ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে হাহাকার

প্রকাশনার সময়: ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:১৩

দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক এবং আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বাজারে অস্থিরতা এখন সারা বিশ্বেই। সেই করোনা সংক্রামণের শুরু থেকে যে দ্রব্যসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি শুরু হয়েছে তা কোনোভাবেই থামছে না। এখন এর সঙ্গে যোগ হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এ যুদ্ধ মোকাবিলা করতে গিয়ে আমেরিকাসহ পশ্চিমাবিশ্ব যেভাবে নির্বিচারে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার তাৎক্ষণিক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে উন্নত বিশ্বের বাজারে।

এখানে জ্বালানি তেল ছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর মূল্য এমনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যে, আগে যে পরিমাণ গ্রোসারি সামগ্রী ষাট ডলার দিয়ে ক্রয় করা যেত, এখন তা ক্রয় করতে লাগে ৯০ থেকে ১০০ ডলার। শুধু তাই নয়, এ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যথেষ্ট ছলচাতুরির আশ্রয়ও নেয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে আগের মূল্য ঠিক রেখে দ্রব্যের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া হয়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ।

খাদ্যসহ সব ধরনের পণ্য ও সেবামূল্য অব্যাহতভাবে বেড়ে চলেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় ব্যবসায়ীরা যেমন খুশি তেমন দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। কোথাও পণ্যমূল্যের সমন্বয় নেই। নিম্ন ও মধ্যবিত্তের জীবনযাপনের টানাপোড়েন চরমে পৌঁছেছে। তাদের আয় বাড়েনি, ব্যয় বেড়ে গেছে বহুগুণ। তারা যে ব্যয়ের খাত বাড়িয়েছে, তা নয়, স্বাভাবিক অবস্থায় যে ব্যয়ে জীবনযাপন করত, সেই ব্যয় দিয়ে পণ্য কিনতে পারছে না। খাদ্য, চিকিৎসা, সন্তানের লেখাপড়ার অত্যাবশ্যকীয় ব্যয় ছাড়া অন্যান্য যে ব্যয় তা অনেকে বাদ দিয়েছে। ভ্রমণ, বিনোদন, বিয়ে-শাদীর দাওয়াত ইত্যাদি বর্জনের পাশাপাশি মোবাইল ডাটাসহ কম প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়েও জীবনযাপনের টানাপোড়েনে কমাতে পারছে না। বিভিন্ন তথ্য-পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সাধারণ মানুষ ভোগের চাহিদা কমাতে বাধ্য হওয়ায়, পুষ্টিহীনতাসহ নানা রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিদিন প্রাপ্ত বয়স্ক একজন মানুষের সুস্থ থাকার জন্য ২-৩ টেবিল চামচ তেল, ২৭০ ৪৫০ গ্রাম চাল আটা, ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম মিশ্র শাক-সবজি, ২৫০ থেকে ৩৫০ গ্রাম মাছ, গোশত, ডিম খেতে হয়। বাংলাদেশে নিম্ন আয়ের মানুষ এ খাদ্য গ্রহণ করতে পারছে না। বিবিএস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের মানুষ এখন দুই ধরনের পুষ্টিহীনতার শিকার হচ্ছে। প্রথমত অভাবজনিত পুষ্টিহীনতা, দ্বিতীয়ত খাদ্যসংক্রান্ত দীর্ঘমেয়াদি অসংক্রামক রোগজনিত পুষ্টিহীনতা। এর ফলে জন্ম নিচ্ছে খর্বাকৃতির ও কমবুদ্ধিসম্পন্ন শিশু। দুর্বল হয়ে পড়ছে কর্মক্ষম মানুষ।

বিগত তিন বছর ধরে সাধারণ মানুষ নানা অভাব-অনটনের মধ্যে জীবনযাপন করছে। এখন স্বাভাবিক জীবনযাপন একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, তারা খাদ্যাভাবে পড়েছে। স্বাচ্ছন্দ্য জীবন থেকে কষ্টকর জীবনে নেমে গেছে। অনেক পরিবার আগে যেখানে সপ্তাহে এক-দুই দিন মাছ-গোশত খেত, এখন তারা তা বাদ দিয়েছে। খরচ কমিয়েও কুলিয়ে উঠতে পারছে না। এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সর্বত্র পড়ছে। ভোগ কমে গেলে উৎপাদনও কমে যায়। সাধারণত চাহিদার সঙ্গে উৎপাদনের সমন্বয় করে পণ্য উৎপাদিত হয়। এর ব্যত্যয় ঘটলে অর্থনীতিসহ মানুষের জীবনযাপনের অবনমন ঘটে। ইতোমধ্যে অনেক উৎপাদক উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। খরচ কমাতে নীরবে কর্মী ছাঁটাই করছে। বেতন বৃদ্ধি দূরে থাক, উল্টো কমিয়ে দিচ্ছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। কর্মজীবীদের এ অবস্থা হলে, কর্মহারাদের কী অবস্থা, তা অনুমান করতে কষ্ট হয় না। সাধারণ মানুষের মধ্যে সঞ্চয় করার প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। ব্যাংকিং ও সঞ্চয়পত্র খাত চরম আমানত সংকটে ভুগছে। যেসব সাধারণ মানুষ সঞ্চয় করেছিল, তারা জীবনযাপনের খরচ চালাতে সঞ্চয় ভেঙে এবং ব্যাংকে জমানো টাকা তুলে নিঃশেষ হয়ে গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বল্প ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের ওপর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এ ক্রমবর্ধমান চাপ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোধ করা প্রয়োজন। বেসরকারি সংস্থা এবং ব্যাংকগুলোকে গ্রামপর্যায়ে অর্থের প্রবাহ বাড়াতে হবে। যাতে করে সাধারণ মানুষ তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারে।

সর্বোপরি, অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পণ্যের বাজার মনিটরিং জোরদার করতে হবে। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে।

সরকারকে প্রতিটি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিতে হবে। বর্তমানে আইন অনুযায়ী দোকানে দোকানে পণ্যের মূল্য তালিকা টানানো বাধ্যতামূলক। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ আইন প্রয়োগের ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নিয়ে থাকে। এ ছাড়া দেশের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এতে করে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার আয়ত্বে আসবে।

তবে শুধু সরকার নয়, সাধারণ মানুষকেও দ্রব্যমূল্য সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধের জন্য সামাজিকভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। অসৎ ও মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।

বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকেও বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধি করে সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে। গণমাধ্যমগুলোকে অসৎ ব্যবসায়ীদের সচেতন করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। এভাবে সরকার, বিরোধীদল, গণমাধ্যম, জনগণ ও ব্যবসায়ী সমাজের সম্মিলিত সহযোগিতায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এটাই আজ দেশের সাধারণ মানুষের একান্ত কাম্য।

বাংলাদেশে অর্থনীতির নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে নিত্যপণ্যের বাজারে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। ক্রমেই নানা অজুহাতে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় বাজারে গিয়ে হিসেব মিলাতে পারছে না ক্রেতারা। ফলে ব্যয়ের ক্ষেত্রে কাটছাঁট করতে একরকম বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, শ্রমজীবী মানুষ। এখন বাংলাদেশের প্রধান আলোচ্য বিষয় নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি। ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এসব পণ্যের মূল্য। কোনো কোনো পণ্যের মূল্য দ্বিগুণ, তিনগুণ বেড়েছে। গত কয়েক মাস ধরে এসব পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন দেশের সাধারণ মানুষ। শ্রমজীবীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। চাল, ডাল, ডিম, চিনি ও তেলসহ প্রায় প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম এখন আকাশচুম্বী। সাধ্যের বাইরে মুরগি, গরু ও খাসির গোশত।

একথা বর্তমানে অকাট্য সত্য যে, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ প্রায় সব প্রকার সামগ্রীর মূল্য আকাশচুম্বী হয়ে পড়েছে। এমন কোনো আইটেম নেই, যার দাম কমেছে বলে শোনা যায়। একজন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী অসহায় সাধারণ নাগরিকের ব্যক্তিগত আয় রোজগারের সঙ্গে এ মূল্যবৃদ্ধির কোনো সামঞ্জস্য নেই। বাজারের অবস্থা বর্তমানে এমনই পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যে, বাজার ব্যবস্থার যে একটি স্বাভাবিক নিয়ম-কানুন থাকে, তাও ভেঙে পড়ার উপক্রম। একের পর এক মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কাই এখন বাজারের স্বাভাবিক নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থা দেশের সীমিত আয়ের শ্রমজীবী মানুষের জীবনে যে কিভাবে শোচনীয় অবস্থা ডেকে আনে, তা বোধ করি না বললেও চলে। ২০২২ সালে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বিগত দিনের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এ সময়ে সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয়। দীর্ঘ সময় ধরে চলমান করোনা মহামারি, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে সারা বিশ্বে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। দেশের সাধারণ মানুষের এখন নাভিশ্বাস অবস্থা। বিশেষজ্ঞরা বিভিন্নভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ ও সাধারণ মানুষের জীবনে এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করছেন।

তারা বলছেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে নির্দিষ্ট আয়ের পরিবারগুলো মাংস, মাছ এবং ডিম খাওয়া কমিয়ে দিচ্ছে এবং আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সঙ্গতি রক্ষায় স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে কম খরচ করার পরিকল্পনা করছে। বিভিন্ন পণ্যের দাম আগে থেকেই বেশি ছিল এবং জ্বালানি তেলের দামের সর্বশেষ রেকর্ড বৃদ্ধি সেটিকে আরও উপরে ঠেলে দিয়েছে এবং নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোকে খাদ্যের জোগান ঠিক রাখতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। নিম্ন আয়ের লোকদের জন্য প্রোটিনের প্রধান উৎস ডিম যার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। দ্রব্যমূল্যের এ ঊর্ধ্বগতির কারণ হচ্ছে ব্যবসায়ীদের অত্যধিক হারে মুনাফা লাভের আসক্তি, অবৈধভাবে যে কোনো পণ্যের মজুত বৃদ্ধি, খাদ্যদ্রব্য কিংবা বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল ও জ্বালানি সংকট, ন্যায়সঙ্গত ও নির্ধারিত মূল্য নির্ধারণ না করা, বাজার তদারকিতে অনীহা ইত্যাদি। তবে এ বিষয়গুলোর সঙ্গে গ্যাস, তেল ও বিদ্যুতের সংকট কিংবা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবও বাজার নিয়ন্ত্রণের বিষয়কে অনেকাংশে কঠিন করে তুলেছে। চলমান যুদ্ধের কারণে তেল আমদানিতে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। এমনকি এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে অযাচিতভাবে!

দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতি চলতে থাকলে অতি দ্রুত আমাদের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। তাই এখনই সরকারকে যুগোপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথমে যে কাজটি করা দরকার বলে মনে হয় তা হচ্ছে, বাজার নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সম্পৃক্ত অর্থাৎ দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান যেমন টিসিবি, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজারে দ্রব্যমূল্যের আকস্মিক পরিবর্তন ঘটানো দুষ্কৃতকারীদের মূলোৎপাটন করতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে অবৈধভাবে অধিকহারে পণ্য মজুত করতে না পারে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেয়ার পাশাপাশি আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এমনকি আমদানি নির্ভরশীলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকারকে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে। পচনশীল খাদ্যপণ্যের যথাযথ সংরক্ষণের জন্য উপজেলাভিত্তিক হিমাগার স্থাপন করতে হবে। দেশে সংরক্ষণের অভাবে বছরে ৩০ শতাংশ খাদ্যপণ্য নষ্ট হয়। ফলে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাপ কমাতে এটি অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে। অপচয় রোধ করার পাশাপাশি সরকার প্রধানের নির্দেশনা মোতাবেক এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। মূলত আমরা যদি আমাদের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি উৎপাদনে সচেষ্ট হই, তবে একদিকে যেমন আমদানির প্রবণতা কমে আসবে, ঠিক তেমনি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের অসৎ উদ্দেশ্যও নস্যাৎ হবে। মনে রাখতে হবে, বাজার নিয়ন্ত্রণের সামগ্রিক বিষয় আমাদের হাতে থাকে না বটে, কিন্তু আমরা যদি সচেতন হই তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিম্নগামী হতে বাধ্য।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট

নয়া শতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ