ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইতিহাসের নায়ক মহাবীর তিতুমীর

প্রকাশনার সময়: ১৯ নভেম্বর ২০২১, ১৫:৩২

বিপ্লবী, বিদ্রোহী মীর নাসির আলী বেশি পরিচিত শহীদ তিতুমীর হিসাবে। তিনি শুধু ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধেই লড়াই করেননি, তিনি বাংলার জমিদারদের বিরুদ্ধে কৃষকদের সংগঠিত করেছিলেন, প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন তার বাঁশের কেল্লা থেকে। বিপ্লবী এই বীরের শাহাদাত বার্ষিকী আজ।

১৮৩১ সালের ১৯ নভেম্বরে তিনি ভারতবর্ষের অবৈধ দখলদার বৃটিশদের সঙ্গে যুদ্ধরত অবস্থায় উইলিয়াম বেন্টিংকের নেতৃত্বাধীন সৈন্যদের আক্রমণে তার নারকেলবাড়িয়ার বাঁশের কেল্লায় শহীদ হয়েছিলেন। তিনি মূলত ওহাবী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং তার সংগ্রাম ছিলো অত্যাচারি জমিদার ও অবৈধ বৃটিশ দখলদারদের বিরুদ্ধে। সৈয়দ মীর নিসার আলী তিতুমীর ১৭৮২ সালের ২৭ জানুয়ারী চব্বিশ পরগনার বসিরহাটের চাদপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সৈয়দ মীর হাসান আলী ও মায়ের নাম আবিদা রূকাইয়া খাতুন। তিতুমীররা ছিলেন চার ভাইবোন। তিতুমীর মায়মূনা খাতুনকে বিয়ে করেন।

তিতুমীরের প্রাথমিক শিক্ষা হয় তার গ্রামের বিদ্যালয়ে। পরবর্তীকালে তিনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসাতে পড়াশোনা করেন। ১৮ বছর বয়সে তিতুমীর কোরাআনে হাফেজ হন এবং হাদিস বিষয়ে পাণ্ডিত্য লাভ করেন। একই সঙ্গে তিনি বাংলা, আরবি ও ফার্সি ভাষায় ব্যুৎপত্তি লাভ করেন।

খুব সম্ভবত ১৮০৮-১৮১০ সালের কোনো এক সময়ে তিনি ভাগ্যন্বেষণে কলকাতা শহরে যান। এখানেও তিনি কুস্তি লড়াইয়ের প্রতিযোগিতায় নিয়মিত অংশ নিতেন। তিনি একবার লড়াইয়ে প্রথম হয়েছিলেন। এরপর থেকে তিতুমীরের নাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এই কারণে তিনি জমিদার মির্জা গোলাম আম্বিয়ার সুনজরে পড়েন এবং তার সান্নিধ্য লাভ করেন। তিতুমীর এখানে বসে যুদ্ধ জয়ের সামরিক কৌশল আয়ত্ব করেন। মির্জা গোলাম আম্বিয়া ছিলেন কলকাতার মির্জাপুর এলাকার জমিদার। তিতুমীর যেখানে যেতেন সেখানেই নানা বিষয় শেখার চেষ্টা করতেন; ফলে কর্মজীবনে তিনি কোথাও স্থায়ী হতে পারেননি।

শহীদ তিতুমীরকে সাম্প্রদায়িক ইতিহাসবিদেরা হিন্দুবিদ্বেষী বলে প্রচার চালিয়েছে। অথচ তিতুমীর, হাজী শরিয়তুল্লাহ, দুদু মিয়া ছিলেন মজলুমের পক্ষে জালিমের বিরুদ্ধে অসামান্য বীর। আমাদের নির্মোহভাবে এই গৌরবের লড়াইগুলোকে আজকে মুল্যায়ন করা প্রয়োজন। কারণ এই ঐতিহ্যের উপরে দাড়িয়েই আমাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে হবে।

তিতুমীর যেই বক্তব্যগুলো দিয়েছিলেন, তার বেশিরভাগ ছিল হিন্দু কৃষকদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জমিদার আর নীলকরদের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে। তিতুমীরের লড়াইয়ের সময়, সরফরাজপুর গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের হরিজন আর মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাদ দেখা দেয়। তিতুমীর বিবাদ মেটাতে সেখানে যান এবং একটা বক্তৃতা দেন। সেই বক্তব্যের চুম্বকাংশ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।

‘‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। যাহারা মুসলমান নহে, তাহাদের সহিত কেবল ধর্মে ব্যবধানের জন্য অহেতুক বিবাদ করা আল্লাহ এবং আল্লাহর রসূল (সা.) পছন্দ করেন না। বরং আল্লাহর প্রিয় রসূল (সা.) এই কথাই ঘোষণা করিয়াছেন, কোনো প্রবল শক্তিসম্পন্ন অমুসলমান যদি দুর্বল অমুসলমানকে তাহার ন্যায়সংগত দাবি অগ্রাহ্য করিয়া তাহার প্রতি অন্যায় জুলুম ও অবিচার করে; মুসলমানেরা সেই দুর্বলকে সাহায্য করিতে বাধ্য।’’

মক্কা-ফেরত তিতুমীর মারামারি বা ঝগড়াঝাটির লোক ছিলেন না; ছিলেন শান্তিপ্রিয়। তিতুমীর বিষয়ক তথ্যাদির সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উৎস ব্রিটিশ ভারতীয় সিভিল সার্জেন্ট আই আর কোলডিনের রিপোর্টেও তাকে শান্তিপ্রিয় লোক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মক্কা থেকে এসে ১৮২৭ সালের দিকে তিনি সৈয়দ আহমদ রেরেলভির অনুসারে ধর্মপ্রচার শুরু করেন। ধর্ম বিষয়ে তার প্রচারিত বিশেষ কয়েকটি মতবাদের মধ্যে অন্যতম ছিল ফাতেহা, ওরস, মহররম ও মিলাদ-কেয়াম করা যাবে না। এই মতবাদটি মুসলমানদের একটি বড় অংশের অপছন্দের ছিল এবং তারাই মূলত প্রথম হিন্দু জমিদারদের নিকট তিতুমীর ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে গোলযোগের অভিযোগ করে।

জমিদাররা অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করে কারণ রায়তরা কোনোরকম দলবদ্ধ হোক এটি জমিদাররা কোনোভাবেই চাইতো না। ফলে যে সকল জমিদার তিতুমীরের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হন তারা হলেন- ১. তারাগোনিয়ার জমিদার রামনারায়ন নাগ, ২. নাগরপুরের জমিদার গৌরপ্রসাদ চৌধুরী, ৩. পুঁড়া বা পূর্ণার জমিদার কৃষ্ণদেব রায়, ৪. সরফরাজপুরের জমিদার কালী প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, ৫. গোবরার জমিদার দেবনাথ রায় প্রমুখ।

বিশেষ করে রাম নারায়ন নাগ এবং গৌরপ্রসাদ রায় চৌধুরী তিতুমীরের অনুসারীদের ওপর ২.৫ টাকা দাঁড়িকরসহ বিশেষ ৫ ধরনের কর আরোপ করে। তিতুমীরের অনুসারীরা ১৮৩০ সালের ৭ আগস্ট এসব কর ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। ১৮৩১ সালের ১৩ জুলাই কোর্ট মামলাটি খারিজ করে দেয়। ইংরেজ যুগ্ম ম্যাজিস্ট্রেট চিন্তা করেছিলেন যে জমিদারদের কার্যকলাপে হস্তক্ষেপ করা যুক্তিযুক্ত হবে না।

সরফরাজপুর গ্রামে বিশেষ করে দাঁড়িকর আদায়ের কর্মচারীদেরকে তিতুমীর অনুসারীদের একটি দল ক্ষিপ্ত হয়ে প্রহার করে। এই প্রতিরোধের খবর পেয়ে পুঁঁড়ার জমিদার কৃষ্ণদেব রায় নিজে একদল সশস্ত্র জঙ্গি নিয়ে জুম্মার নামাজের সময় তিতুমীরের প্রথম প্রচারকেন্দ্র সরফরাজপুরের মসজিদটি আক্রমণ করে। এই আক্রমণে তারা তিতুমীরের দুই জন অনুসারীকে হত্যা করে এবং মসজিদটি আগুনে ভস্মীভূত করে। উল্লেখ্য যে, সরফরাজপুরের সেই মসজিদটি ছিল অনেক ঐতিহ্যবাহী। একশ’ বছর আগে মারাঠা সৈন্যদল এটিকে ধ্বংস করেছিল। তিতুমীর শন ও কাঠ দিয়ে মসজিদটি পুনঃনির্মাণ করেছিলেন এবং সেটি প্রাথমিকভাবে তার প্রচার কেন্দ্ররূপে ব্যবহার করেছিলেন।

এই হত্যার বিরুদ্ধেও তিতুমীরের অনুসারীরা মামলা করে প্রতিকার লাভে ব্যর্থ হন। এই ব্যর্থতা তিতুমীরকে অভীষ্ট শক্তি অর্জনের আগেই জমিদার ও ইংরেজ বিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে নেমে পড়তে বাধ্য করে। তিনি ও তার অনুসারীরা সিদ্ধান্ত নিলেন নিজ শক্তিতে এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে। উল্লেখ্য যে, ইংরেজ বিরোধী সংগ্রামে অভীষ্ট শক্তি অর্জনের আগেই দেশিয় জমিদারদের বিরুদ্ধে এভাবে সম্মুখ সমরে নেমে পড়ায় মূলত তিতুমীরের সংগ্রামটি ট্রাজিক পরিণতিতে সমাপ্ত হয়।

সরফরাজপুরের মসজিদ তথা তিতুমীরের প্রচারকেন্দ্র ভস্মীভূত হওয়ার পরে তিতুমীরের এক অনুসারী নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের মুঈজ উদ্দীন তার বাসস্থানে তিতুমীরকে পুনরায় প্রচারকেন্দ্রে বা তার কার্যক্রমের সদরদফতর স্থাপনের আমন্ত্রণ জানান। ১৮৩১ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত এখানে তিতুমীরের অনুসারীরা জমায়েত হতে থাকে। এখানে একটি বড় আকারের বাঁশের কেল্লা তৈরি হয়। কৃষ্ণদেব রায়ও বসে ছিল না। সে-ও তিতুমীরের বাহিনির বিরুদ্ধে আক্রমণের জন্য শক্তিশালী বাহিনি গঠন করতে থাকে। কলিকাতার গোমস্তা লাটু বাবু তাকে দুইশ’ হাবসি যোদ্ধা প্রেরণ করে। কিন্তু সেই হাবসি দল যথাস্থানে পৌঁছার আগেই তিতুমীরের বাহিনি জমিদারদের বিরুদ্ধে আক্রমণে নেমে পড়ে। এরই মধ্যে ১৮৩০ সালে সৈয়দ আহমদ বেরেলভি মুসলিম নিপীড়ক রাজা রণজিৎ সিং এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে পাঞ্জাবের পেশোয়ার দখলের সাফল্য অর্জন করেছিলেন। গুরুর সেই সাফল্যের কাহিনিও এই আক্রমল পরিচালনায় হয়তো তিতুমীরকে উৎসাহী ও সাহসী করে তুলেছিল।

১৮৩১ সালের ৬ নভেম্বর সকালে তিতুমীরের বাহিনি কৃষ্ণদেব রায়ের পুঁড়া গ্রামে আক্রমণ পরিচালনা করে। কৃষ্ণদেব রায় কর্তৃক মসজিদ পোড়ানোর প্রতিশোধ হিসেবে তার বাহিনিও প্রথম আক্রমণ করে পুঁড়া বাজারের একটি মন্দিরে। বাজারে একটি গরু জবাই করে সেই রক্ত তারা মন্দিরের দেয়ালে লেপন করে। এ আক্রমণে তারা দুজন ব্যক্তিকে প্রহার করে কিন্তু কাউকে হত্যা করে না। এ আক্রমণে তারা সব ধরনের লুটতরাজ থেকেও বিরত থাকে।

পরের দিন ৭ নভেম্বর তিতুমীরের বাহিনি লাউঘাটি আক্রমণ করে। লাউঘাটিতে তিতুমীরের বাহিনি ব্যাপক প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়। প্রতিরোধ গড়ে তোলে পুঁড়ার জমিদার কৃষ্ণদেব রায়, ২০০ হাবসি যোদ্ধাসহ সরফরাজপুরের জমিদার কালিপ্রসন্ন মুখোপ্যাধ্যায়ের অনুজ দেবনাথ এবং মুল্লাহাটির নীলকুঠির ম্যানেজার মি. ডেভিস। দিনব্যাপী যুদ্ধ শেষে তিতুমীরের দল এই সম্মিলিত শক্তির বিরুদ্ধে জয় লাভ করে। যুদ্ধে দেবনাথ নিহত হয়। জয়লাভের পর তিতুমীর ওই এলাকায় ইংরেজ রাজত্বের অবসান ঘোষণা করে এবং নিজেকে উক্ত অঞ্চলের প্রশাসক ঘোষণা করে। এমনটাই হয়তো সৈয়দ আহমদ বেরেলভির নির্দেশনা ছিল।

এরপরে নীল ফ্যাক্টরির মালিক বা ম্যানেজার মি. পিরন ও মি. স্টর্মের আবেদনের ভিত্তিতে কলকাতা সাইটের কমিশনার মি. বারওয়েল বারাসাতের যুগ্ম ম্যাজিস্ট্রেট মি. আলেকজান্ডারকে তিতুমীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। মি. আলেকজান্ডার বিভিন্ন স্থান থেকে সংগৃহীত ১২৫ জনের একটি পুলিশ দল নিয়ে নারিকেলবোড়িয়া পৌঁছান। তিতুমীরের দলে ৫০০ থেকে ৬০০ যোদ্ধা গোলাম মাসুমের নেতৃত্বে এই ১২৫ জনের পুলিশ বাহিনির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ১০ জন সিপাহী ৩ জন বরকান্দাজ ও ১ জন জমাদারের মৃতদেহ ফেলে মি. আলেকজান্ডার কোনোমতে পালিয়ে বাঁচেন। তিতুমীরের দলের পরম শত্রু, তিতুমীরের অনুসারীদের ওপর অত্যাচারে জমিদারদের নির্লজ্জ সহায়তাকারী বসিরহাট থানার দারোগা রামরাম চক্রবর্তীকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বাশেঁর কেল্লায় তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৬ নভেম্বর মি. স্মিথের নেতৃত্বে ৩০০ পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষী পুনরায় তিতুমীর বাহিনির ওপর আক্রমণে এসে অবস্থা বেগতিক দেখে পশ্চাদপসরণে বাধ্য হয়। তবে এবার তাদেরকে একজন নাজির ছাড়া আর কাউকে হারাতে হয়নি।

এরই মধ্যে তিতুমীরের ইংরেজ বিরোধী বাহিনিতে মনোহর রায় নামে একজন জমিদার যোগ দেয়ায় তিতুমীরের দলের সাহস ও মনোবল আরও বৃদ্ধি পায়। অবস্থা মারাত্মক দেখে সরকার সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নেয়। ১৮৩১ সালের ১৯ নভেম্বর মেজর স্কটের নেতৃত্বে ১১ পদাতিক ডিভিশন, ক্যাপ্টেন সাদারল্যান্ডের নেতৃত্বে ১ টি অশ্বারোহী রক্ষীদল এবং লেফটেন্যান্ট ম্যক ডোনাল্ডের নেতৃত্বে ১ টি গোলন্দাজ দল নারিকেলবেড়িয়ায় আক্রমণ করে। তাদের সঙ্গে ছিল দমদম থেকে নেয়া ৬ পাউন্ডি কামান। তাদের এই আক্রমনে লাঠি-বল্লম-বর্শা আর ইট-বেলে সজ্জিত তিতুমীরের বাহিনি গুলির সামনে বুক পেতে দেয়ার চেয়ে বড় কোনো বীরত্ব প্রদর্শনে সমর্থ হয়নি। শেষ হয় ব্রিটিশরাজ-বিরোধী সশস্ত্র একদল গ্রাম্য মানুষের স্বপ্নের আয়োজন; কামানের গোলার মুখে বাঁশের কেল্লা বিধ্বস্ত হয়। তিতুমীরসহ ৫০ জন যোদ্ধা ঘটনাস্থলে গুলির আঘাতে মৃত্যুবরণ করেন। তাদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়। ২০০ জন বন্দী হয়।

তিতুমীরের জন্মস্থানে আজও নিন্মবর্গের মানুষ লড়াই করছে প্রতিনিয়ত। তাদের লড়াইয়ে তিতুর আন্দোলন হতে পারে প্রেরণাদায়ক। যুগ যুগ ধরে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, জুলুমের বিরুদ্ধে, বিভেদকামী মত মতবাদের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকুক।

সূত্র: ওয়াহাবী থেকে খিলাফত, একটি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী অধ্যায়: ড. শ্যামাপ্রসাদ বসু, ব্রিটিশ ভারতীয় নথিতে তিতুমীর ও তার অনুসারীগণ: মুঈন উদ-দীন আহমদ খান।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ