গোটা বিশ্ব এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির বদৌলতে বিভিন্ন জাতি, গোষ্ঠী, অঞ্চল ও দেশের ভৌগোলিক সীমানা সংকোচিত হয়ে পৃথিবী গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। যোগাযোগের বিস্ময়কর উন্নয়ন, নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, প্রযুক্তি বিপ্লব, উন্মুক্ত বাজার অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ফলে বিশ্বে যে নতুন পরিবর্তিত পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে, এটিই বিশ্বায়ন বা গ্লোবালাইজেশন।
নতুন বিশ্ব ব্যবস্থাপনায় আইনের শাসন, মানবাধিকার, সমতা, আন্তর্জাতিক আইনের নিয়ম-কানুন, গণতন্ত্র প্রভৃতির ধারণা ও প্রয়োগ বিভিন্ন দেশ এবং সমাজে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। মানুষের চিন্তা-চেতনা ও মননকে বিশ্বায়ন প্রবলভাবে নাড়া দিয়েছে। বিশ্বায়ন অভিযানের নেতৃত্ব দানকারী দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশের শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষণ, পরিবেশ প্রতিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার হেফাজত, স্বাস্থ্যপরিচর্যা প্রভৃতি বিষয়ে নজরদারি করে থাকে আর্থিক সহায়তা, কারিগরি সাহায্য ও বিশেষজ্ঞ সরবরাহের মাধ্যমে। বিশ্বায়নের লক্ষ্য হচ্ছে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশের রাষ্ট্রীয় নীতি ও অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ এবং পুঁজির অবাধ প্রবাহে সহযোগিতা প্রদান, যাতে দারিদ্র্য দূরীকরণ সহজতর হয়।
আজ বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো যুদ্ধ করার জন্য পারমাণবিক অস্ত্র কেনইবা তৈরি করে। কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে তারা এর বদলে কিনবে বা তৈরি করবে উন্নত প্রযুক্তি। পারমাণবিক বোমা পরিচালিত হয় কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তির মাধ্যমে। এটি অনেকের কাছে অবাস্তব ও কাল্পনিক। তবে নিকট ভবিষ্যতেই এমন ঘটনা ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে গোয়েন্দাগিরির জন্য এখন আর শত শত কর্মকর্তার টিমের প্রয়োজন হয় না।
একটি প্রযুক্তি পণ্য দিয়েই বহু মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে ইসরায়েলের গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদ। ডিজিটাল মাধ্যমে অসম্ভব বলে কোনো শব্দ নেই। আজ যেটি করা যাচ্ছে না, কাল সেটি সম্ভব। প্রতিদিন নতুন নতুন প্রযুক্তি তৈরি হচ্ছে। আর প্রত্যেকটিতেই থাকছে প্রচুর পরিমাণে দুর্বলতা। কোনো হ্যাকার ওই প্রযুক্তিতে দুর্বলতা খুঁজে বের করতে পারলেই তা হ্যাক করে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারবে অনায়াসেই। অনেকেরই ধারণা, সাধারণ মানুষ প্রযুক্তির কুফলের মধ্যে নেই।
তাই এ বিষয়ে কিছু না জানলেও চলবে। কিন্তু বাস্তব সত্য হলো, যিনি একটি মোবাইল ব্যবহার করছেন তিনি সাইবার জগতের একজন সক্রিয় সদস্য। তার লেবেল অনুযায়ী যে কোনো মুহূর্তেই বিপদে পড়তে পারেন। তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ও অপরাধের আলোচনায় স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লবের শুরু এবং বর্ধিষ্ণু প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়তে থাকা অপরাধ ও তার ভয়াবহতার চিত্র। সাধারণত বাংলাদেশ ও বিশ্বে কী ধরনের সাইবার অপরাধ হয়ে থাকে তার ধারণা দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে স্থান পেয়েছে মোবাইল ব্যবহার করে প্রতারণা ও অন্যান্য অপরাধ, কম্পিউটার ভিত্তিক অপরাধ এবং অন্যান্য টেকনোলজি ব্যবহারের মাধ্যমে করা অপরাধগুলোর পদ্ধতি। সমাধানের সন্ধানে বলা হচ্ছে, ব্যক্তি সচেতনতা, আইনি ব্যবস্থা, দেশে দেশে প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও ভবিষ্যতের প্রত্যাশা। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সাইবার ক্রাইম মোকাবিলা। প্রযুক্তি যত দ্রুত এগোচ্ছে, প্রযুক্তি নির্ভর সন্ত্রাসীরা তার চেয়ে বেশি গতিতে এগোচ্ছে।
তাই এখনই তাদের রুখতে না পারলে পরবর্তীতে তা আরও কঠিন হয়ে পড়বে। বেশ কিছু নতুন ঝুঁকি উদ্ভূত হচ্ছে, যা বৈশ্বিক ব্যবস্থাকে আরও অস্থিতিশীল করার হুমকি দিচ্ছে। দ্বন্দ্ব এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা শতাব্দী ধরে বিশ্বকে জর্জরিত করলেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যাপক ব্যবহার নতুন হুমকির সৃষ্টি করছে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের গ্লোবাল রিস্ক রিপোর্টের ২০২৪ সালের সংস্করণে স্বল্পমেয়াদি সবচেয়ে গুরুতর হুমকি এবং দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকি সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হয়েছে। গত বছরের রিপোর্ট থেকে এ বছরের রিপোর্টে তিনটি বড় পরিবর্তন রয়েছে এবং সেগুলো সবই উৎপাদনশীল এআইয়ের বিস্তার এবং এর সম্ভাব্য অপব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কিত।
এ উদীয়মান ঝুঁকিগুলোর মধ্যে একটিকে স্বল্পমেয়াদে সবচেয়ে গুরুতর হিসেবে স্থান দেওয়া হয়েছে। গ্লোবাল রিস্ক রিপোর্ট ২০২৪ অনুসারে, হেরফের করা তথ্য এবং মিথ্যা তথ্য এখন বিশ্বের সবচেয়ে গুরুতর স্বল্পমেয়াদি ঝুঁকি। আগামী দুই বছরে ভুল তথ্য এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
এদিকে সারা বিশ্বে এ বছর প্রায় তিন বিলিয়ন মানুষ নির্বাচনে অংশ নেবেন। ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের ভোট দেওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ ও তাইওয়ানের নির্বাচন ইতিমধ্যে চলতি বছর অনুষ্ঠিত হয়েছে। এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভুল এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য বিভিন্ন দেশে নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে আমূলভাবে ব্যাহত করতে পারে। এই ব্যাঘাত নাগরিক অস্থিরতা এবং সংঘর্ষের কারণ হতে পারে।
এটি গণমাধ্যম এবং সরকারি উৎসগুলোর প্রতি অবিশ্বাসকে বাড়িয়ে তুলবে। ভুল তথ্য এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য সেই সমাজে মেরুকৃত দৃষ্টিভঙ্গিকে গভীর করবে, যেখানে কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শ ইতোমধ্যে দৃঢ় অবস্থায় রয়েছে বা পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। এ ছাড়া সিন্থেটিক কন্টেন্টের মাধ্যমে ভুল তথ্য এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। এর মধ্যে রয়েছে ডিপফেক ভিডিও, ভয়েস ক্লোনিং এবং নকল ওয়েবসাইট তৈরি করা। উৎপাদনশীল এআইয়ের ব্যাপক ব্যবহারের মাধ্যমে এসব তৈরি করা হয়।
বিভিন্ন দেশের নিয়ন্ত্রকরা এআইয়ের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে নতুন আইন তৈরির জন্য কাজ করছে। কিন্তু প্রযুক্তি যে গতিতে অগ্রসর হচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়াকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। গণতন্ত্র এবং সামাজিক সংহতির জন্য হুমকির বাইরে এআইয়ের সম্ভাব্য নেতিবাচক দিকগুলো গ্লোবাল রিস্ক রিপোর্ট ২০২৪-এ আরেকটি ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। স্বল্পমেয়াদি হিসেবে এআই সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলো তীব্রতার দিক থেকে ২৯তম স্থানে রয়েছে।
কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি হিসেবে এটি দ্রুত এগিয়েছে এবং সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে এআই সংযুক্ত হওয়ায় স্থান নির্ধারণে হুমকিটি ছয় নম্বরে উঠে গেছে। মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর পাশাপাশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ব্যাপন চাকরি হারানো, সামরিক ব্যবহারের জন্য এআইয়ের অস্ত্রায়ন, সাইবার আক্রমণে এআইয়ের অপরাধমূলক ব্যবহার এবং ব্যবসায়িক ও জাতি-রাষ্ট্রের ব্যবহূত এইআই সিস্টেমে অন্তর্নিহিত পক্ষপাত। নিয়ন্ত্রণের জন্য সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এআই সম্পর্কিত আরও ঝুঁকি উদ্ভূত হয়। কারণ এ পর্যন্ত এআইয়ের সম্ভাব্য ফলাফল সম্পর্কে অনিশ্চয়তার মুখে সতর্কতার চেয়ে উদ্ভাবনকে সমর্থন করা হয়েছে। বেসামরিক এবং সামরিক ক্ষেত্রে অগণিত সম্ভাব্য অ্যাপ্লিকেশনসহ এআই মানুষের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রযুক্তি হিসেবে দ্রুত আবির্ভূত হচ্ছে।
এ ধরনের একটি শক্তিশালী ও রূপান্তরকারী প্রযুক্তি কিভাবে তৈরি হচ্ছে, তার প্রকৃতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গ্লোবাল রিস্ক রিপোর্ট ২০২৪-এ বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী সমন্বিত সরবরাহ শৃঙ্খলে কয়েকটি কম্পানি এবং দেশের পক্ষে এআই প্রযুক্তির উৎপাদন অত্যন্ত কেন্দ্রীভূত ও অনন্য। এতে সরবরাহ শৃঙ্খল উল্লেখযোগ্য ভাবে ঝুঁকিতে পড়বে, যা আগামী দশকে দৃশ্যমান হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ঝুঁকিগুলোর মধ্যে রয়েছে এআই উন্নয়নে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া, মুদ্রাস্ফীতির কারণে খনিজ, সেমিকন্ডাক্টরসহ বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া এবং মুনাফা বাড়ানোর জন্য প্রতিযোগিতাবিরোধী অনুশীলন।
ইইউ ইতিমধ্যে এআইয়ের উন্নয়নে ন্যায্য প্রতিযোগিতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল গেটকিপারদের ক্ষমতার লাগাম টেনে ধরতে প্রবিধান বিবেচনা করছে। সন্দেহ নেই যে এআই স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং বিনোদনের মতো বৈচিত্র্যময় ক্ষেত্রে মানুষের অভিজ্ঞতা বাড়ানোর বিশাল সম্ভাবনা তৈরি করে। কিন্তু গ্লোবাল রিস্ক রিপোর্ট ২০২৪ দৃষ্টিগোচর করেছে, এ উদীয়মান প্রযুক্তি নতুন ঝুঁকি তৈরি করছে। এটি যদি সাবধানে পরিচালনা না করা হয়, তাহলে এটি এমন কিছু বড় হুমকির কারণ হতে পারে, যা আগামী দশকগুলোতে মানবজাতির মুখোমুখি হতে পারে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লক চেইন, আইওটি, ন্যানো টেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি, রোবটিকস, মাইক্রোপ্রসেসর ডিজাইনের মতো ক্ষেত্রগুলোতে জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ সম্প্রতি আইসিটি খাতে বিশ্ব তালিকায় নিরাপত্তা ও আয়ে উন্নতি করেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলারত অবস্থায় চলে এসেছে মুক্তবাজার অর্থনীতি-পরবর্তী বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ।
পাশাপাশি গণতন্ত্রায়নের সংকটের মধ্যে চলে এসেছে উষ্ণতাবৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। কোভিড-২০১৯ অতিমারি সারা বিশ্বকে স্থবির ও ভীতির মধ্যে ফেলে দিলেও এর নিয়ন্ত্রণ ছিল আশাতীত। তবে এর নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট মাঝে মাঝে চোখ রাঙাচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীর দুদশক যেতে না যেতেই অন্তত দুটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সঙ্গে ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘাত বিশ্বায়নের জটিল শৃঙ্খলে আবদ্ধ প্রতিটি দেশকে স্পর্শ করছে। এমতাবস্থায় আমরা প্রবেশ করছি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে। যেখানে স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে শিল্প ও উৎপাদন হবে স্বয়ংক্রিয়। ইতোমধ্যে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে প্রবেশ করছে।
এখানে মানুষের হস্তক্ষেপ ব্যতিরেকে মেশিন টু মেশিন ও ইন্টারনেট অব থিংসকে একত্রীকরণের মাধ্যমে রোবোটিক্স, আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স, বায়োটেকনোলজি, ন্যানোটেকনোলজি, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং আধিপত্য বিস্তার করবে। আর এসব স্মার্ট প্রযুক্তির জন্য প্রয়োজন স্মার্ট জনশক্তি।
পাশ্চাত্য দেশগুেলো ইতোমধ্যে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছে। স্মার্ট প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। আমরা আমাদের তরুণ-তরুণীদের সেভাবে প্রস্তুত করতে পারছি কী না। সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণের বয়স কাঠামো তথা তরুণ-তরুণীদের ভালো একটি হার আমাদের যেখানে সম্পদ তথা চতুর্থ বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যোগ্যতর করে তোলার কথা; সেখানে সেই তরুণ-তরুণীর একটি অংশ সমাজের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
এভাবে অরক্ষিত তরুণ-তরুণীদের নিয়ে আমরা নতুন সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শুধু ব্যর্থ হব না; নতুন প্রজন্মকে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে দিচ্ছি। আর উন্নত দেশগুলো আমাদের মেধাবীদের আকৃষ্ট করে তাদের দেশে নিয়ে সেখানের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে কাজে লাগাবে এটি তো অনেক পুরোনো নীতি। এভাবে আমাদের অর্থ-মেধা দুটিই পাচার হচ্ছে। আমাদের নতুন সময়ের নতুন প্রজন্মকে সুরক্ষিত রাখতে নতুন উদ্যোগের প্রয়োজন।
বাংলাদেশে নতুন সময়ে নতুন প্রজন্মের নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজন নতুন উদ্যোগ। স্থির ও সুদৃঢ় শিক্ষার ভিত্তি হবে বিশ্বায়নের আধিপত্যের মোকাবিলায় একমাত্র হাতিয়ার। সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে শক্তিশালী ব্লক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কার্যকর বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তিগত শিক্ষা ও চর্চা, বিভিন্ন সভ্যতা ও সংস্কৃতির মধ্যে সংলাপ, পারস্পরিক বোঝাপড়া, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান হচ্ছে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের মানুষের জন্য বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কার্যকর সমাধান।
লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক
নয়া শতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ