সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। হাসপাতালে দগ্ধ মানুষের আর্তনাদ। সংকটময় মুহূর্তে রক্তদাতা ভীষণ প্রয়োজন। আগুনের পাহাড়ে নীরবে কান্না করছে সবুজের সমারোহ বৃক্ষরাজি। মানুষের আর্তনাদ আমরা শুনে ছোটাছুটি করি তাদের বাঁচাতে কিন্তু পরিবেশের আর্তনাদে কেন এগিয়ে যাই না? তাহলে আমরা কি নিষ্ঠুর জাতি।
পরিবেশ দূষণে বিপন্ন পৃথিবী, বাঁচার দায়িত্ব কার?
গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে রুমের মধ্যে বসে আছেন, হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে আমরা সাধারণত চিল্লে উঠি। উফ! গরম। গরমে জীবন হাঁসফাঁস। ক’দিন আগে নওগাঁ জেলা আতলাদীঘি জাতীয় উদ্যানে প্রাণী সংগ্রহ করতে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। মাথার ওপর সূর্য, এত বেশি তাপমাত্রা মনে হয় গা ঝলসে যাচ্ছে। আতলাদীঘিতে যেসব দেশীয় মাছ থাকার কথা তা বিলুপ্ত হয়েছে এবং দীঘির দু’ধারে যে গাছগুলো ছিল তা কেটে ফেলা হয়েছে। মনে হচ্ছে ধু-ধু মাঠ সবুজের সমারোহ বৃক্ষরাজি কমে গিয়েছে। দিন দিন পরিবেশের তাপমাত্রা কেন বেড়ে যাচ্ছে? কেন দেশীয় মাছগুলো হারিয়ে যাচ্ছে, আমরা কি কখনো ভেবে দেখি। পরিবেশ বুঝতে কী বুঝায়?
আমাদের চারপাশে পাড়া, মহল্লা, প্রতিবেশী, গ্রাম, শহর, মাটি, পানি, বায়ু, আকাশ, গাছপালা, পশুপাখি জীবজন্তু, সূর্যের আলো ইত্যাদি নিয়ে গঠিত হয় পরিবেশ। তবে পরিবেশের ওই উপাদানগুলোর মধ্যে প্রধান উপাদান হলো তিনটি মাটি, পানি ও বায়ু। একবার ভেবে দেখুন তো আমাদের ওই উপাদানগুলো যদি পৃথিবীতে না থাকত, তাহলে কি পৃথিবীতে আমরা বসবাস করতে পারতাম? উত্তর নিঃসন্দেহে আপনাদের সবার জানা আছে কিন্তু প্রশ্ন পৃথিবীর ওই উপাদানগুলো যদি ধীরে ধীরে দূষিত কিংবা ধ্বংস করার কাজে ব্যস্ত থাকি তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা কি সুস্থ পৃথিবী রেখে যেতে পারব?
পৃথিবী নামক গ্রহ বাদে অন্য কোনো গ্রহে মানুষের বসবাসের তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ভবিষ্যৎতে বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে মঙ্গল গ্রহে বসবাস করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে আপাতত আমরা বলতে পারি পৃথিবীই হচ্ছে আমাদের আশ্রয়স্থল; অর্থাৎ মানবজাতির বসবাস। মানুষ ইতিহাসের বিবর্তন থেকে বর্তমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে আমরা নিজের প্রয়োজনে পৃথিবীকে অনেক সুন্দরভাবে সাজিয়েছি। তার মধ্যে তৈরি করে ফেলছি স্যাটেলাইট, কৃত্রিম উপগ্রহ, চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নয়ন, নিত্য নতুন ফসলের বীজ উদ্ভাবন, ন্যানো টেকনোলজি, বায়োলজিক্যাল টেকনোলজি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেমোরি সংরক্ষণ, সাইকোলজিক্যাল নানা গবেষণাপত্র, পশু এবং মানুষের জিন আবিষ্কার, রোবট এবং কৃত্রিম অস্তিত্ব তৈরিতে মানবজাতি সক্ষম। কিন্তু দুঃখের বিষয় যত দিন যাচ্ছে ততই যেন মানবজাতির অবহেলায় পৃথিবীতে বসবাসের অযোগ্য করে তুলতেছি এবং পরিবেশের প্রধান উপাদান তিনটি মাটি, পানি ও বায়ুকে দূষিত করে মানবজাতি হুমকির মধ্যে পড়ছে।
আপনি বাড়ি কিংবা অফিস থেকে বের হয়ে দেখবেন অলিতে-গলিতে পায়ের নিয়ে পড়ে আছে প্লাস্টিক টুথ ব্রাশ, ক্যান, বিভিন্ন প্রকারের প্লাস্টিকের বোতল। এছাড়াও শহর কিংবা গ্রামে ছোট, বড় অনুষ্ঠানে প্লাস্টিকের ওয়ানটাইম গ্লাস ও প্লেট ব্যবহার করা হয়। ব্যবহার শেষে যত্রতত্র ফেলে রাখা দেখা যায়। যা পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণের একটি। এভাবে নিয়মিত প্লাস্টিক পদার্থের ব্যবহার এবং প্লাস্টিক দ্রব্যের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে পরিবেশ দূষণের মাত্রাকে বহুগুণে বেড়ে গেছে। যার ফলে মানুষের পাশাপাশি সামুদ্রিক ও বন্যপ্রাণীর বাস্তুতন্ত্রেও বিরূপ প্রভাব পড়ছে। প্লাস্টিকে বিদ্যমান বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ভূগর্ভস্থ পানি ও ভূপৃষ্ঠের সঙ্গে মিশে উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে। বিজ্ঞানীদের গবেষণায় বলে দিচ্ছে, জীবাণুবিয়োজ্য প্লাস্টিক ভাঙনের মাধ্যমে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী।
মানুষ মানেই আরামপ্রিয় অর্থাৎ সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্যে থাকার জন্য শহর কিংবা গ্রামে বড় বড় দালানকোঠা তৈরি করেন। আর তার জন্য প্রয়োজন ইট। বিশেষ করে আমাদের দেশে ইট জোগান দেয় পুঁজিবাদীরাই। কিন্তু সারাদেশে ইট প্রস্তুত ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৩ কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নামে-বেনামে সরকারি জমি দখল করে হোক, আবাসিক এলাকায় ইটভাটা ও কৃষি জমির পাশে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইটভাটা স্থাপন করা হয়। এতে করে ভাটা চালু ও বন্ধের আগে গরম বাতাসে ও গ্যাসে কৃষিজমিতে ফসল উৎপাদন হয় না। ফলের বিভিন্ন উদ্ভিদে ফল ধরে না। ইটভাটার আশপাশে বাসা বাড়িতে ধুলাবালু ও ছাই পড়ে রাতে ঘুমাতে কষ্ট হয়। শিকাগো ইউনিভার্সিটির এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট তথ্য মতের রাজধানী ঢাকার মানুষের আয়ু প্রায় সাড়ে সাত বছর কমেছে। এর প্রধান কারণ যানবাহনের কালো ধোঁয়া, মিলকারখানা ও ইটভাটার কালো ধোঁয়া ইত্যাদি। পরিবেশের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাওয়া মানে মানবজাতির অস্তিত্ব বিলুপ্ত হওয়ার সমান।
শহরের রাস্তায় বের হবেন, আধাঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেন না। কারণ, চারদিকে যানজটকালে যানবাহন থেকে নির্গত শব্দ, উড়োজাহাজ, ট্রেন, শিল্পকারখানা ও বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডে সৃষ্ট শব্দ। এভাবে যদি শব্দের মাত্রা বেড়েই যেতে থাকে তাহলে উচ্চ শব্দের মধ্যে থাকতে থাকতে একজন মানুষের শ্রবণশক্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। উচ্চ শব্দ মানুষের ঘুমেও ব্যাঘাত ঘটায়। উচ্চ শব্দে মানুষের উচ্চ রক্তচাপ, হূদরোগ ও উদ্বেগজনিত সমস্যা দেখা দেয়। দিনের পর দিন শব্দদূষণের শিকার শিশুদের মনোযোগ দেয়ার ও কিছু পড়ার ক্ষমতা লোপ পেতে পারে। সবচেয়ে উদ্বিগ্ন হতে হয় যখন দেখা যায় নয়েজ, ব্লেজেস অ্যান্ড মিসম্যাচেস শীর্ষক এই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শব্দ দূষণের তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান প্রথম। তখন বায়ুদূষণের এই নাজুক অবস্থার খবরে রাষ্ট্র কী চিন্তিত হয়? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গাইডলাইন বা নির্দেশনা অনুযায়ী মানুষের জন্য ঘরের ভেতর শব্দের গ্রহণযোগ্য মাত্রা ৫৫ ডেসিবেল। ঘরের বাইরে বাণিজ্যিক এলাকার জন্য ৭০ ডেসিবেল। অথচ ঢাকায় এ মাত্রা ১১৯ ডেসিবেল ও রাজশাহীতে ১০৩ ডেসিবেল। জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে অনলি ওয়ান আর্থ: লিভিং সাস্টেইনেবিলিটি ইন হারমনি উইথ নেচার। যার অর্থ হচ্ছে ‘একটাই পৃথিবী, প্রকৃতির ঐকতানে টেকসই জীবন।’ ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আমাদের দেশ প্রাণ প্রকৃতি সংরক্ষণ কতটুকু আগ্রহী তা স্পষ্ট হয় যখন সুন্দরবন ধ্বংসের আয়োজন চলে।
বাংলাদেশ ও ভারত সীমানায় অবস্থিত পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল বন সুন্দরবন। প্রায় ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ বনের ষাট ভাগ অংশ বাংলাদেশের সীমানায় অবস্থিত। যা বাংলাদেশের মানুষের গর্বের বিষয়। বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেঁষে গড়ে ওঠা সুন্দরবন সামুদ্রিক ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের আগ্রাসন থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনবসতির প্রাকৃতিক প্রাচীর হিসেবে কাজ করে। এ বনে ৩১ শতাংশের জলভাগে ৪৫০টি নদ-নদী ও খাল রয়েছে। বনে লবণাক্তভোজী প্রধান উদ্ভিদ সুন্দরীসহ রয়েছে ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল ও ১৩ প্রজাতির অর্কিড। একমাত্র সুন্দরবনেই ঘূর্ণিঝড়, ঝড়, প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সুন্দরবন রক্ষা না করে আমরা ধ্বংস করার কাজে ব্যস্ত থাকি। আমাদের একটুও স্মরণ হয় না যে, সুন্দরবন ধ্বংস হলে আমরা বিপন্ন জাতিতে পরিণত হবো। বিশেষ করে আইলা, আম্ফান, সিডর, ফণি, বুলবুল, নারগিস ও ইয়াস ইত্যাদি প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছিল। সর্বশেষ অত্যন্ত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’কে সুন্দরবন বুক পেতে দিয়ে আমাদের রক্ষা করেছিল। মা সন্তানকে যেমন সব বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদে রাখার চেষ্টা করে ঠিক তেমনি সুন্দরবন বাংলাদেশকে নিরাপদে রাখে। দুঃখের বিষয় রাষ্ট্রযন্ত্র উন্নয়নের লেবাস পড়ে সুন্দরবন ধ্বংস করতে প্রস্তুত। ‘মা মাটি মোহনা মরুভূমি হবে না, প্রাণ প্রকৃতি বাঁচাও দেশ বাঁচাও’ এমন স্লোগানে পরিবেশেবাদী সংগঠনগুলোর রাজপথে আন্দোলন করে থাকে। প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংস করে দেশের উন্নয়ন কতটা কার্যকর তা করোনা মহামারি বুঝিয়ে দিচ্ছে। প্রকৃতিকে অত্যাচারের পরিণাম কী হতে পারে তা অদৃশ্য এক ভাইরাসের কাছে সারাবিশ্বের মানুষ অসহায় হয়ে উপলব্ধি করতেছে। আর জীবন দিতে হয়েছে লাখো মানুষকে।
সময়ের পরিবর্তনে পৃথিবীতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়তেছে মানুষের জীবনযাপনের নিত্যপণ্যের চাহিদা। আর সেই চাহিদা জোগান দিতে নির্ভর করতে হচ্ছে কলকারখানার ওপর। ফলে কলকারখানা থেকে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বনডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে, ফলে পরিবেশের তাপমাত্রায় বেড়েই চলছে। যা মানবজাতির জন্য বসবাসের অযোগ্য পৃথিবী গড়ে উঠতেছে। বিশ্বজুড়ে এখন পরিবেশ দূষণের মাত্রা ভয়াবহ। ভারতের দিল্লিতে যমুনা নদীতে ভয়ংকর দূষণ দেখা দিয়েছে। ওই পানিতে অ্যামোনিয়া ও ফসফেটের পরিমাণ অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে। কলকারখানার বর্জ্য পদার্থ যমুনা নদীর পানিতে অত্যধিক পরিমাণে মিশে যাওয়ার কারণে দূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এর প্রভাব শুধু ভারতের নাগরিকদের ওপর পড়বে এমনটা নয়, পরোক্ষভাবে সমগ্র মানবজাতির ওপর পড়বে। ফলে পরিবেশ দূষণ একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা এবং এর সমাধানের পথ খুঁজতে প্রত্যেক রাষ্ট্রের ভূমিকা পালন করতে হবে। মানব জাতির চরম অবহলো ও অসচেতনতার কারণে পৃথিবীর পরিবেশ এখন হুমকির মুখে। অত্যধিক হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, নির্বিচারে বৃক্ষনিধন ও বনভূমি উজাড়, প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহার, দ্রুত শিল্পায়ন, সার ও কীটনাশকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার, শিল্প-কলকারখানার বর্জ্য, গাড়ির বিষাক্ত ধোঁয়া, ওজোন স্তরের ক্ষয়, অপরিকল্পিত গৃহনির্মাণ, দারিদ্র্য, প্রসাধনসামগ্রী, প্লাস্টিক দ্রব্যের অতিমাত্রায় ব্যবহার ইত্যাদি কারণে পরিবেশ দূষণ সমস্যা প্রকট হওয়ায় মানবসভ্যতা আজ মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত। যেখানে প্রতিনিয়ত রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয় ‘গাছ লাগান পরিবেশে বাঁচান।’ সেখানে সুন্দরবন রক্ষা করতে রাষ্ট্রের আয়োজন কতটুকু তা প্রশ্ন থেকেই যায়। আমরা উন্নয়ন চাই, তাই বলে প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংস করে নয়।
দেশ ও পৃথিবীকে বাঁচাতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে দেশের মানুষকে, মুক্ত বায়ু সেবন করতে দিতে হবে। পরিবেশবান্ধব যানবাহনের ওপর জোর দিতে হবে। গাড়ির নির্গত ধোঁয়া বায়ুর সঙ্গে মিশে দূষণ ঘটাতে পারে। তাই দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পরিবেশবান্ধব যানবাহন ব্যবহার করতে হবে। পরিবেশের ইকোসিস্টেমকে সুস্থ রাখতে হবে। কীটনাশক ও কেমিক্যালের ব্যবহার কমাতে হবে। বর্জ্য পদার্থ রিসাইকেল করতে হবে। পরিবেশ আমরা রক্ষা করতে পারলে পরিবেশও আমাদের রক্ষা করবে। তাই পরিবেশ দূষণে বিপন্ন পৃথিবী বাঁচার দায়িত্ব আমাদের সবার। শুধু মানবের সেবায় মানবতার পরিচয় নহে, জগতের সেবায় মানবতার পরিচয়। লেখক : প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ