ঢাকা, রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কার্ল মার্কস ও তার ইতিহাস ভাবনা

প্রকাশনার সময়: ২৩ মার্চ ২০২৪, ১০:০১ | আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৪, ১০:৩০

কার্ল মার্কস ইতিহাসের যে বস্তুতান্ত্রিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাতে তিনি ইতিহাসের বিকাশ ও বিবর্তন সম্পর্কে সনাতন দৃষ্টিভঙ্গিকেই গ্রহণ করেন। কিন্তু ভিন্নতর ব্যাখ্যা প্রদানের মাধ্যমে তিনি সম্পূর্ণ বিপরীত সিদ্ধান্তে উপনীত হন। তিনি মনে করেন, ইতিহাস তথা মানব জীবনের যাবতীয় ঘটনা একমাত্র অর্থনৈতিক বিচার-বিবেচনার দ্বারা পরিচালিত হয়।

ইতিহাসের ঘটনাবলিকে ধর্মীয়, নৈতিক, আধ্যাত্মিক বা যে কোনো কারণের অভিব্যক্তি বলে বর্ণনা করা হোক না কেন সেগুলো আদতে অর্থনৈতিক বিচার-বিবেচনা থেকে উৎসারিত। তার মতে, সামাজিক উৎপাদনের ফলে সৃষ্ট বিভিন্ন সম্পর্কের যোগফল নিয়েই সমাজের অর্থনৈতিক কাঠামো গঠিত হয়। এই ভিত্তির ওপর আইনগত এবং রাজনৈতিক অধি-কাঠামোগুলো প্রতিষ্ঠিত এবং সামাজিক চেতনার বিভিন্ন প্রকাশ এই ভিত্তির সঙ্গে সম্পর্কিত।

কার্ল মার্কসের চিন্তাধারার মূল ভিত্তি ছিল ইতিহাস সম্পর্কে তার ধারণা। আমাদের দেশ এবং বিশ্বব্যাপী মানুষের কাছে ইতিহাস সম্পর্কে তার ধারণা বা চিন্তাধারা ছিল জীবন্ত এক অভিজ্ঞতা আর সেটা হলো মানবজাতির অতীতের সমগ্র অভিজ্ঞতা থেকে কিভাবে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি এবং মানব সমাজের গতিধারার প্রবণতা সম্পর্কে বোঝাপড়াকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার পথে অগ্রসর হতে পারি।

আধুনিক ইতিহাসবিদ ও প্রখ্যাত তত্ত্ববিদরা যেভাবে তাত্ত্বিক বিষয়ে নিশ্চিত হন ঠিক সেভাবেই মার্কসও এগিয়েছেন। ইতিহাসবিদ ই এইচ কার বলেছেন: ‘ঐতিহাসিক ঘটনাদি আয়ত্ত করা যায় এবং সেই ঘটনাদির উন্মোচন, নির্বাচন ও ব্যাখ্যার মাধ্যমে অতীত সম্পর্কে আমরা আমাদের জ্ঞানকে নিখুঁত করতে পারি। তিনি ইতিহাসের যথার্থতা সম্পর্কে মার্ক ব্লচের ধারণাকেও সমানভাবেই সমর্থন জানান, যেখানে মার্ক ব্লচ বলেছেন যে, ইতিহাসের যথার্থতা প্রকাশ পায়, কী কাজে তা ব্যবহার করা হচ্ছে তার ওপর।

ইতিহাস নিরবচ্ছিন্ন কোনো বিষয় নয়, বরং তা হলো আমাদের প্রকৃত অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন যার মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতের কর্মধারাকে সুনির্দিষ্ট রূপ দিতে পারি। সেই সুদূর ১৮৪৫ সালে মার্কসও একই কথা বলেছেন- ‘দার্শনিকরা নানাভাবে বিশ্বের ব্যাখ্যা দিয়েছেন কিন্তু বিষয়টা হলো একে পাল্টানো’। তাই প্রধানত আমাদের কর্মধারা এবং বর্তমান সময়ের কর্ম অনুশীলনকে যথাযথ রূপ দেয়ার জন্যই ইতিহাস পাঠ করি আমরা। এই ইতিহাস অতীতে বিরাজমান পরিস্থিতি এবং সেই প্রেক্ষিতে তখনকার সময়ে তার প্রয়োগেরই মূলত রেকর্ড। ইতিহাসকে দুইভাবে ব্যবহার করা যায়।

প্রথমটা হলো, অতীতের প্রধানত রাজনৈতিক অথবা সাংস্কৃতিক ঘটনাগুলোর তথ্য বর্ণনা দেয়া। অতীতের লেখকরা এরকমভাবেই বর্ণনা দিতেন। এর অর্থ হলো, বর্তমানের তুলনায় অতীতের এক সম্পূর্ণ ভিন্ন সামাজিক ও বৌদ্ধিক পরিবেশে ঘটে যাওয়া ঘটনা এবং যুগগুলোকে পূর্বসূরিদের চশমা দিয়ে দেখা। সেই সময়কার পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের বোঝাপড়ার সঙ্গে বর্তমান সময়ে পরিস্থিতি খুব কমই মিলবে এবং ফলত সেই শিক্ষা খুব কমই কাজে লাগবে।

এ বিষয়টায় পেশাদার ঐতিহাসিকরা প্রায়শই জোর দেন যখন তারা ইতিহাসের উৎসগুলোর গুণগত বক্তব্যগুলোকে বাতিল করেন। মার্কসও একই যুক্তি দেন যখন তিনি বলেন, ‘যেমন একজনকে বিচার করা যায় না সেই ব্যক্তি নিজের সম্পর্কে কি ভাবেন তা দ্বারা, ঠিক তেমনই অতীতের পরিবর্তনের সময়টাকে সেই সময়কার চেতনা দিয়ে আমরা বিচার করতে পারি না।’ দ্বিতীয় পদ্ধতি হলো, মানব ইতিহাসের বিশ্বজনীন সাধারণ ব্যাখ্যার সঙ্গে কোনো দেশের বা অঞ্চলের নিজস্ব ইতিহাসের বর্ণনা মিলিয়ে দেখা। ইতিহাসের বিশ্বজনীন ব্যাখ্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশ বা অঞ্চলের ইতিহাসের নিরন্তর আদান-প্রদানই আমাদের ইতিহাস সম্পর্কে এক সঠিক বোঝাপড়ায় পৌঁছাতে সাহায্য করবে যা ইতোপূর্বে অতীত ইতিহাসে অস্বীকৃত ছিল।

এমনকি খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীর হেরোডোটাসের তথ্যানুসন্ধানের ব্যাপকতা বা চতুর্দশ শতাব্দীর ইবনে খালদুনের মতো নিখুঁত মনের ঐতিহাসিকের কাজেও এই অস্বীকৃতি দেখা যায়।

মার্কসের ইতিহাস সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি এসেছে যতটা তিনি জানতে পেরেছেন তার বিশ্বজনীন অভিজ্ঞতার নিষ্কাশনের মধ্য দিয়ে। আধুনিক যুগের দার্শনিকরা বিশেষত হেগেল, যেভাবে অতীতকে আধুনিক বৈজ্ঞানিক আলোকে বিশ্লেষণ বা উন্মোচন করে জ্ঞানের যে সমন্বয় করেছেন মার্কস তাকে অনুসরণ করেছেন এবং প্রকৃত তথ্যের ভিত্তিতে তার নির্যাস তিনি তুলে এনেছেন। যে কোনো ইতিহাস পাঠ করার ক্ষেত্রে এই নির্যাস এক সুসংহত কাঠামো হিসেবে আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে।

সর্বপ্রথম মার্কস মনে করেন মানুষের সামাজিক সংগঠনে কাজ করার মূল বৈশিষ্ট্য হলো যে সে তার বস্তুগত চাহিদা পূরণ করার জন্য সদাসর্বদা চেষ্টা চালায়। তার এই অভাব বা চাহিদা পূরণ হয় উৎপাদনের দ্বারা। এবং উৎপাদন করা তখনই কেবলমাত্র সম্ভব যদি নারী ও পুরুষ কোনো সমাজে বাস করে। মার্কস বলেছেন, ‘মানুষের বস্তুজীবনে উৎপাদন মানুষের সামাজিক রাজনৈতিক এবং বৌদ্ধিক জীবনের স্বাভাবিক পদ্ধতিকে নির্ধারণ করে।’ মার্কসবাদের মূল ভিত্তি হলো এই ধারণা এবং এই কারণে ইতিহাসের সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিকে বলা হয় ঐতিহাসিক বস্তুবাদ।

ভাববাদী দার্শনিকদের কাছে ইতিহাস ভাব বা স্বর্গীয় অধ্যাদেশ বলে মনে হয়েছে অথবা আরও নিম্নস্তরের কাছে ইতিহাস পরিগণিত হয়েছে সহজাত ধর্মীয় অথবা জাতীয় অধ্যাদেশ হিসেবে। মার্কসবাদ এই দৃষ্টিভঙ্গির সম্পূর্ণ বিরোধী। পরবর্তীকালে মার্কস মানুষের ইতিহাস-পূর্ব জীবনের অস্তিত্বকে চিহ্নিত করেন। তখন মানুষ উৎপাদন করত না। তারা শিকার, মাছ ধরা, ফল সংগ্রহ ইত্যাদির মাধ্যমে খাদ্য সংগ্রহ করত। মানুষ তখন ছিল প্রাগৈতিহাসিক এক শ্রেণিহীন সমাজে এক গোষ্ঠী হিসেবে।

কিন্তু সেই মায়া কৃষিকার্য শুরু হলো, সে ‘উদ্বৃত্ত’ অথবা ‘উৎপাদকের বেঁচে থাকার জন্য যা প্রয়োজন তার তুলনায় সে বেশি উৎপাদন’ করতে শুরু করল। সমাজ তখন দুটি ভাগে বিভক্ত হলো- একদল যারা উৎপাদন করে এবং অন্যদল যারা উৎপাদনকারীকে উদ্বৃত্ত উৎপাদন ত্যাগ করতে বাধ্য করে। দ্বিতীয় দল বলপ্রয়োগ করে তাদের এই অবস্থান অর্জন করে এবং এর ফলে রাষ্ট্র এবং ব্যক্তি মালিকানার প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে ওঠে।

মানুষ দাসের মতো মালিকের ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত হয়। একই রকমভাবে জমিও ব্যক্তি মালিকানায় চলে আসে। এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বস্তুগত চাহিদা পূরণের জন্য মানুষের প্রচেষ্টা শ্রমজীবী মানুষের শ্রমে উৎপন্ন উদ্বৃত্ত দখল করার সংগ্রামের সঙ্গে জড়িয়ে যায়। এই শ্রমজীবী মানুষ মূলত শ্রমিক এবং কৃষক। মানুষের সমাজও শোষণের সমাজে পরিণত হয় এবং তাই মার্কস ও এঙ্গেলস কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো’তে যথার্থই বলেন ‘সমাজের এতদিনকার প্রচলিত ইতিহাস হলো শ্রেণি সংগ্রামের ইতিহাস।’ মার্কস মনে করেন যে, নিয়ম কখনোই পাল্টায় না তা হলো এই যে সব কিছুই পরিবর্তনশীল।

উত্তরোত্তর এই পরিবর্তনশীলতা এমন সার্বিক পরিবর্তন সূচিত করে যে, মানুষের ইতিহাস কতগুলো বিচ্ছিন্ন সামাজিক রূপের পরম্পরা বলে মনে হয়। তবে কিভাবে উৎপাদন সংগঠিত হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করেই দাঁড়িয়ে থাকে প্রতিটি সামাজিক রূপ বা গঠন। সামাজিক গঠনের এই ভিত্তিকেই মার্কস বলেছেন উৎপাদন সম্পর্ক। এই উৎপাদন সম্পর্কের সীমারেখা তৈরি হয় ‘উৎপাদনের উপায়’ অর্থাৎ সেই সময় প্রচলিত যন্ত্রপাতি এবং উৎপাদন প্রকৌশল দ্বারা।

ইউরোপকে ভিত্তি করে মার্কস আদিম বা চিরায়ত সমাজ সংগঠনকে বিশ্লেষণ করলেন এবং দেখালেন যে, আদিম সমাজ নির্ভরশীল ছিল দাসপ্রথার ওপর যা সামন্তযুগে নির্ভর করে দাস-কৃষি শ্রমিকের ওপর। অবশেষে আসে বুর্জোয়া বা ধনতান্ত্রিক উৎপাদন প্রক্রিয়া যা নির্ভর করে মজুরি শ্রমিকের ওপর। এটা সম্ভব হয় কলকারখানা ব্যবস্থা গড়ে ওঠার জন্য। ইউরোপে ধনতন্ত্রের উদ্ভব ঘটলেও এর বৈশিষ্ট্যই এমন ছিল যে তা বিশ্বব্যাপী এক ব্যবস্থায় পরিণত হয়।

এ ব্যবস্থাই শোষণভিত্তিক সামাজিক সংগঠন। এবং আমাদের লক্ষ্য হবে একে পরিবর্তন করে শ্রেণিশোষণহীন সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েম করা। সমাজ সংগঠনের এই যে পরিবর্তনের পরম্পরা- এর পেছনে কারণ কিছু স্পষ্টতই অন্ধ প্রাকৃতিক শক্তি নয় এবং স্পষ্টতই শ্রেণিসংগ্রাম যা মানুষ প্রতিনিয়ত করেছে। যেখানেই মানুষ কোনো কর্মপ্রক্রিয়া গ্রহণ করুক, সেই কর্মপ্রক্রিয়ার পেছনে থাকে তার স্বেচ্ছাকৃত চিন্তাভাবনা অথবা ‘চেতনা’ এবং কর্মপ্রক্রিয়ার চালিকাশক্তিই হলো এই চেতনা।

মার্কস বলেছেন, ‘এইভাবে মানবজাতি অবশ্যম্ভাবিভাবেই সেই কাজ সম্পাদন করার জন্য এগিয়ে যায় যা সমাধান করা সম্ভব হয়, কারণ আরও গভীরভাবে পরীক্ষা করলে এটাই সর্বদা দেখা যাবে যে, সমস্যাটি আপনা থেকে উদ্ভব হয়েছে ঠিক তখন, যখন এর সমাধানের বস্তুগত শর্তাদি ইতোমধ্যেই তৈরি হয়েছে অথবা নিদেনপক্ষে তৈরি হওয়ার পথে রয়েছে।’ কোনো একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির ব্যক্তিরা যেমন কৃষকরা নিজেদের শ্রেণি সম্পর্কে অবহিত ছিল না।

এক্ষেত্রে মানুষকে এই যুক্তিসিদ্ধ ধারণা থেকে দুর্বোধ্যতায় নিয়ে গেছে ধর্ম। মার্কস সেই কারণে শুরুতেই বলেছিলেন ধর্ম হচ্ছে ‘মানুষের কাছে আফিম’। মার্কস জাতপ্রথার সামাজিক বিভাজনকেই ‘ভারতের অগ্রগতি ও ক্ষমতার পথে নির্ণায়ক এক প্রতিবন্ধকতা’ বলে চিহ্নিত করেছেন। অপরপক্ষে, মার্কস নিজেই শনাক্ত করেছেন যে, আধুনিক যুগে প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা পুঞ্জি সৃষ্টিতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল।

এভাবে ধর্মীয় জগৎ বাস্তব ‘জগতের প্রতিফলন’ (মার্কস), বাস্তব জগতের জটিলতার ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। মার্কস বলছেন- ‘প্রাচীন এবং রক্ষণশীল সংস্কার এবং মতামতগুলোর সঙ্গে এতদিনকার নির্দিষ্ট এবং বরফজমা সম্পর্কগুলো ধুয়েমুছে যায়, যা কিছু নবগঠিত ছিল তা শক্ত হাড়ে পরিণত হওয়ার আগেই প্রাচীন সংগ্রহশালায় চলে যায়। যা কিছু নিরেট গলে মিশে যায় বাতাসে, যা কিছু পবিত্র তা অবজ্ঞায় পরিণত হয় এবং অবশেষে মানুষ মানুষের প্রতি এবং জীবনের সত্যিকারের সম্পর্কগুলোর প্রতি তার নরম অনুভূতিগুলো নিয়ে মুখোমুখি হতে বাধ্য হয়। (মার্কস-এঙ্গেলস, কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো)

চেতনার এই মুক্তি যন্ত্রপাতি, আধুনিক প্রযুক্তি, অর্থনীতি প্রভৃতির মতো বস্তুগত উপাদানের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো যে সম্ভাবনা তৈরি করে তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং তা সম্ভব হয় শ্রেণিশোষণের অবলুপ্তি এবং সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।

মার্কসবাদ অথবা বৈজ্ঞানিক সমাজবাদ মুক্তিপ্রাপ্ত চেতনার চূড়া তৈরি করে এবং শ্রমিকশ্রেণি তার লড়াই সংগ্রামের দ্বারা আসন্ন নতুন ধারার অগ্রদূত হয়ে ওঠে। কিন্তু এক্ষেত্রে শ্রমিকশ্রেণিকে নিজেকে সচেতন হতে হবে এবং বাস্তব পরিস্থিতি যে নতুন সম্ভাবনাকে সফল করে তুলতে পারে তা লাভ করার আগে শ্রমিকশ্রেণিকে তার নিজের ঐতিহাসিক ভূমিকা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। লেখক: কবি ও প্রাবন্ধিক

নয়া শতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ