ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

এক নির্লোভ দেশপ্রেমিকের বিদায়

প্রকাশনার সময়: ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:৪২
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে একুশ শতকের করোনাভাইরাস মহামারি এই পুরো পাঁচ দশকেই কোনো না কোনোভাবে আলোচনায় এসেছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশে অনেকেই যাকে সম্বোধন করেন গরিবের ডাক্তার হিসেবে।

তার স্কুল জীবনের সহপাঠী ও পরবর্তীকালে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের প্রধান ডা. মাহমুদুর রহমান বলছেন, চিন্তায় সৎ থেকে দেশের জন্য যেটা ভালো মনে হতো সেটাই সবসময় করে গেছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

১৯৪১ সালের ২৭শে ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রাউজানে জন্মগ্রহণ করা জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন পরিবারে দশ ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড়। ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী থাকার সময়ে কলেজের দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়ে আলোচনায় এসে পরে কলেজছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তখন থেকেই স্বাস্থ্যখাতের জন্য ভালো কিছু করার জন্য তিনি ছিলেন সবসময় একরোখা, কিন্তু নিজ আদর্শে অটল। ডাক্তারি পাশের পর তিনি যুক্তরাজ্যে যান।

সেখানে থাকা অবস্থায় সার্জারিতে কাজ করে সার্জন হিসেবে সে সুনাম অর্জন করেছেন। ৬৯ সালের ওই সময়ে সবাই দেশ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ি। তখন তিনি সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। ইংল্যান্ডে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন গড়ে তোলেন এবং তার নেতৃত্ব ছিল বলিষ্ঠ।

যুদ্ধকালীন সময়ে গড়ে তোলেন বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল। স্বাধীনতার পর ব্রিটেনে না গিয়ে দেশেই সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে শুরু করলেন। গণস্বাস্থ্য ধীরে ধীরে সারা বিশ্বের স্বীকৃতি পায়। ব্রিটেনে থাকার সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে প্রকাশ্যে পাকিস্তানি পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলে বিশেষ অনুমোদন নিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীকে বহনকারী যে হেলিকপ্টার হামলার শিকার হয়েছিল তাতে তিনিও ছিলেন একজন আরোহী।

মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আগরতলার মেলাঘরে তার গড়ে তোলা বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতালের ধারাবাহিকতাতেই স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের সহযোগিতায় সাভারে গড়ে তোলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। সখ্যতা ছিল দুই সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান ও জেনারেল এইচ এম এরশাদের সঙ্গেও, যা নিয়ে তিনি আলোচিত-সমালোচিতও হয়েছিলেন।

এমনকি ঔষধ নীতি নিয়ে বিরোধের জের ধরে তাকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন বা বিএমএ থেকে। তার ঔষধ নীতি বাংলাদেশের ঔষধ খাতে বিরাট পরিবর্তন নিয়ে আসে। বিশেষ করে এর জন্যই আজকের বাংলাদেশে ঔষধ খাতের এত উদ্যোক্তা।

বিতর্ক বা সমালোচনা যাই হোক জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণস্বাস্থ্যের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার একটি ভিন্ন মডেল দাঁড় করিয়েছেন যা তাকে চিরস্মরণীয় করে রাখবে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তিনি চিন্তার জগতে পরিবর্তন এনেছেন। আগে চিকিৎসা, ঔষধ বা স্বাস্থ্যনীতি নিয়ে প্রশ্ন করার চিন্তা করতো না। সেটি তিনি আমাদের শিখিয়েছেন। তিনি ব্যতিক্রমী ধারার সূচনা করেছেন। তার কাজের প্রতীক গণস্বাস্থ্য যেখানে মানসিক শ্রমের সঙ্গে কায়িক শ্রমের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন তিনি।

ছাত্রজীবনে বাম ধারার রাজনীতি করলেও পরবর্তী জীবনে সক্রিয় রাজনীতি করেননি জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তবে সবসময়ই স্বাধীন রাজনৈতিক মতামতের মাধ্যমে জনমনে প্রভাব ফেলেছিলেন তিনি। সামরিক শাসকদের সময়েই স্বাস্থ্য নীতি, ঔষধ নীতি ও নারী শিক্ষা, এমনকি সে সময়ে সহজে দেশের মানুষের জন্য পাসপোর্টের ব্যবস্থা করতে সরকারকে রাজী করানো এবং প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণে সরকারকে প্রভাবিত করতে তার ভূমিকা আলোচনায় এসেছে সবসময়। তার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ ও পারিবারিক বন্ধু ড: শাহদীন মালিক বলছেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন একজন বিরল ধরনের নির্মোহ মানুষ।

করোনাভাইরাস মহামারিতে তিনি ব্যাপক আলোচনায় আসেন তার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত টেস্ট কীট নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তবে বিতর্ক সমালোচনা যাই হোক জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্বাস্থ্যখাত নিয়ে চিন্তা ও কর্মের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিরোধ কমিয়ে এনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। হুইল চেয়ারে বসেও রাজপথের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব দিতেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

প্রায় সময় তিনি প্রেসক্লাবের সামনে হুইল চেয়ারে বসে দাবি আদায়ের কথা বলতেন। অনেক সময় তার হাতে কেনুলা থাকতেও দেখা গেছে। তিনি কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গণজমায়েত ও গণমিছিল করেছেন এই চেয়ারে বসেই। কথা বলতেন সাধারণ মানুষের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে। লুঙ্গি পরেও বিভিন্ন সভা সেমিনারে অংশ নিতেন তিনি।

এমনকি পদ্মাসেতু উদ্বোধনের দিনেও সকালে লুঙ্গি পরে হুইল চেয়ারে করে মাওয়াপ্রান্তে সমাবেশস্থলে হাজির হন তিনি। ৮২ বছর বয়সী ডা. জাফরুল্লাহ কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন বহু বছর ধরে। কয়েক দিন আগে তার বার্ধক্যজনিত জটিলতাগুলো খারাপের দিকে যায়। এ অবস্থায় তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিজের তৈরি হাসপাতালে থেকেই বিদায় নিলেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশ হাসপাতালের অভিজ্ঞতায় তিনি গড়ে তুলেছেন প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার নারী কর্মী বাহিনী, যাদের কাজের এলাকা গ্রামে। সেই সত্তরের দশকে নারীদের সাইকেল ও মোটরগাড়ি চালানো এবং নিরাপত্তাকর্মীসহ নানা পেশায় প্রশিক্ষিত করেছেন। পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন হাসপাতাল, যেখানে চিকিৎসা হবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের রেফার করা রোগীদের। মানুষের জন্য চালু করেছেন স্বাস্থ্যবিমা, যে বিমার প্রিমিয়াম নির্ধারিত হয় আর্থিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে।

বাংলাদেশে গণস্বাস্থ্যই প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার স্বাস্থ্য অধ্যায়ে স্বাস্থ্যবিমার উল্লেখ ছিল। কিন্তু সেটা করে দেখিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ। সব মিলিয়ে তার দাঁড় করানো গণস্বাস্থ্যের মডেলের ওপর ভিত্তি করে ১৯৭৫ সালে নিবন্ধ প্রকাশিত হলো বিশ্বের অন্যতম সেরা স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেট পত্রিকায়। ১৯৭৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আলমা-আটা ঘোষণায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার যে চারটি মডেল তুলে ধরা হয়েছিল, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা ছিল সেগুলোর অন্যতম।

এসব তথ্য বাংলাদেশের অনেক এমপিএইচ ডিগ্রিধারীরাও জানেন কি না, সন্দেহ। প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার স্বাস্থ্য অধ্যায়ে স্বাস্থ্যবিমার উল্লেখ ছিল। কিন্তু সেটা করে দেখিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ। সব মিলিয়ে তার দাঁড় করানো গণস্বাস্থ্যের মডেলের ওপর ভিত্তি করে ১৯৭৫ সালে নিবন্ধ প্রকাশিত হলো বিশ্বের অন্যতম সেরা স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেট পত্রিকায়।

১৯৭৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আলমা-আটা ঘোষণায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার যে চারটি মডেল তুলে ধরা হয়েছিল, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা ছিল সেগুলোর অন্যতম। এসব তথ্য বাংলাদেশের অনেক এমপিএইচ ডিগ্রিধারীরাও জানেন কি না, সন্দেহ। সাশ্রয়ী সেবামূল্যের জন্য গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল খ্যাতি পেয়েছে ‘কাজের লোকের’ হাসপাতাল হিসেবে।

গ্রামীণ ব্যাংক এবং ব্র্যাকের অংশীদারিত্বে এখানেই গড়ে উঠেছে ডায়ালাইসিস করার বিশাল এক ইউনিট। এর সেবামূল্য আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী ৩০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। এমন সেবামূল্যে দিনে ৩০০ জন কিডনি রোগীকে সেবা দেয়ার সামর্থ্য ও উদাহরণ পৃথিবীর আর কোনো হাসপাতালে আছে কি না, আমার জানা নেই। গণবিশ্ববিদ্যালয়, গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজ-এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক সেমিস্টার গ্রামে থাকা এবং গ্রামে গিয়ে একজন মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষাৎকার নেয়া বাধ্যতামূলক।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কীভাবে তরুণদের মধ্যে সঞ্চারিত করতে হবে, তা তিনি হাতেকলমে করে দেখিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ, হাসপাতাল, গণবিশ্ববিদ্যালয়, দেশ গড়া এসব বাদ দিয়েও বাংলাদেশের ওষুধশিল্প গড়ে ওঠার পেছনে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবদানকে স্বীকার করতেই হবে। ১৯৮২ সালে যখন ওষুধনীতি প্রণীত হয়, তখন বাংলাদেশের ওষুধের বাজারের ৭০ শতাংশ ছিল আটটি বহুজাতিক কোম্পানির দখলে। অপ্রয়োজনীয় ওষুধে বাজার ছিল পরিপূর্ণ। ৮৫ শতাংশ ওষুধই আমদানি করতে হতো। তার ওষুধনীতির কারণে সব অপ্রয়োজনীয় ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়; নানা প্রকার নীতি সহায়তা দিয়ে দেশি কোম্পানিগুলোকে উৎপাদনে উৎসাহিত করা হয়।

এ কারণে আশির দশক থেকে বাংলাদেশ ওষুধ নিয়ে স্বস্তিতে আছে। আজ দেড় শতাধিক দেশে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ওষুধ রফতানি করে। ওষুধশিল্প আজ প্রায় সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার, তথা ৩৬ হাজার কোটি টাকার শিল্প! বহুজাতিক কোম্পানির দাপট নেই বললেই চলে। কেউ স্বীকৃতি দিক বা না দিক, বাংলাদেশের ওষুধশিল্প জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কাছে ঋণী।

বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা, মুক্তিযোদ্ধা এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী চির বিদায় নিয়ে চলে গেলেন। বাংলাদেশে ১৯৮২ সালে চালু হওয়া জাতীয় ঔষধ নীতি প্রণয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

গত ক’বছর ধরে তিনি পরোক্ষ রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও সম্প্র্রতি কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। তারপরও মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে সৃজনশীল, গণমানুষের স্বাস্থ্যসেবার অগ্রদূত, বাংলাদেশের দুঃখী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু, জনদরদি, খাঁটি দেশপ্রেমিক, সৎ, আদর্শবান, নীতিনিষ্ঠ, সাচ্চা বাঙালি, সত্য উচ্চারণে নির্ভীক, দুঃসাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে-বাংলাদেশে বিনা রিং, বিনা অপারেশনে হূদরোগ চিকিৎসার পথিকৃৎ সাওল হার্ট সেন্টার (বিডি) লি.সহ বাংলাদেশের জনগণ এই মহান বাঙালির প্রতি হূদয় উজাড় ভালোবাসা এবং গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন জানাচ্ছে।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে, জীবনের শেষ মুহূর্তে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে তাকে বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নিকট হতে অবহেলা ও অপমানের শিকার হতে হয়েছে। যদিও এজন্য তারা কখনো তার কাছে দুঃখ প্রকাশ বা ক্ষমা চেয়েছেন বলে জাতি জানে না। ব্যক্তিগত যশখ্যাতি ও সমৃদ্ধির জীবনকে পেছনে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের সময় মাটির টানে দেশে ফিরে এসে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে। জাতির যেসব সূর্যসন্তান আজকের এই স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তাদের অন্যতম তিনি।

স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর আদর্শের প্রতি অনুরক্ত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে। দেশে রাজনীতির সুস্থধারা ফিরিয়ে আনতেও নিজের অবস্থান থেকে আওয়াজ তুলেছেন তিনি। তার মৃত্যুতে যে ক্ষতি হলো, তা পূরণযোগ্য নয়। যতদিন বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিরাজমান থাকবে ততদিন তিনিও জাতির অস্তিতে উজ্জল ইতিহাস হয়ে থাকবেন। পরপারেও ভালো থাকুন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ