ঢাকা, রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জ্বালানি সংকট, বিদ্যুৎ বিপর্যয় ও খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি

প্রকাশনার সময়: ১৪ মে ২০২৪, ১২:০২

বাংলাদেশ কি খাদ্য ও জ্বালানির সংকটে পড়তে যাচ্ছে? প্রশ্নটা যৌক্তিক কারণেই এখন জোরালোভাবে উঠে আসছে বিশেষত যেখানে দেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সংকট এখন খুব স্পষ্ট। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত দুটি খাতের পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খলকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। একটি হলো খাদ্য এবং অপরটি জ্বালানি। এই সংঘাতে খাত দুটির নিরাপত্তার ওপর মারাত্মক চাপ পড়েছে। কোভিড-১৯, জলবায়ু পরিবর্তন ও ভূরাজনৈতিক সংঘাতের মতো নেতিবাচক শক্তির সম্মিলিত চাপ বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তাকে কোণঠাসা করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পর্যবেক্ষণ হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সমস্ত প্রাত্যহিক ব্যবহার্য নিত্যপণ্যের দাম বিভিন্ন হারে বেড়েছে। যেমন, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তেলের দাম আগের এক বছরের তুলনায় ৬৭ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি ছিল। একইভাবে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম একই সময়ে ২০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। অ্যালুমিনিয়ামের দাম গত ১৫ বছরের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং খাদ্যের দামও একইভাবে বাড়ছে। গত ২৫ এপ্রিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বৈঠকে তারা বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারে ভর্তুকি উঠিয়ে দাম বাড়ানোর মাধ্যমে সরবরাহ ব্যয় সমন্বয়ের সুপারিশ করেছে। ভর্তুকির আর্থসামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কার্যক্রমে খরচ করার পরামর্শ দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে অর্থ বিভাগ বলেছে, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আপাতত কৃষিতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দেবে সরকার। তবে ভর্তুকি কমাতে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে। বোঝা যায়, জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়টি তাদের মাথায় নেই। তারা কি বোঝে না, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না! গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারে ভর্তুকি উঠিয়ে দেয়া এবং দাম বাড়ানোর মাধ্যমে আর্থিক ঘাটতি সমন্বয় করার পরামর্শ ১৯৯০ সাল থেকে আসছে।

অর্থাৎ এ খাত সংস্কারের শুরু থেকে আইএমএফের মতো এমন পরামর্শ বিদেশি দাতা সংস্থাগুলো সরকারকে দিয়ে আসছে। তাদেরই পরামর্শে সরকার এ খাত সংস্কার করছে। ব্যক্তি খাত বিনিয়োগে উন্নয়নের জন্য এ খাত এখন বাণিজ্যিক খাত। ফলে জনগণকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেবা দিয়ে সরকার মুনাফা করে। এ মুনাফা ব্যবসায় যেভাবে হয়, সেভাবে হয় না। দাম বাড়ানোর মাধ্যমে সে মুনাফা দেয়া বা বৃদ্ধি করা হয়। পাবলিক কোম্পানির মালিক হিসেবে সরকার একদিকে সেসব কোম্পানির মুনাফার ভাগ পায়, অন্যদিকে আলাদাভাবে সরকার করপোরেট ট্যাক্সও নেয়। মুনাফা ও করপোরেট ট্যাক্স জ্বালানি কিংবা বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যয়ে পৃথকভাবে সমন্বয় হয় এবং ব্যয় বাড়ে। এ মুনাফার কোনো মান-মাপ নেই। তার ওপর সরকার ভ্যাট নেয়ায় সে ব্যয় আরও বাড়ে। সরকার যদি শুধু খরচ উসুল করতেন, মুনাফা না নিতেন, তাহলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেবার দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে থাকত এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ হতো। ফলে জনগণের কল্যাণ হতো। সরকারকেও আর অসাধু ব্যবসায় জড়িয়ে পড়তে হতো না। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত উন্নয়নও বিনিয়োগকারীদের অসাধু ব্যবসার শিকার হতো না। জনগণ জ্বালানি সুবিচার পেতে পারত। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ আইন ২০১০-এর আওতায় প্রতিযোগিতাবিহীন ব্যক্তি খাত বিনিয়োগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত উন্নয়ন অব্যাহত আছে। তাতে বিনিয়োগকারীরা খেয়াল খুশিমতো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ ব্যয় বৃদ্ধি করে লুণ্ঠনমূলক মুনাফা বৃদ্ধির সুযোগ নিচ্ছে। ফলে আর্থিক ঘাটতি দ্রুত বাড়ছে। তা সমন্বয়ে মূল্য ও ভর্তুকি উভয় বাড়ছে। ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় আইএমএফের পরামর্শে সরকার ভর্তুকি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে এবং কেবল পর্যায়ক্রমে মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে তিন বছরের মধ্যে ভর্তুকি শূন্যে নামিয়ে আনার চেষ্টায় আছে।

সম্প্রতি বিদ্যুতের যে মূল্যবৃদ্ধি হলো, পাশাপাশি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় পিডিবির আয় বেড়েছে বছরে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি নয়। বিদ্যুৎ খাতে এখনো কমবেশি ৪০ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি বিদ্যমান। অপচয়, তছরুপ, আত্মসাৎ তথা লুণ্ঠন না হলে এ ঘাটতি হতো না। পরবর্তী বছরগুলোয় বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রবৃদ্ধি বজায় থাকবে। লুণ্ঠনমূলক মুনাফাও বাড়বে। ঘাটতিও বাড়বে। মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে তা সমন্বয় অসম্ভব হলেও সে চেষ্টাই চলছে। এ ঘাটতির দায় যে জনগণের নয়, তা আইএমএফ বা সরকার বোঝে না, এমন নয়। কেনার ক্ষেত্রে পণ্য বা সেবার দাম, মান ও মাপ সঠিক কিনা তা যাচাই-বাছাই করা ভোক্তার অধিকার। রাষ্ট্র আইন দ্বারা সে অধিকার নিশ্চিত করেছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন ২০০৩-এ তা নিশ্চিত। কিন্তু ২০২৩ সালে ওই আইনের ৩৪ ধারা পরিবর্তন করে ভোক্তার সে অধিকার খর্ব করা হয়েছে। ৩৪ ধারার বিধানমতে, ভোক্তা মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে অংশগ্রহণ করতে পারত। মূল্যবৃদ্ধি ন্যায্য ও যৌক্তিক কি না সে ব্যাপারে মতামত দিতে পারত। মূল্যবৃদ্ধি ন্যায্য ও যৌক্তিক না হলে প্রতিকারের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হতে পারত। কিন্তু ওই ধারা পরিবর্তনের ফলে ভোক্তার সে অধিকার খর্ব হয় এবং বিদ্যুৎ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ক্ষমতা সরকার পায়। সেই ক্ষমতা বলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উভয় বিভাগ ভর্তুকি উঠিয়ে নেয়ার অজুহাতে লুণ্ঠনমূলক ব্যয় সমন্বয় করে খেয়াল খুশিমতো যখন তখন বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। ফলে ভোক্তা জ্বালানি সুবিচার বঞ্চিত হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহে লুণ্ঠনমূলক ব্যয় ও মুনাফা প্রতিরোধ করা গেলে এবং ন্যূনতম ব্যয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ করার নীতি ও কৌশল গ্রহণ করা হলে বিদ্যুৎ খাতে বিদ্যমান ঘাটতি প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা মূল্যবৃদ্ধি ছাড়াই অনায়াসে সমন্বয় হতো। কিন্তু এমন কোনো পরামর্শ তো আইএমএফের কাছ থেকে আসেনি। অবশ্য কখনো আসবেও না। কারণ আইএমএফ ও আইএমএফের মতো দাতা সংস্থারা বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি আমদানি বাজারে রূপান্তর করার লক্ষ্যে সরকারকে ঋণ ও ঋণের শর্তে আটকে ফেলেছে। তাদের সে লক্ষ্য অর্জন এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। গত বছরের হিসাবে বিদ্যুৎ আমদানি ব্যয় ছিল গড়ে ইউনিট প্রতি ৭ টাকা ৮৩ পয়সা। অথচ উৎপাদন ব্যয় হার কমবেশি ১২ টাকা। বিক্রি করে পিডিবি পায় ৭ টাকা ৪ পয়সা। অচিরেই বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি বিদ্যুৎ আমদানি বৃদ্ধি করে ভর্তুকি কমানো হবে। লুণ্ঠনমূলক ব্যয়বৃদ্ধিতে লাগাম টানা হবে না। ফলে লুণ্ঠনমূলক ব্যয় ও মুনাফা বৃদ্ধি সুরক্ষা পাবে। জনগণ লুণ্ঠিত হবে। ভোক্তারা জ্বালানি সুবিচার পাবে না। পর্যাপ্ত উৎপাদন ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও প্রতি বছর গরমে বিদ্যুৎ সংকট চরমে ওঠে। ভোক্তারা ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের শিকার হয়। লোডশেডিং সমতাভিত্তিক না হওয়ায় গ্রামের মানুষ দিনে গড়ে ৮-১০ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের মধ্যে থাকে। এভাবে ভোক্তাকে বিদ্যুৎবঞ্চিত রেখে তার কাছ থেকে একদিকে শতভাগ ডিমান্ড মাশুল আদায় করা, অন্যদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন না হলেও বিদ্যমান বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার বিপরীতে শতভাগ ভাড়া ব্যয় ভোক্তার কাছ থেকে আদায় করা এক ধরনের লুণ্ঠন। আবার উৎপাদন কমিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করেও ভর্তুকি কমানো হয়। অন্যদিকে ভর্তুকি কমানোর অজুহাতে মূল্যবৃদ্ধিও করা হয়। ফলে জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা এখন বলির পাঁঠা। এমন অবস্থার অভিঘাতে অর্থনীতি এখন ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার। তাতে আইএমএফের কিছু যায় আসে না। তারা চায়, জ্বালানি নিরাপত্তায় ভর্তুকি না দিয়ে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কার্যক্রমে বরাদ্দ বৃদ্ধি। এ বরাদ্দ বৃদ্ধি অন্যভাবেও হতে পারে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি পণ্য ও সেবার মূল্যবৃদ্ধি করে।

তাতে ভোক্তা সাধারণের ক্রয়ক্ষমতা কমে। তাই বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য না বাড়িয়ে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কার্যক্রমে বরাদ্দ অন্যভাবে বাড়ানো হলে মানুষ প্রকৃত সুফল পাবে। যদিও কস্ট প্লাস নয়, সরকার শুধু কস্ট বেসিসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেবা দেবে। প্রাথমিক জ্বালানি মিশ্রণে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনায় এলএনজি, কয়লা ও তেলের অনুপাত কমিয়ে আনার প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। নিজস্ব গ্যাস অনুসন্ধান ও মজুদ বৃদ্ধি এবং নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্বারা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি আমদানি নিয়ন্ত্রণে রেখে আমদানি ব্যয় কমানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। সরকার ব্যক্তি খাতের সঙ্গে যৌথ মালিকানায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবসা-বাণিজ্যে জড়িত হবে না এবং সরকারি মালিকানাধীন কোনো কোম্পানির শেয়ার ব্যক্তি খাতে হস্তান্তর করবে না- আইন দ্বারা তা নিশ্চিত হতে হবে। এবং তেল শোধনাগার এস আলম গ্রুপের সঙ্গে নয়, সরকারের একক মালিকানায় হওয়া জরুরি।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতভুক্ত সরকারি ও যৌথ মালিকানাধীন সব কোম্পানির পরিচালনা বোর্ড থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উভয় বিভাগের সব আমলাকে প্রত্যাহার করার উদ্যোগ গ্রহণ করা। নিজস্ব কারিগরি জনবলের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে উভয় খাতের কোম্পানি বা সংস্থাগুলোর কার্যক্রম পরিচালিত হতে হবে। সেজন্য মন্ত্রণালয়কে শুধু বিধি ও নীতি প্রণয়ন এবং আইন, বিধি-প্রবিধান অনুসরণ ও রেগুলেটরি আদেশগুলো বাস্তবায়নে প্রশাসনিক নজরদারি ও লাইসেন্সিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। পাশাপাশি রেগুলেটর হিসেবে বিইআরসিকে সক্রিয়, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। জলবায়ু তহবিলসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য উৎস থেকে ক্ষয়ক্ষতি বাবদ ঋণ নয়, ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তি বা আদায় নিশ্চিত হতে হবে এবং সে ক্ষতিপূরণ ক্ষতিগ্রস্তদের সক্ষমতা উন্নয়ন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির বাজার সম্প্রসারণে বিনিয়োগ আইন দ্বারা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

বিদ্যুৎ, জীবাশ্ম ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন নীতি, আইন, বিধিবিধান ও পরিকল্পনা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সম্পাদিত প্যারিস চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখার প্রতি মনোযোগ দেয়া জরুরি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উন্নয়নে সম্পাদিত সব চুক্তি বিধিবদ্ধ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পাদনের লক্ষ্যে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় অনুমোদিত মডেল চুক্তিমতো হওয়া উচিত। তাহলে আদানির বিদ্যুৎ ক্রয়চুক্তির মতো জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি প্রতিরোধ করা যাবে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই অঞ্চলগুলোর মধ্যে বিশ্বকে খাদ্য সরবরাহের সামর্থ্য অর্জনের সম্ভাবনা আছে; কিন্তু তারা তা পারছেই না, বরং অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে তাদের খাদ্য আমদানির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এ কারণেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে সঙ্গিন অবস্থার মুখে পড়া বৈশ্বিক দক্ষিণের দেশগুলোতে জলবায়ু সহনীয় স্মার্ট কৃষি এগিয়ে নিতে সেখানে বাড়তি বিনিয়োগ নিশ্চিত করা দরকার। পানি-খাদ্য-জ্বালানির পারস্পরিক যোগসূত্রকে আমলে নিয়ে পানির সহজপ্রাপ্যতা ও পুষ্টি সুরক্ষায় একটি সমন্বিত পন্থা অবলম্বন করতে হবে।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক

নয়াশতাব্দী/ডিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ