লাল-সবুজ প্রান্তরে পরিণত হয়েছে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীন দত্তের বাজার ইউনিয়নের কন্যামন্ডল আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাঠ। মাঠের যেদিকে তাকাই শুধু লাল-সবুজের সমারোহ। মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে শীতকালীন সবজি মুলা ও লাল শাকের দিগন্ত জোড়া সবুজের সমারোহ। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাঠের সবজির রঙে লাল-সবুজ বাংলাদেশের একটি চিত্র ফুটে উঠেছে।
মাঠভর্তি লাল শাক ও মুলা শাকের বাহার দেখলে যে কারও মন দুলে উঠবে। সবার চোখ আটকে যাবে। দেখে মনে হবে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে। মাঠভর্তি লাল-সবুজ শাকের সমারোহ দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন সবাই।
দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনায় অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় গফরগাঁও উপজেলা কৃষি অফিস ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাঠে বিষমুক্ত সবজি বাগান গড়ে তুলে।
গফরগাঁও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কন্যামন্ডল আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলোতে ৭২টি পরিবার বসবাস করছেন। আশ্রয়নের পাশের মাঠেই এই পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন করা হয়েছে। যাদেরকে পুষ্টি বাগান দেয়া হয়েছে এমন ১৮০ জন কৃষককে এরই মধ্যে সার-বীজসহ অন্যান্যে কৃষি উপকরণ দেয়া হয়েছে।
কন্যামন্ডল আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা রিপন, জলিল, পলি ও শারমীনসহ আরও অনেকে বলেন, আশ্রয়ণের মাঠের পতিত জায়গায় কৃষি অফিস থেকে এই সবজি বাগান করে দেয়া হয়। এখন সবজি বাগানটি লাল ও মুলা শাকে ভরে উঠেছে। মাঠের চারদিকে শুধু লাল আর সবুজ। যা দেখলেও মন জুড়িয়ে যায়। এখন নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে সবজি বিক্রিও করতে পারছি। আমাদের সবজি বিষমুক্ত হওয়ায় চাহিদাও রয়েছে বেশ।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ম্যানেজার মফিজ উদ্দিন (৫৫) বলেন, কৃষি অফিস এখানে সবজি বাগান করে দেয়ার পর থেকে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সর্বদাই পরামর্শ দিয়েছেন। ফলে সবজি বাগানটি সেরা বাগানে পরিণত হয়েছে। বাগানটি এখন ভরে উঠেছে মুলা ও লাল শাকে। সেখান থেকে আমরা নিয়মিত শাক খাচ্ছি পাশাপাশি আশপাশের মানুষদেরকে দিচ্ছি। বিশেষ করে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিশাত সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।
গফরগাঁও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নূর মোহাম্মদ বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের পারিবারিক পুষ্টি বাগান গড়ে তুলতে প্রথমে আগ্রহী করে তুলি। এরপর ১০টি পরিবার পুষ্টি বাগান স্থাপন করেন। এখন বাগানের পরিস্থিতি খুবই চমৎকার। সেখানে আমরা সারা বছরের জন্য ২১ প্রজাতির বীজ দিয়েছি। এছাড়াও সারসহ অন্য প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণও দেয়া হয়েছে। ফলে এখান থেকে তারা সারা বছরের পুষ্টির যে চাহিদা তা পূরণ করতে পারবেন।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ