সুস্থতা কিংবা অসুস্থতা যেন আপন মায়ের পেটের ভাইবোন। যিনি আজ সুস্থ কাল তিনি অসুস্থ হতে পারে, এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। অসুস্থ মানুষরাই কেবল ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে পোহাতে হয় নানা ঝামেলা, অধিকাংশ ডাক্তারদের হাতের লেখা ফার্মেসি দোকানদার পর্যন্ত বুঝতে পারে না।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য মতে, দেশে প্রায়োগিক সাক্ষরতা সম্পন্ন মানুষের হার ৬২ দশমিক ৯২, যারা পড়তে পারেন, লিখতে পারেন এবং বুঝতে পারেন। একজন এমবিবিএস ডাক্তারের হাতের লেখা অন্য আর একজন এমবিবিএস ডাক্তার বুঝবে সেটা যত অস্পষ্ট হোক এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু সকল ফার্মেসি দোকানদার যারা আছে, তারা সবাই কিন্তু উচ্চ-শিক্ষিত কিংবা মেডিকেল স্টুডেন্ট নয়। অনেক সময় তারাও হিমশিম খেয়ে যায় ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশন দেখলে।
ফার্মেসি দোকানদাররা যদি ভুলক্রমে অন্য ওষুধ দিয়ে ফেলে, তাহলে হতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। অথচ উচিত ছিল, ডাক্তাররা যখন প্রেসক্রিপশন লিখবে সুন্দর এবং স্পষ্টভাবে লেখা যাতে করে একজন সাধারণ মানুষও পড়তে পারে।
যদি স্পষ্ট প্রেসক্রিপশন না লেখা হয় তাহলে প্রতিনিয়ত আমাদের মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন সহ অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিংবা মৃত্যুবরণও করতে পারে। কারণ, একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না।
তাই, যে সমস্ত ডাক্তাররা মানব সেবায় নিয়োজিত আছেন, আপনাদের প্রতি অনুরোধ আপনারা সুন্দর এবং সাবলীল ভাষায় প্রেসক্রিপশন করুন। এবং কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে বিশেষভাবে নজর রাখার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
মো. আব্দুল করিম গাজী, শিক্ষার্থী, (স্নাতকোত্তর) হাদিস বিভাগ, আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদ্রাসা, ফেনী।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ