বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের বুলি আউড়ানো যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে নিজ বাড়িতে এক বাংলাদেশি তরুণ নিহত হয়েছেন। ১৯ বছর বয়সি ওই তরুণের নাম ইয়েন রোজারিও। নিহত ওই তরুণ মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন এবং গুলিতে নিহত হওয়ার আগে সাহায্যের জন্য ৯১১ নম্বরে ফোন করেছিলেন। স্থানীয় সময় ২৭ মার্চ বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অজুহাতে যে দেশ বারবার সতর্ক করার পাশাপাশি সব সময় আতঙ্কে রেখেছে, সেই দেশে ভয়ঙ্করভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়ে প্রাণ হারানো ইয়েনের বাড়ি গাজীপুরের পুবাইলে। তার বাবার নাম ফ্রান্সিস রোজারিও। বাবা-মা ও এক ভাইসহ তারা দীর্ঘদিন ধরে নিউইয়র্কের ওজোন পার্ক এলাকায় বসবাস করে আসছেন। পুলিশের গুলিতে ইয়েন রোজারিওর নিহতের খবরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে শোকের পরিবেশ নেমে আসে।
শোকাহত বাংলাদেশের রাজনীতি সচেতন নাগরিক হিসেবে বরাবরের মতো সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার জন্য নিবেদিত থাকার সুবাদে এমন নির্মমতার সুষ্ঠু তদন্ত বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। মানবাধিকার লঙ্ঘনে নির্মমতায় অগ্রসর খোদ মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের প্রতিবেদন বলছে, জরুরি টেলিফোন নম্বর ৯১১ থেকে ফোন আসে পুলিশের কাছে।
ফোনে জানানো হয়, ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ১০১তম অ্যাভিনিউয়ের ১০৩তম স্ট্রিটের ওই বাড়িতে যায়। বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভিতরে ইয়েনকে দেখতে পায় পুলিশ। তাকে হেফাজতে নেয়ার চেষ্টা করলে ওই যুবক হাতে থাকা কাঁচি নিয়ে পুলিশ সদস্যদের দিকে তেড়ে আসে। এ সময় পুলিশ গুলি চালায়।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইয়েন হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করল যে, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিভাগেরও তোয়াক্কা করে না এই দেশটি। যদিও জাতিসংঘ বাংলাদেশ সরকারের জোরপূর্বক গুম, নির্যাতন, মৃত্যুদণ্ড এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়মুক্তি, সেই সঙ্গে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা ও এলজিবিটিআইকিউ জনগণের অধিকারসহ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনগুলোকে মোকাবিলা করতে অস্বীকৃতির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফেডারেশন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফেডারেশন (এফআইডিএইচ) বাংলাদেশের বিষয়ে সর্বজনীন পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার (ইউপিআর) দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের (ইউএন) মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৫তম অধিবেশন চলাকালীন একটি বিবৃতি প্রদান করে। দীর্ঘস্থায়ী মানবাধিকার লঙ্ঘনগুলো মোকাবিলায় সরকারকে চাপ দেয়ার জন্য জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার ফেডারেশন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফেডারেশন (এফআইডিএইচ) বাংলাদেশে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জাতিসংঘের অনেক সদস্য রাষ্ট্রের উদ্বেগকে বৈধতা দেয়ার পাশাপাশি এ বিষয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের একজন সদস্য হয়েও বাংলাদেশ সরকারের এহেন আচরণ অশোভনীয়। মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সুশীল সমাজের ওপর দমনপীড়ন সর্বজনীন পর্যালোচনার দাবি রাখে। সরকার আবারও বলপূর্বক গুমের ঘটনা অস্বীকার করেছে।
পাশাপাশি বলপূর্বক গুম থেকে সব ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশন এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে কনভেনশনের প্রটোকলের সব সুপারিশ গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। উপরন্তু সরকার মৃত্যুদণ্ড সংক্রান্ত সব সুপারিশ গ্রহণ করেনি, তারা বিস্ময়করভাবে মৃত্যুদণ্ডকে ‘শাস্তির একটি বৈধরূপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। লিঙ্গ সমতার বিষয়ে, সরকার সব সুপারিশ গ্রহণ করেনি। সুপারিশে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার আহ্বান জানানো হয়েছিল। নারীর প্রতি সব প্রকার বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত কনভেনশনের ধারা ২ এবং ১৬ থেকে সংরক্ষণ প্রত্যাহার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে অস্বীকার করেছে বাংলাদেশ সরকার।
পাশাপাশি সরকার এলজিবিটিআইকিউ জনগণের অধিকার সম্পর্কিত সব সুপারিশ গ্রহণ করতেও অস্বীকার করেছে, যা এটিকে ‘একটি ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, নৈতিক সমস্যা’ হিসেবে গুরুত্ব দেয়। সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের সুপারিশ গ্রহণ করার পরও দেশের জাতীয় নির্বাচন উপহাসে পরিণত হয়েছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সরকারের রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন এবং সুশীল সমাজের ওপর আক্রমণের কারণে বিঘ্নিত হয়েছিল।
এটিও উপহাসের বিষয় যে, সরকার সুশীল সমাজের কর্মী, আইনজীবী এবং সাংবাদিকদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও আটক থেকে রক্ষা করার সুপারিশ গ্রহণ করেও সব ধরনের ভিন্নমতকে নীরব করার জন্য বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে চলেছে। প্রবাসে ভিন্নমতাবলম্বীদের ভয় দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে দেশে মানবাধিকার রক্ষাকারীদের অপরাধীর তকমা দেয়া হচ্ছে। আমরা জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে দীর্ঘস্থায়ী মানবাধিকার লঙ্ঘন, দায়মুক্তির অবসান, জবাবদিহিতা, ক্ষতিপূরণ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের পুনরাবৃত্তি না হওয়ার গ্যারান্টি নিশ্চিত করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায়বিচার প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দেয়ার আহ্বান জানাই।’
একটি চরম সত্য হলো এই যে, জাতিসংঘের নাকের ডগায় থেকে আমেরিকা মানবাধিকার লঙ্ঘন যেমন করছে, তেমন নিজেদের স্বার্থরক্ষায়-প্রতিপত্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে কয়েক বছরের মধ্যে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় বেশ কিছু দেশের ১৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের মার্কিন সম্পদ জব্দ করেছে। আমেরিকানদের মধ্যে যারা ওই ১৫০ জনের বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নির্দিষ্ট লেনদেনে জড়িত, তারাও নিষেধাজ্ঞার শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মার্কিন অভিযানের জন্য লোক নিয়োগ করা দুই ইরানি গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাদের মিশনে প্রাণঘাতি লক্ষ্যবস্তু অন্তর্ভুক্ত ছিল। শুধু কি এখানেই শেষ! না, বরং রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বিশ্বের প্রায় সর্বময় ক্ষমতাধিকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অভাগা বাঙালিদের জীবন অতি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের একটা ব্যাপার! ১৯৭১ সালের বাঙালি গণহত্যা তার বলিষ্ঠ উদাহরণ!
এ ছাড়া সম্প্রতি খোদ মার্কিন মুলুকে অভাগা বাঙালিদের প্রাণে মেরে ফেলার ঘটনাও বিষয়টির দিকে আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট করে! এর ঠিক বিপরীতে, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার বিশ্ব মোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করা বা পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করা একশ্রেণির বুদ্ধিজীবীর কাছে নিষিদ্ধ ব্যাপার! ব্যাপারটি প্রাচীনকালে বৈদিক শাস্ত্রাদি সংস্কৃত ভাষা ব্যতীত বাংলা ভাষায় লেখা বা বলা নিষিদ্ধ থাকার সঙ্গে তুলনাযোগ্য!
বলা হতো বাংলা ভাষায় এইসব শাস্ত্রাদি কেউ লিখলে বা বললে তার স্থান হবে রৌরব নরকে! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেলায়ও সেই ধরনের একটা অদৃশ্য অথচ নিষিদ্ধ ব্যাপার একটু মনোযোগ সহকারে পর্যবেক্ষণ করলেই বোঝা যায়। পাশাপাশি আমেরিকার নিজেদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিছু বললে কিছু রাজনৈতিক শক্তি বেশ পুলকিত বোধ করে থাকে!
প্রসঙ্গক্রমে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়েই বর্তমান লেখাটি তৈরি করা হয়েছে। বিশ্বের ১৩০টিরও অধিক দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী মোতায়েন করা আছে। মানবতা রক্ষার নামে তারা সেই সব দেশে কী করছে সেটা ভুক্তভোগীরাই সবচেয়ে ভালো বলতে পারবে। শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই নয়, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের ব্যাপারে ইউরোপের দেশগুলোও কম সোচ্চার নয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা মানবতার সেবা কতটুকু করছে সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।
বর্তমান বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর অন্যতম পরাশক্তি হলো চীন। বিগত বছরগুলোয় তারা সামরিক এবং অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ব্যাপক অগ্রগতি লাভ করেছে। এই মুহূর্তে কোনো দেশ যদি মার্কিনিদের চ্যালেঞ্জ জানাতে সক্ষম হয় তাহলে সেই দেশ হলো চীন। এই চীনও মানবতা লঙ্ঘনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছে তাদের কর্মের দ্বারা। বিশ্বে যেসব জাতি নির্মম নির্যাতন ও নিষ্পেষণের শিকার তাদের মধ্যে চীনের উইঘুর মুসলিমরা অন্যতম।
স্বায়ত্তশাসিত জিংজিয়াং প্রদেশের এই মুসলিম সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতিত হয়ে আসছে। প্রায় ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমদের চীন সরকার বিনা কারণে আটকে রেখেছে বন্দিশিবিরে। বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই সংবাদ প্রকাশিত হলেও চীনা সরকার এটা অস্বীকার করেছে। এমনিতেই চীনে মুসলমানরা স্বাধীনভাবে তাদের ধর্ম পালন করতে পারে না। রমজান মাসে রোজা রাখার ওপর রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থাগুলো এটা নিয়ে সোচ্চার হলেও চীনের তাতে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না।
গণমাধ্যমের আলোকে এ কথা প্রমাণিত যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০২২ সালে, ১৮ বছরের কম বয়সি ৫৮০০ টিরও বেশি শিশুকে গুলি করে আহত বা হত্যা করা হয়েছে এবং স্কুলে গুলি চালানোর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০২টিতে। এই সংখ্যা ছিল ১৯৭০ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ। যুক্তরাষ্ট্রে শিশু দারিদ্র্যের হার ১২ দশমিক ১ শতাংশ থেকে বেড়েছে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ১৬ দশমিক ৬ শতাংশে, ২০২২ সালের মে মাসে আরও ৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন শিশু দারিদ্র্যের মধ্যে চলে গেছে।
২০১৮ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শিশুশ্রম লঙ্ঘনের ঘটনা প্রায় ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২০২২ অর্থবছরে বিপজ্জনক পেশায় নিযুক্ত শিশুর সংখ্যা ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন শক্তির অপব্যবহার এবং একতরফা নিষেধাজ্ঞা বিশ্বে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। ২১ শতকের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাস বিরোধিতার নামে ৮৫টি দেশে সামরিক অভিযান চালিয়েছে। এর ফলে কমপক্ষে ৯ লাখ ২৯ হাজার বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং ৩৮ মিলিয়ন মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র বেশি একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এখনো ২০টিরও বেশি দেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। যার ফলে সেইসব দেশের জনগণ মৌলিক খাদ্য এবং ওষুধ সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ঔপনিবেশিকতা, বর্ণবাদী দাসত্ব, শ্রম, দখল ও বণ্টনের অসমতার ওপর প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অর্থনৈতিক বণ্টন প্যাটার্নের মিথস্ক্রিয়ায় সিস্টেমের ব্যর্থতা, শাসনের ঘাটতি, জাতিগত বিভাজনের রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
বিশ্বের যে দেশগুলো সব সময় মুখে মানবতা এবং মানবাধিকারের কথা বলে থাকে কার্যক্ষেত্র দেখা যাচ্ছে তাদের দ্বারাই মানবাধিকার সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘিত হচ্ছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনে দেশের কলাকুশলীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার বিষয়ে কথা বলার আগে যদি নিজেদের দেশের মানুষের জন্য মানবাধিকারবান্ধব দেশ নির্মাণে নিবেদিত থাকতে বেশি সময় দিতেন, তাহলে হয়তো আর হারাতে হতো না ইয়েনকে। তাই চাই মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হোক বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী দেশসহ সারা বিশ্বের সকল দেশে... লেখক: চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি
নয়া শতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ