যারা ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডের একটি ভবনের ছবি শেয়ার করছেন, তাদের খিলগাঁও তালতলা আসার অনুরোধ জানাচ্ছি। আপনি কি সম্প্রতি খিলগাঁও তালতলা এলাকা ভিজিট করেছেন? না করলে আসুন। দেখুন।
বিশেষত সন্ধ্যায় আসুন। গভীর রাতে আসুন। গত ৫/৭ বছরে এ এলাকাটি আবাসিক থেকে সম্পূর্ণ বাণিজ্যিকে রূপ নিয়েছে। কোথাও নেই কোনোরকম অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এলাকাটির প্রধান সড়ক, যেটি ‘শহীদ বাকী সড়ক’ নামে পরিচিত। এই রোডের দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একতলা, দোতলা থেকে ৬, ৮ ১০ বা তারও বেশি উচ্চতার ভবনগুলো আবাসিক ভবন হলেও, সবগুলোতেই রেস্টুরেন্ট খোলা হয়েছে। এমনও ভবন আছে, যেটার প্রত্যেক ফ্লোরে একাধিক রেস্টুরেন্ট- ছয়, সাত তলা পর্যন্ত।
কোনো কোনো ভবনের ছাদে রেস্টুরেন্ট খুলে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। ওঠানামার জন্য বানানো হয়েছে ২/৩ ফুট চওড়া অস্থায়ী সিড়ি। লাগানো হয়েছে ওয়ান টাইম লিফটও।
আবার এমনও ভবন আছে, রেস্টুরেন্ট কাম আবাসিক কাম স্কুল! যেগুলোর প্রত্যেকটিই একেকটি মৃত্যুকূপ। গত দু’তিন বছরে এখানে বিএফসিসহ কয়েকটি ভবন ও খাবারের দোকানে ছোট-খাটো একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে।
বিকেল ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এ এলাকার ফুটপাতে হাঁটাই দায়। রাস্তায় মানুষ, গাড়ি, রিকশা, বিকট হর্ণে রীতিমত হুলস্থুল লেগে থাকে।
এখানে আবাসিক ভবনগুলোর প্রায় প্রতিটাতেই রেস্টুরেন্ট ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ফুটপাত ও রাস্তার খোলা অংশগুলো দোকান, ভ্যান আর টং দোকানে ভরা। আবাসিকের কোনো চরিত্রই পাবেন না এখানে!
অথচ এখানে এ, বি ও সি তিনটি ব্লক রয়েছে, আবাসিক হিসেবে। যেগুলো সরকারি প্রকল্প। এর সবগুলোই এখন কমার্শিয়াল। যে কোনোদিন এখানে ঘটতে পারে চুড়িহাট্টা, নিমতলী, বনানী কিংবা বেইলি রোডের চেয়েও ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ঘটতে পারে বড় রকমের হত্যাকাণ্ডও।
নয়াশতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ