জন্মদিন মানেই একটি মজার দিন। আর সেই জন্মদিন যদি হয় তরুণ বা কিশোর বয়সি কোনো বন্ধুর, তাহলে তো আনন্দ উৎসবের কোনো কমতি থাকে না। চিৎকার-চেঁচামেচি, গান-বাজনা এসব ছাড়া যেন জন্মদিন পালন হয় না। কিন্তু বর্তমানে এসব আর দেখা যায় না।
এখন কারও জন্মদিন হলে তাকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয় কাঁচা ডিম কাদা, মাটি, আবর্জনা, আটা-ময়দা ও রং মাখিয়ে জন্মদিন পালন করা হয়। এতে অনেকের বড় ধরনের ক্ষতি হয়; কয়েক দিন আগে গণমাধ্যমে দেখলাম রিয়াজ নামে একটি ছেলে তার বাসা নোয়াখালী সেও এই অন্যায়ের শিকার। তারই নিজ জন্মদিনের দিনে তার বন্ধুরা তাকে এক জায়গায় দাঁড় করিয়ে কাঁচা ডিম তার শরীরে মাখার জন্য ডিম ভাঙতেই ডিমের খোসা তার চোখে গিয়ে লাগে; এখন সেই চোখ প্রায় নষ্ট হবার উপক্রম।
শুধু তাই নয়, অনেক সময় জন্মদিন উপলক্ষ্যে দুষ্টমি করে বন্ধু-বান্ধবীর মুখ কেকের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয়, অনেক সময় কেকের উচ্চতা বেশি কিংবা ওজন বেশি হওয়ায় কেকের মধ্যে সরু কাঠি বসানো হয় যাতে ভারসাম্য সঠিক থাকে; এমন অবস্থায় যে কোনো দুর্ঘটনা হতে পারে এমনকি এসব সরু কাঠি চোখ নষ্টও করে দিতে পারে! তাই এসব নোংরামি বন্ধ করা উচিত। এ বিষয়ে নিজেও সাবধান হোন অন্যকেও সাবধান করুন।
আল-আমিন আহমেদ
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ