ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কল্যাণমুখী অর্থনীতির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিভঙ্গি

প্রকাশনার সময়: ১৯ ডিসেম্বর ২০২২, ১৪:০৫

বাংলাদেশে সমবায়ের ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা গেছে— বাংলাদেশে গণমুখী সমবায়ের সূত্রপাত করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ২৬ মার্চ ১৯৭৫ স্বাধীনতা দিবসের র‍্যালিতে সমবায় আন্দোলনের মাধ্যমে সোনার বাংলা গড়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী ৫ বছরে সরকার বাধ্যতামূলকভাবে ৬৫ হাজার গ্রামে বিভিন্নমুখী সমবায় চালু করবে।’ এর ফলে দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার সমবায় আন্দোলনকে জোরালো ও গণমুখী করার লক্ষ্যে কৃষিতে ভর্তুকি দিয়ে সার সরবরাহ, সহজ শর্তে ঋণদান, মৎস্য সরঞ্জাম আমদানি শুল্ক রহিত, মৎস্যজীবীদের জলমহল ইজারা প্রদান, তাঁতিদের উৎপাদিত সুতা হতে নির্দিষ্ট অংশ প্রদান, তাঁত শিল্প সরঞ্জাম আমদানিতে আইন প্রণয়ন, তাঁতিদের সহজ শর্তে ঋণদান প্রভৃতি ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়। ৩০ জুন ১৯৭২ বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন আয়োজিত সমবায় সম্মেলনের ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন— ‘আমার দেশের প্রতিটি মানুষ, খাদ্য পাবে, আশ্রয় পাবে, শিক্ষা পাবে, উন্নত জীবনের অধিকারী হবে— এই হচ্ছে আমার স্বপ্ন। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণমুখী সমবায় আন্দোলনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। কেননা, সমবায়ের পথ, সমাজতন্ত্রের পথ, গণতন্ত্রের পথ।’ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার উৎপাদন যন্ত্র, উৎপাদন ব্যবস্থা ও বণ্টন প্রণালিসমূহের মালিক বা নিয়ন্ত্রক হিসেবে সমবায়কে দ্বিতীয় স্থানে নির্ধারণ করে আইন প্রণয়ন করেন। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা দেন— সমবায় হবে সম্পূর্ণ গণমুখী ও গণতান্ত্রিক এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় এর নীতি হবে সমাজতান্ত্রিক ও আন্তর্জাতিক।

১৯৭৫ সালে পরবর্তী সরকার তা পুনরায় চালু করে তবে সরকারের নিয়োগদান ক্ষমতাকে প্রতিষ্ঠিত করে। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার সমবায় আন্দোলনকে জোরালো ও গণমুখী করার লক্ষ্যে অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ নেন। কৃষিতে ভর্তুকি দিয়ে সার সরবরাহ, সহজ শর্তে ঋণদান, মৎস্য সরঞ্জাম আমদানি শুল্ক রহিত, মৎস্যজীবীদের জলমহল ইজারা প্রদান, তাঁতিদের উৎপাদিত সুতা হতে নির্দিষ্ট অংশ প্রদান, তাঁত শিল্প সরঞ্জাম আমদানিতে আইন প্রণয়ন, তাঁতিদের সহজ শর্তে ঋণদান ইত্যাদি সে সময় করা হয়েছিল। তৎকালীন সেই সরকার ভালোভাবেই অনুধাবন করতে পেরেছিল যে যুদ্ধবিধ্বস্ত বিপুল জনগোষ্ঠীর এই দরিদ্র জনসাধারণের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন একমাত্র সমবায়ের মাধ্যমেই সম্ভব। বঙ্গবন্ধুর সমবায়ী দৃষ্টিভঙ্গি জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। কেননা, বাংলাদেশে গণমুখী সমবায়ের সূত্রপাত করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ছিল সাধারণ মানুষের জন্য কল্যাণের রাজনীতি। সত্যিকার অর্থে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির স্থায়িত্ব আনয়নে তিনি সমবায়কেই একমাত্র উপায় নির্ধারণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু বাইরের দেশ থেকে সাহায্য এনে এদের অভাব সাময়িকভাবে দূর করার পথ পরিহার করে স্থায়ী পথ হিসেবে সমবায়কে বেছে নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতির চাকা সচল করতে গণমুখী সমবায়ের ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষায়, ‘আমার দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্য পাবে, আশ্রয় পাবে, শিক্ষা পাবে, উন্নত জীবনের অধিকারী হবে— এই হচ্ছে আমার স্বপ্ন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গণমুখী সমবায় আন্দোলনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।’ দেশের সিংহভাগ গ্রামের জনগণ, যারা অশিক্ষিত এবং দরিদ্র। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে একমাত্র সমবায়কে অবলম্বন হিসেবে তিনি চিহ্নিত করেছেন। তিনি দরিদ্র অশিক্ষিতদের উন্নয়নের স্বপ্ন বিনির্মাণে সমবায়ের অন্তর্নিহিত শক্তি পুরোমাত্রায় ব্যবহার করতে চেয়েছেন। তাই রাষ্ট্রের মালিকানার নীতি বিষয়ে সংবিধানের ১৩নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র মালিকানা ব্যবস্থা হবে প্রথমত রাষ্ট্রীয় মালিকানা, দ্বিতীয়ত সমবায়ী মালিকানা, তৃতীয়ত ব্যক্তিগত মালিকানা। মালিকানায় সমবায়কে দ্বিতীয় অন্যতম খাত হিসেবে স্থান দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু।

বঙ্গবন্ধু স্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘সমবায়ের মাধ্যমে গরিব কৃষকরা যৌথভাবে উৎপাদন-যন্ত্রের মালিকানা লাভ করবে। অন্যদিকে অধিকতর উৎপাদন বৃদ্ধি ও সম্পদের সুষম বণ্টন ব্যবস্থায় প্রতিটি ক্ষুদ্রচাষি গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ ও অধিকার পাবে। জোতদার ধনী চাষির শোষণ থেকে তারা মুক্তি লাভ করবে সমবায়ের সংহত শক্তির দ্বারা। একইভাবে কৃষক, শ্রমিক, তাঁতি, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যদি একজোট হয়ে পুঁজি এবং অন্যান্য উপাদানের মাধ্যমে একত্র করতে পারেন তবে আর মধ্যবর্তী ধনী ব্যবসায়ী শিল্পপতি গোষ্ঠী তাদের শ্রমের ফসলকে লুট করে খেতে পারবে না। সমবায়ের মাধ্যমে গ্রাম-বাংলায় গড়ে উঠবে ক্ষুদ্র শিল্প যার মালিক হবে সাধারণ কৃষক শ্রমিক এবং ভূমিহীন নির্যাতিত দুঃখী মানুষ।’

বাংলাদেশের সংবিধানে উৎপাদন ও মালিকানা ব্যবস্থায় ‘সমবায়’কে একটি অন্যতম খাত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৯৯৫ সালে ইউএনডিপি-আইএলও-এর এক যৌথ মিশন বাংলাদেশে সমবায় উন্নয়ন, কর্মপরিকল্পনা ও কৌশলবিষয়ক একটি রিপোর্ট সরকারের কাছে দাখিল করে। রিপোর্টে দারিদ্র্য বিমোচনে সমবায়কে সম্পৃক্তকরণসহ জাতীয় সমবায় নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশও অন্তর্ভুক্ত ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে একটি উন্নত বাংলাদেশ উপহার দেয়ার সুস্পষ্ট অঙ্গীকার নিয়ে বর্তমান সরকার ঘোষণা করেছে রূপকল্প-২০২১। রূপকল্প বাস্তবায়নে সমবায়কে কাজে লাগিয়ে বিকাশমান অর্থনীতি, দারিদ্র্য মুক্তি, অংশীদারিত্বমূলক সহিষ্ণু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, সামাজিক ন্যায়বিচার, নারীর সমঅধিকার, আইনের শাসন, মানবাধিকার, সুশাসন ও দূষণমুক্ত পরিবেশসহ ২২টি লক্ষ্য অর্জনে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমবায়ের ভূমিকাকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। সমবায় একটি সামাজিক উদ্যোগ, গণমানুষের নিজস্ব চেতনার আন্দোলন, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন এবং পুঁজি সৃষ্টির সহায়ক উন্নয়নে পরীক্ষিত পদ্ধতি। জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম সমবায়কে ‘ওরে নিপীড়িত, ওরে ভয়ে ভীত শিখে যা আয়রে আয় দুঃখ জয়ের নবীন মন্ত্র সমবায় সমবায়’ হিসাবে কবিতায় উদ্ধৃত করেছেন। বাংলাদেশের সংবিধানে সমবায়কে মালিকানার ভিত্তিতে দ্বিতীয় খাত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ আন্দোলনের মূলকথা ব্যক্তি স্বার্থের চেয়ে সমষ্টির স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। ‘দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ’ ‘দশের লাঠি একের বোঝা’— এই মূলমন্ত্রে দীক্ষিত সমবায় খাত। সমবায়ের মাধ্যমে পরিচালিত কর্মকাণ্ডে যেমন রয়েছে সামাজিক কল্যাণ, ব্যবসায়িক উদ্যোগ, আর্থিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, তেমন রয়েছে গণতন্ত্রের চর্চা, নেতৃত্ব ও নৈতিকতার বিকাশের সমান সুযোগ। দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, স্থানীয় সম্পদের ব্যবহার, বেকারত্ব নিরসন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সমবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রতিটি সমবায় সমিতি এক একটি অর্থনৈতিক ইউনিট হিসেবে ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে। প্রতিটি সমবায় সমিতি জনগণকে সংঘবদ্ধ করার একটি বিশাল অঙ্গন। আমরা জানি, সমবায়কে কাজে লাগিয়ে ভারত অবিস্মরণীয় সফলতা অর্জন করেছে। জাপান, স্ক্যান্ডিনেভিয়ানের রাষ্ট্রে সমবায়কে অর্থনীতির তৃতীয় খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। নরওয়ে, সুইডেনের মতো দেশেও সমবায়ের মাধ্যমে কল্যাণমুখী অর্থনীতি গড়ে উঠেছে। কাজেই সমবায়কে কাজে লাগিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, উৎপাদন এবং বিতরণ ক্ষেত্রে আশাতীত ফল পাওয়া এবং এর মাধ্যমে দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। সরকার দেশ ও জনগণের স্বার্থে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সমবায়ী অভিজ্ঞতাকে মডেল হিসেবে কাজে লাগালে দেশের দেড় লাখ সমবায় সংগঠনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত ৪ কোটি মানুষ এর সুফল পাবে।

দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য সমবায়কে গুরুত্ব দিয়েছিলেন প্রজাদরদি জমিদার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথ তাঁর নোবেল পুরস্কারের অর্থ দিয়েছিলেন সমবায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘সমবায়নীতি-১’ প্রবন্ধে বলেছেন, ‘আমাদের টাকার অভাব আছে এ কথা বলিলে সবটা বলা হয় না। আসল কথা, আমাদের ভরসার অভাব। তাই আমরা যখন পেটের জ্বালায় মরি তখন কপালের দোষ দেই। আমাদের নিজের হাতে যে কোন উপায় আছে একথা ভাবতেও পারি না। যে দেশে গরিব ধনী হইবার ভরসা রাখে— সে দেশে সেই ভরসাই একটা মস্ত ধন।’ সমবায়ের মূলমন্ত্রও তাই। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়— একা একা ভাত খেলে পেট ভরে, কিন্তু পাঁচজনে বসে একত্রে খেলে পেটও ভরে, আনন্দ হয় এবং পরস্পরের মধ্যে সম্প্রীতির ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়। দারিদ্র্য বিমোচন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশের বিপর্যয় প্রতিরোধ এবং খাদ্য-নিরাপত্তার বলয় সৃষ্টিতে অন্যতম ও উৎকৃষ্ট পদ্ধতি হচ্ছে সমবায়ী উদ্যোগ। পুঁজিবাদী ব্যক্তিমালিকানা বা সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয় মালিকানা উভয়ের যেসব ঐতিহাসিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে সমবায়ের একটি মডেল হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ অনেক বেশি। একারণে সমবায়কে দিতে হবে নতুন উদ্দীপনা, সরকারি সব সহযোগিতা, আইন ও বিধিমালা সহজ করে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ। দেখা গেছে জার্মানি, ডেনমার্ক, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড অথবা অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত বিশ্বে সমবায় অঙ্গনে বৃহৎ পুঁজির অনুপ্রবেশের ফলে সমবায় সমিতিগুলো অর্থনৈতিক পরিমণ্ডলে এবং বিশ্ববাজারে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।

সমবায় বাংলাদেশে কোনো নতুন ধারণা নয়। বাংলাদেশে ২০০৪ সালে সমবায়ের শতবর্ষ অতিক্রম হয়েছে। দেশে জাতীয়, কেন্দ্রীয়ও প্রাথমিক সমিতির সংখ্যা দেড় লাখেরও বেশি। তারপরও তুলনামূলকভাবে সমবায়ের দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে আছে। সমবায়ের মাধ্যমে বহু দেশ-জাতি তাদের ভাগ্যের চাকা, বহু মানুষ-গোষ্ঠী নিজের আর্থিক অবস্থার বিরাট উন্নত করতে পেরেছে। সমবায় সমিতির মাধ্যমে সুসংগঠিত উপায়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় ও আমানতের সমন্বয়ে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের বিশাল জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব। মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সঞ্চয়ের সমন্বয় করে বহুমুখী কর্মক্ষেত্র তথা রোজগারী ক্ষেত্র সৃষ্টি করে প্রতিটি পরিবারকে আর্থিক স্বাবলম্বনের পথে এগিয়ে নেয়া সম্ভব। এর ফলে পরিবারের উন্নয়ন ঘটবে। পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে। স্থানীয়ভাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রকল্প ও শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। এরফলে গ্রামের মানুষের শহরমুখী প্রবণতা কমবে। স্থানীয় সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হবে। মডেল গ্রাম হবে, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মডেল প্রতিষ্ঠান হবে। সমাজে অপরাধ প্রবণতা, প্রতারণা, কলহ-বিভেদ কমে আসবে। এই ধারাবাহিকতার প্রতিফলন ঘটবে গ্রামে, শহরে, সমাজে ও রাষ্ট্রে। যেহেতু সমবায় বহুমুখী কার্যক্রম সেহেতু এর সুফলও আসবে বহুমাত্রিক। আর তা হলে বাংলাদেশ একদিন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে।

লেখক: অর্থনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ