কক্সবাজার শহরের বাদশাঘোনায় ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের মাটিচাপায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ স্বামী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাদশাঘোনা-খাজামনজিল এলাকায় এ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র হেলাল উদ্দিন কবির। নিহতরা হলেন— হাফেজ মো. আনোয়ার হোসেন (২৩) ও সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মায়মুনা আক্তার (১৮)।
স্থানীয়রা জানান, মায়মুনা ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে ভারী বর্ষণ হচ্ছিল। পাহাড়ের পাদদেশে তাদের বাড়ি ছিল। পাহাড় ধসে তাদের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
আনোয়ার হোসেনের মা মমতাজ বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে বাদশাঘোনা ওমর ফারুক জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিল। রাতে যখন ভারী বৃষ্টি শুরু হয়, তখন আমি পাশে আমার বাড়িতে চলে আসার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু সমস্যা হবে না বলে ঘুমানোর জন্য চলে যায়।’
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই হূদয়বিদারক। ভোরের দিকে আমরা কান্নাকাটি শুনে ছুটে যাই। গিয়ে মাটির নিচে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ দেখতে পাই। এলাকার লোকজন ডেকে আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে খবর দিই।’
নিহতের চাচা আবদুল্লাহ গণমাধ্যমকে অভিযোগ করে বলেন, ‘পাহাড় ধসের বিষয়টি জানার পর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ও কক্সবাজার দমকল বাহিনীকে ঘণ্টা খানেক কল দেয়া হয়। কিন্তু তারা সাড়া না দেয়ায় স্থানীয়রা যে যার মতো মাটি সরান। চালের টিন সরাতে গিয়ে এক জনের হাত ও আরেক জনের পা কেটে গেছে। পরে দমকল বাহিনীর সদস্যরা হাসপাতালে এসে লাশ ও ঘটনাস্থলের ছবি নিয়ে গেছে।’ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ‘দু’জনকে মাটিচাপা থেকে উদ্ধার করে জরুরী বিভাগে আনা হয়। হাসপাতালে পৌঁছার আগেই তারা মারা যান। লাশগুলো মর্গে রয়েছে।’ গত বুধবার কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক পাহাড় ধসের স্থানীয় দু’জনসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ