ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাংলাদেশে প্লাস্টিক শিল্পের সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ

প্রকাশনার সময়: ১৭ নভেম্বর ২০২১, ১৮:২৩ | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২১, ১৯:২৩

প্লাস্টিক শিল্প এখন একটি সম্ভাবনার নাম। সাশ্রয়ী, সহজ ব্যবহারযোগ্য, কম ঝুঁকি, টেকসই ডিজাইন, দৃষ্টি নান্দনিকতার কারণে আধুনিক জীবনযাপনের সঙ্গী হয়ে বিশ্বে প্লাস্টিক সামগ্রী বিশেষ স্থান দখল করে আছে। দৈনন্দিন জীবনে চলতে যা যা লাগে, তার সবকিছু তৈরির পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পণ্যও তৈরি হচ্ছে প্লাস্টিক দিয়ে। বর্তমান বিশ্বে আসবাবপত্র থেকে শুরু করে অটোমোবাইল, মেডিসিন কিংবা রপ্তানিমুখী শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজসহ-এমন কোনো খাত নেই যেখানে প্লাস্টিকের ব্যবহার নেই। প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে নিত্যনতুন প্লাস্টিক পণ্যের চাহিদা। বড় অঙ্কের এই চাহিদা পূরণে ছোট পরিসরে হলেও এগিয়ে চলছে বাংলাদেশের প্লাস্টিক খাত। তৈরি হচ্ছে ফার্মাসিউটিক্যালের সব ধরনের প্রোডাক্ট। সিরিঞ্জ থেকে ক্যাপ এমনকি কভারসহ প্যাকেজিংও করা হচ্ছে প্লাস্টিক দিয়ে। ফুড প্যাকেজিংয়ের প্রায় সবই প্লাস্টিকের তৈরি। প্লাস্টিক পণ্যের বৈচিত্র্যময় উৎপাদনে বিশাল স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। এক সময়ের আমদানিনির্ভর এসব পণ্যের প্রায় সবই এখন দেশেই তৈরি হচ্ছে। যেখানে ছোট, বড় ও মাঝারি মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার কারখানায় কর্মসংস্থান হয়েছে কমপক্ষে ২০ লাখের উপরের মানুষের। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১১ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার আয় হয় এ খাত থেকে। আর বিগত পাঁচ বছরে অর্থাৎ ২০১২-১৭ অর্থবছর পর্যন্ত মোট রফতানি আয় হয়েছে ৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। বাংলাদেশের রফতানি নীতি ২০১৮-২০২১ এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারসম্পন্ন খাত হিসেবে প্লাস্টিক খাতকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্লাস্টিক খাতের রফতানি আয় হয় ১১৫.২৮ মিলিয়ন ডলার। ২০২০ অর্থবছরে যা ছিল ১০০.৫২ মিলিয়ন ডলার। প্লাস্টিক খাত থেকে বছরে হাজার কোটি টাকা আয় সম্ভব বলে বিভিন্ন বিশ্লেষণে প্রতীয়মান হচ্ছে।

রপ্তানি বা স্থানীয়ভাবে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রেডিমেড গার্মেন্টের পরেই এই ইন্ডাস্ট্রির ভূমিকা বলে মনে করা হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিকাশমান শিল্পখাত হচ্ছে প্লাস্টিক। প্রযুক্তি ও যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেশ পরিবর্তন ঘটেছে দেশের প্লাস্টিক পণ্য ও শিল্পে। ফলে অ্যালুমিনিয়াম, সিরামিক পণ্যকে পেছনে ফেলে এসব পণ্য খুব সহজেই দেশি ও বিদেশি ক্রেতাদের মন জয় করে নিচ্ছে। প্লাস্টিক সামগ্রী এখন মানবজীবনের নানা অনুষঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে পড়েছে। ব্যাপক হারে এর ব্যবহার ও জনপ্রিয়তা বাড়ছে। চাহিদার আলোকে তৈরি হচ্ছে পলি ব্যাগ, হাঙার, খেলনা, শো-পিস, দরজা-জানালা, চিকিৎসার সামগ্রী, ওষুধ, তেলের কন্টেইনার, রক্তের ব্যাগ, ইনজেকশন- সিরিঞ্জ, স্যালাইন ব্যাগ, কৃষি যন্ত্রপাতি, পানির ট্যাংক, পাইপ, গাড়ি ও সাইকেলের যন্ত্রাংশ, পোলট্রি ও মৎস্যসহ গবাদিপশুর খাবারের জার, পানির পট, জাল, বোল, মাছ ও ডিম রাখার ঝুড়ি, মুরগির ঝুড়ি, ভিডিও ক্যাসেট, কম্পিউটার প্রভৃতি।

অবাক হওয়ার কোনো কারণ নেই, প্লাস্টিক সামগ্রী দিয়ে এখন দেশে কাঠের বিকল্প ফার্নিচার, টেবিল-চেয়ার, ফার্নিচার থেকে শুরু করে গৃহসামগ্রী উৎপাদিত হচ্ছে। আরেকটি আশার কথা হলো, পৃথিবীব্যাপী কৃষি জমির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, গ্রিন হাউস নির্মাণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের ব্যবহার করা হচ্ছে। কৃষির ক্ষেত্রেও ব্যাপক ভূমিকা রাখছে প্লাস্টিক শিল্প। এর মধ্যে রয়েছে সেচ পাইপ, পলিথিন, ড্রামসিডার প্যাকেজিংসহ অনেক কিছুই। গ্যাস লাইনে লোহার পরিবর্তে প্লাস্টিক পাইপের ব্যবহার করে শত শত কোটি টাকা সাশ্রয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

আমরা যারা ব্যবহারের পর প্লাস্টিক সামগ্রী বা প্লাস্টিক বোতল রাস্তায় কিংবা ড্রেনে ফেলে দিই তারা কখনো ভেবেও দেখি না যে এসব সামগ্রীও মূল্যবান। দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানির তালিকায় প্লাস্টিক দিন দিন একটি পৃথক শিল্প খাত হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। দেখা গেছে, ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের পানির বোতল, ওষুধের কৌটা, খেলনাসহ বিভিন্ন প্লাস্টিক সামগ্রী এখন টোকাইদের নিকট আয়-রোজগারের প্রধান অবলম্বন। এ কারণেই হয়তোবা এই শিল্পটির সম্ভাবনা অনেকের দৃষ্টির আড়ালে। কিন্তু এই সাধারণ কাজটির গুরুত্ব আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে অসাধারণ ভূমিকায় অবতীর্ণ। বাংলাদেশ প্রতি বছর পরিত্যক্ত প্লাস্টিক সামগ্রী রপ্তানি করে আয় করছে কোটি কোটি টাকা।

বিশ্বে প্লাস্টিকের সম্ভাবনা নতুন কিছু নয়। দিনে দিনে নিত্যপ্রয়োজনীয় তালিকায় শক্ত অবস্থান করে নিয়েছে এই প্লাস্টিক শিল্প। বাংলাদেশের প্লাস্টিক শিল্পও পিছিয়ে নেই। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পর গত অর্থবছর (২০২০-২১) প্রায় ১১৫.৫৮ মিলিয়ন ডলারের টাকার প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যার মধ্যে পরিবেশ দূষণকারী হিসেবে পরিচিত প্লাস্টিক বর্জ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল অন্তত শতকোটি টাকা।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের প্লাস্টিক রপ্তানি ধীরে ধীরে বাড়ছে। সাম্প্রতিক বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে চীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশ থেকে প্লাস্টিক পণ্য আমদানি বাড়িয়েছে। ফলে বাংলাদেশের প্লাস্টিক শিল্পের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল। কারণ প্রতি বছর উৎপাদনের সাথে রপ্তানিও বাড়ছে। প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি দেশের অর্থনীতিতে এনে দিয়েছে নতুন মাত্রা। প্লাস্টিক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। পোশাক ও খাদ্যপণ্যের পরেই এ শিল্পের অবস্থান। জানা গেছে, বিশ্বের ৫৭টির বেশি দেশে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশ যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন এবং যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মালয়েশিয়ায়। এর বাইরে সার্কভুক্ত দেশ ভারত, শ্রীলঙ্কা ও নেপালেও যথেষ্ঠ পরিমাণ প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়। বর্তমানে বছরে মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে রপ্তানির পরিমাণ কয়েকশত বিলিয়নের পর্যায়ে পৌছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) মতে, প্রচ্ছন্ন ও সরাসরি রপ্তানিতে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার উপর প্লাস্টিক রপ্তানি হয়। গার্মেন্ট এক্সেসরিজ হিসেবে হ্যাঙ্গার, বোতাম, পলিব্যাগ, ফিল্ম ব্যাগ, ক্লিপ ইত্যাদি প্রধানত আমেরিকা, কানাডা ও রাশিয়ায় বছরে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকার ওপর প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এ ছাড়া আরও প্রায় ১৫০ কোটি টাকার ওপর প্লাস্টিকের খেলনা, ফার্নিচার, ক্রোকারিজ সামগ্রী সরাসরি রপ্তানি হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ৭৫ শতাংশ প্লাস্টিক পণ্য অন্যান্য পণ্যের সহজাত পণ্য হিসেবে রপ্তানি হচ্ছে। প্রতি বছর গড়ে শতকরা ২০ শতাংশ হারে প্লাস্টিকের উৎপাদন বেড়ে চলেছে। তাছাড়া প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ২৫৩০ ধরনের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদিত হয়ে থাকে।

বর্তমানে প্লাস্টিক খাত সরকারের থ্রাস্ট সেক্টর হিসেবে কার্যক্রম চালাচ্ছে। অভ্যন্তরীণভাবে বর্তমানে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও বিপণন হচ্ছে। খাতটি সরকারের কোষাগারে প্রতি বছর আনুমানিক প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব দিয়ে থাকে। রফতানি হয় প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের মতো। প্লাস্টিক খাতে এরই মধ্যে প্রায় ২০ লক্ষাধিক লোকের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি প্রতি বছর রফতানিও বাড়ছে। এ খাতের প্রবৃদ্ধির হার গড়ে ২০ শতাংশের বেশি। বলা হচ্ছে কয়েকটি সমস্যার সমাধান হলে এ শিল্প আগামী এক দশকে দ্বিতীয় একক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত হিসেবে ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।

বিভিন্ন তথ্যে জানা গেছে, ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১৩০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হচ্ছে এবং এর ৭০ শতাংশ (প্রায় ৯০ টন) রিসাইকেল হয়ে নতুন পণ্য হিসেবে বাজারে ফিরে আসছে। রিসাইক্লিংয়ের ফলে বর্তমানে প্রতি বছর ডিসিসি এলাকায় ০.৫ কোটি ১০ লাখ ডলার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে। ফলে প্লাস্টিক আমদানি হ্রাস পাওয়া ছাড়াও মহানগরীতে ৩০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। প্লাস্টিক রিসাইক্লিং করার ফলে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ ও পরিবহনের ব্যয় হ্রাস পাওয়ায় ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রতি বছর ৩ কেটি ৮ লাখ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে এবং প্লাস্টিক রিসাইক্লিং দুই-তৃতীয়াংশ জ্বালানি সাশ্রয়, পরিবেশদূষণ এবং পানি ব্যবহার প্রায় ৯০ শতাংশ হ্রাস করেছে। এমন সম্ভাবনাময় পরিস্থিতি বাংলাদেশের সকল বিভাগে সকল নগর এলাকায় চোখে পড়ে।

পরিবেশের ওপর প্লাস্টিক পণ্যের নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনা করে পুনরায় তা ব্যবহার উপযোগী করার প্রক্রিয়া জোরদারে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার প্রণয়ণের পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের। বিভিন্ন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি আয় ২০২১ সালের মধ্যে যে ১০০ কোটি ডলারে উন্নীত হওয়ার কথা ছিল তা পূরণ হয়েছে। এখন গ্রামাঞ্চলেও ব্যাপকভাবে ব্যবহূত হচ্ছে প্লাস্টিক পণ্য। প্লাস্টিক শিল্পের অভ্যন্তরীণ বাজারও বেশ বড় হয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে শতভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধা রয়েছে। এসব দেশে প্লাস্টিক রপ্তানির দিকে বেশি নজর দিলে এ শিল্পের সম্ভাবনা আরো অনেকগুণ বেড়ে যাবে।

উন্নত বাংলাদেশের রূপকল্পে বলা হয়েছে-ধারাবাহিকভাবে এ খাতে ১৫ শতাংশ হারে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে। ২০২৫ সালের আগেই এই খাতের ব্যবসা উদ্যোগ ক্ষেত্রে সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা দূর করার সর্বাতক চেষ্টা করতে হবে। প্লাস্টিক ও প্যাকেজিং শিল্পের বাজার ২০২৬ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা। আর ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা। ২০২৬ সালের মধ্যে ৫ লাখ নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। ১০ হাজার জনকে চাহিদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা। ২০২৬ সালের মধ্যে মোট জিডিপিতে প্লাস্টিকের অবদান ন্যূনতম ২ শতাংশ বৃদ্ধি করা। এ ছাড়া প্লাস্টিক সামগ্রীর ৫৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অর্জন ০.৬%। দেশে ক্রমেই বাড়ছে প্লাস্টিক পণ্যের বহুমুখী ব্যবহার। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হচ্ছে কোটি কোটি টাকার প্লাস্টিক পণ্য।

খাতসংশ্লিষ্টদের দাবি, বাংলাদেশে তৈরি আধুনিক প্লাস্টিক পণ্য সামগ্রীগুলো আন্তর্জাতিক মানের। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই প্লাস্টিকের ব্যবহার বাড়ছে বাংলাদেশে। বর্তমানে বাংলাদেশী প্লাস্টিক পণ্যের বাজারের আকার ২ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। ২০৩০ সাল নাগাদ এ বাজারের আকার হবে ১০ বিলিয়ন ডলার। তাই প্লাস্টিক খাতকে আরো এগিয়ে নিতে বাজেটে যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক ছাড় নিত্যব্যবহার্য প্লাস্টিকের তৈজসপত্রে ভ্যাট প্রত্যাহারের, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ, উন্নত প্রযুক্তি থেকে শুরু করে শিল্পটির সার্বিক সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নীতিমালাটির প্রণোয়ন ও তদারকি জরুরি।

লেখক: রবিউল ইসলাম, জাককানইবি।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ