ঢাকা, রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ

প্রকাশনার সময়: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৪০

২০ শতকে গণতন্ত্রের জোয়ার বয়ে গিয়েছিল বিশ্বব্যবস্থায়। গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ছিল উন্নয়ন মডেলের একটি মৌলিক উপাদান। এর মধ্যেই জনগণের প্রকৃত মৌলিক অধিকারের বিষয়টি খোঁজা হয়েছিল। তাই দেশে দেশে ছিল গণতন্ত্রের জয়জয়কার। তবে একুশ শতকের পৃথিবীতে গণতন্ত্রের বিপরীতে কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থাকে একটি উন্নয়ন মডেল হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে।

আগে উন্নয়ন, পরে গণতন্ত্র- এমন একটি প্রচারণা সামনে নিয়ে আসা হয়েছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোয়। ফলে বিশ্বের দেশগুলোয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে এবং পক্ষান্তরে কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থার রাষ্ট্রের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ মুক্ত সমাজব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে এবং বদ্ধ সমাজব্যবস্থার সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। কর্তৃত্ববাদী শাসনে মানুষকে জোরপূর্বক বাকহারা করার চেষ্টা করা হচ্ছে উন্নয়নের নামে।

এসব দেশে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে একজন মাত্র শাসকের পদতলে নিয়ে এসে সব রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ক্ষুদ্র একটি পরিবার ও চক্রী দলের হাতে কেন্দ্রীভূত করে গণতন্ত্রের কফিনের ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে আধুনিক কর্তৃত্ববাদী শাসনের মিনার। আর এখানে মানুষের সব অধিকার অস্বীকার করে শাসন ব্যবস্থার মিনারের চূড়ায় বসে থাকা শাসকের ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে বলপূর্বক চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে জনগণের ওপর। জনগণের সমর্থন আছে কি নেই, সে সম্পর্কে ভ্রূক্ষেপ করা হয় না।

স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির আগে সামরিক শাসন ছিল বিশ্বরাজনীতিতে একটি অনিবার্য বাস্তবতা। স্নায়ুযুদ্ধোত্তর রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপের প্রবণতা অনেকটা কমে গেলেও তা একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায়নি। এখনো আফ্রো-এশিয়ার অনেক দেশেই সামরিক শাসনের উপস্থিতি লক্ষণীয়। সামরিক বাহিনী কোনো কোনো দেশে প্রত্যক্ষভাবে শাসন না করলেও পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করছে। যদিও সামরিক বাহিনীর প্রভাব স্নায়ুুযুদ্ধকালীন অবস্থা থেকে দুর্বল হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

পৃথিবীর প্রায় প্রতি প্রান্তে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে এবং উন্নয়নশীল বহু দেশের সামরিক বাহিনী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। প্রাচীনকালের বা মধ্যযুগের বা আধুনিককালের কর্তৃত্ববাদী শাসকদের মধ্যে মাত্রাগত পার্থক্য থাকলেও চরিত্রগত বা কার্যক্রমগত কোনো পার্থক্য এদের মধ্যে পরিলক্ষিত হয় না।

যদিও পৃথিবীর প্রতিটি রাষ্ট্র মানবাধিকার রক্ষার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রণয়ন করছে বিভিন্ন মানবাধিকার সনদ। এসব রাষ্ট্র দ্বারাই আবার মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে যারা রয়েছেন তারা এসব করেন। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর গঠন করা হয়েছিল লীগ অব ন্যাশনস।

এটি ব্যর্থ হওয়ার পর এর অপমৃত্যু ঘটে। সংঘটিত হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে গঠিত হয় ইউনাইটেড ন্যাশন, বাংলায় যা জাতিসংঘ হিসেবে পরিচিত। সর্বস্তরের মানুষের মানবাধিকার রক্ষার জন্য তথা নারী, পুরুষ, শিশু, নৃজাতি, রিফিউজি, অধিবাসী, রাষ্ট্রবিহীন অধিবাসী, পঙ্গু, অবহেলিত, সব মানুষের অধিকার রক্ষার্থে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মাধ্যমে মানবাধিকার সনদ অনুমোদন হয়েছে।

যেসব অধিকার কোনো কারণে সংশ্লিষ্ট মানবাধিকার সনদ থেকে বাদ পড়েছে সেগুলোকে পূর্ণ করেছে আন্তর্জাতিক প্রোটোকল। তারপরও সর্বস্তরে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কি? পৃথিবীর কোনো ধর্মতে কি আছে- আসুন মানুষ হত্যা করি, ঘর-ফসল জ্বালিয়ে দেই, নারী ধর্ষণ করি, শিশুকে মেরে ফেলি। না, কোনো ধর্ম বাণীতেই হত্যার স্থান নেই, অমানবিকতার স্থান নেই।

মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কোনো না কোনোভাবে সব ধর্মের মূল বাণী শান্তি ও মানবতা। রাষ্ট্র ও সমাজ কর্তৃক স্বীকৃত ও অনুমোদিত সুযোগ-সুবিধা যা পেয়ে মানুষ বিকশিত হয়, তাকেই অধিকার বলে। যেমন, পরিবার গঠন, ভোটদান ইত্যাদি।

শিক্ষা, চিকিৎসা, অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থান মানুষের সর্বজনীন মৌলিক অধিকার। অধিকারকে আমরা দুভাবে চিন্তা করতে পারি। একটি হলো নৈতিক অধিকার, যা মানুষের বিবেকবোধ থেকে আসে। অপরটি হলো আইনগত অধিকার। আইনগত অধিকার আবার রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক- এ তিনভাগে ভাগ করা যায়, যেসব রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অধিকারের কথা সব দেশের সংবিধানে উল্লেখ থাকে এবং সরকার কর্তৃক অলঙ্ঘনীয় তাই মৌলিক অধিকার।

আর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মৌলিক অধিকারই হলো মানবাধিকার। এক কথায় মানবাধিকার হলো জাতিসংঘ ঘোষিত এমন কতগুলো অধিকার, যা জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে ভোগ করা যায়। মানব পরিবারের সব সদস্যের সর্বজনীন, সহজাত, অ-হস্তান্তরযোগ্য এবং অলঙ্ঘনীয় অধিকারই হলো মানবাধিকার।

এটি প্রতিটি মানুষের জন্মগত ও অবিচ্ছেদ্য অধিকার, যা সে নিজে ভোগ করবে এবং চর্চা করবে। তবে এ চর্চা অন্যের ক্ষতিসাধন ও শান্তি বিনষ্টের কারণ হতে পারবে না। আঞ্চলিক যুদ্ধ, সংঘাত, হানাহানির কারণে মানুষের অধিকার যখন বারবার লঙ্ঘিত হচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের বিষয়টি এখন আরও প্রকটভাবে অনুভূত হচ্ছে। একটি পরিবার ও সমাজের কর্তারা তাদের অধীনস্থদের অধিকার রক্ষা করবে, রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার রক্ষায় ভূমিকা পালন করবে।

জাতিসংঘের ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটসের প্রথম অনুচ্ছেদে রয়েছে যে, জন্মগতভাবে সব মানুষ স্বাধীন এবং সমান সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী। ২০২০ সালে কোভিড-১৯ আঘাত হানার পর যে বিশৃঙ্খলা ও দুর্দশাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা দেখে মনে আশা জেগেছিল। মনে হয়েছিল, এই বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি থেকে এবার হয়তো কোনো আশাবহ কিছু বেরিয়ে আসবে।

অল্প সময়ের জন্য হলেও এটিকে সম্ভব বলে মনে হয়েছিল। করোনার সময় আমাদের সবার ওপর যে নাজুক অবস্থা নেমে এসেছিল এবং আমরা যেভাবে পারস্পরিক সহমর্মিতা দেখিয়েছিলাম, তা আমাদের ভৌগোলিক সীমানার ঊর্ধ্বে উঠে মানবিক সংহতি প্রকাশের একটি সুযোগ করে দিয়েছিল। ওই সময় আমাদের সাধারণ সংহতিকে মনে করিয়ে দেয়ার স্মারক হিসেবে মহামারিটি ভূমিকা রেখেছিল। এখন দেখছি, ওই সময় আমাদের আশা করাটাও ভুল ছিল কি না।

কারণ, যেই মাত্র মহামারি চলে গেল, অমনি মানুষ আবার আগের চেহারায় ফিরে গেল। তাহলে কী আমাদের সংহতি-সহমর্মিতার পাঠ আবার উবে গেল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থার সবগুলো না হলেও অনেকগুলোই ভেঙে পড়ছে বলে মনে হচ্ছে। শান্তিপূর্ণ পদক্ষেপ বাদ দিয়ে সামরিক সংঘাতই এখন দেশের সঙ্গে দেশের এবং দেশের ভিতরের বিবদমান পক্ষগুলোর মতবিরোধ নিষ্পত্তির মোক্ষম পদ্ধতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নেতৃত্বাধীন বহুপক্ষীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা একেবারে অপ্রাসঙ্গিকতার দিকে চলে যাচ্ছে। এখন বৈশ্বিক উত্তর এবং বৈশ্বিক দক্ষিণের বৈষম্যের ব্যবধান আরও চওড়া হয়েছে। বৈশ্বিক দক্ষিণের দেশগুলোর বেশির ভাগই ঋণের বোঝায় দিন দিন নুয়ে পড়ছে। এর ফলে দারিদ্র্য বেড়েছে। অভিবাসন বেড়েছে। পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাসের বীজ রোপিত হয়েছে। জনতুষ্টিবাদ ও কর্তৃত্ববাদের বাড়বাড়ন্তর সঙ্গে সঙ্গে মানবাধিকার এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ তীব্র হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা দ্রুত যেন চূড়ান্ত পরিণতির দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। সবকিছু যেন বৈশ্বিক ব্যবস্থাকে আগের চেয়ে নাজুক করে ফেলছে। তবে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বিশ্বব্যবস্থার জন্য চরম আঘাত হয়ে নেমে এসেছে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের চরম লঙ্ঘন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দানের বিশ্বাসের ভিত্তিকে নাড়িয়ে দেয়।

এটি আমরা প্রথমে ইসরায়েলে দেখেছি। এখন গাজায় দেখছি। এই ঘৃণ্য কাজগুলোকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কৌঁসুলির অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষে থাকা উচিত। এই জঘন্য কর্মকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারপ্রক্রিয়ায় আমলে নেয়া উচিত। আমরা যে অন্ধকার গহ্বরের অতলে পতিত হচ্ছি, সেই পতনকে এখনই থামাতে হবে।

আত্মরক্ষার অধিকার সংকুচিত করা এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নিরাপত্তা পরিষদের ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর মতো আন্তর্জাতিক নীতিবিরোধী কাজ সভ্য দুনিয়ায় অকল্পনীয়। কিন্তু সেটিই ঘটেছে। গাজার মাটিতে দাঁড়িয়ে জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন মানবিক কর্মকর্তারা হতাশা প্রকাশ করতে ‘দুনিয়ার নরক’ এবং ‘মানবতা বিদায়’ এসব বাক্যাংশ ব্যবহার করেছেন। তাদের সেই হাহাকার ধ্বনি খুব কমই মানুষ শুনেছে বলে মনে হচ্ছে।

পশ্চিমা এবং আরব ও মুসলিম বিশ্বের মধ্যে এখন ছাড়াছাড়ি হয়ে যাচ্ছে। গাজার নারকীয় অবস্থা দেখে পশ্চিমা ও আরব জনগণ তাদের নেতাদের প্রতিও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। তাদের দেশের শহরের রাস্তায় রাস্তায় নেতাদের প্রতি ক্রোধে ভরা বক্তৃতা শোনা যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে এবং বিশ্বের ছোট ছোট শহরে সেসব বিক্ষুব্ধ ভাষণ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।

এসব দেখে মনে হচ্ছে, কয়েক দশক ধরে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার সেতু নির্মাণের যে প্রচেষ্টা জারি ছিল, তা একেবারে ভেস্তে গেছে। এ ছাড়া আরব ও মুসলিম বিশ্ব পশ্চিমা মূল্যবোধ ও নীতির প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে। আন্তর্জাতিক আইন ও প্রতিষ্ঠান, মানবাধিকার এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ- এসবে মুসলিম বিশ্ব এখন আর আস্থা রাখতে পারছে না।

আরব ও মুসলিম বিশ্ব মনে করছে, পশ্চিমারা নিজেই দেখাচ্ছে যে পৈশাচিক পাশবিকতায় তারা সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। তারা মনে করছেন, যেন গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও উদার মূল্যবোধ একসময় আরব বসন্তকে উদ্দীপ্ত করেছিল, সেসব আসলে পশ্চিমা আধিপত্যের হাতিয়ার। এ অনাস্থা বর্তমান বিশ্বব্যবস্থাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও প্রতিযোগিতার যুগে মানুষ ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সভ্যতার বিকশিত সময় ও আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রগতির যুগেও মনুষ্য সমাজে সহিংসতা, রক্তপাত, হানাহানি, বিদ্বেষ, প্রতিহিংসাপরায়ণতা আর উন্মাদনার যে চিত্র প্রায় নিত্য ফুটে উঠছে, এতে মানবতা আজ বিপন্ন। পৃথিবীতে মানুষের যা কিছু উদ্যোগ-উদ্যম, সবকিছুই শান্তিতে বেঁচে থাকার লক্ষ্যকে ঘিরে আবর্তিত হয়। পৃথিবী সুখময় না দুঃখময় এ নিয়ে তাত্ত্বিক বিতর্ক হতে পারে কিন্তু এ কথা সন্দেহাতীতভাবে প্রতিষ্ঠিত যে বিশ্বে নিরাপদে বেঁচে থাকার সাধনাতেই মানুষ নিজেকে ব্যস্ত রাখে।

দুঃখের বিষয়, আমরা যত সভ্যতার দিকে ধাবিত হচ্ছি, ততই যেন মানবিক গুণাবলি হারিয়ে ফেলছি। করোনা এসে এ মানবিকতায় বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, আমরা কতটা মানবিকতা ধারণ করতে পারছি। কতটা অন্যের স্বার্থরক্ষা করতে পারছি। তবে আমাদের হতাশ হলে চলবে না। আমাদের চিরকালের মানবিক মূল্যবোধ ও নীতিনৈতিকতার দিকে তাকাতে হবে। আমাদের এ আচার-আচরণে করোনাভীতি সাময়িকভাবে আস্তরণ ফেললেও তা শেষ হয়ে যায়নি। এখনো মানুষের মধ্যে মানবিকতা রয়েছে। প্রয়োজন শুধু তা জাগিয়ে তোলা।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক

নয়া শতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ