাঁচাতে ছোট-বড় সব ধরনের পরিবহনে আমাদেরও উঠতে হয়। লক্ষ করা যায়, আমরা মেয়েরা যখন বাসে উঠি, তখন নানারকম সমস্যার সৃষ্টি হয়। বাসে ওঠার সময় অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা দেয়। ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির সময় কোনো কোনো পরিবহনকর্মী অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। বাসের মধ্য দাঁড়িয়ে যাওয়ার সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। এমনকি আমরা যখন নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যা অর্জন করতে যাই তখনো রাস্তায় বখাটে ছেলেদের খপ্পরে পড়তে হয়। এমনকি আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কোথাও ঘুরতে গেলেও বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। আমরা শুনতে পাই, কর্মক্ষেত্রেও কোনো কোনো নারীকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। যদি এমন পরিস্থিতির অবসান না হয়, তাহলে আমরা মেয়েরা রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, সুফিয়া কামালের দেখানো পথে হাঁটব কীভাবে? আমরা তাদের মতো সমাজ, দেশ ও দেশের মানুষের জন্য হিতকর কাজে আত্মনিয়োগ করব কীভাবে? নারীরা যে কোনো স্থানে বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হলে তাৎক্ষণিকভাবে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া না হলে নারীর অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হবে, যা বলাই বাহল্য।
শারমিন ইসলাম রিমি শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ