সামরিক বাহিনীর চাকরি থেকে অবসরে যাবার পরে কি করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না শামিম রেজা। অনেক ভেবে দেড় বছর আগে চার বিঘা জমি লিজ নিয়ে সেখানে ৪ হাজার ড্রাগন চারা রোপন করেন তিনি। পুরোপুরি উৎপাদন শুরু না হলেও এরই মধ্যে বাগানের চার প্রজাতির ড্রাগন ফল বিক্রি করে তিনি আয় করেছেন ৭ লাখ টাকা। এ বাগানের ফল ও চারা বিক্রি করে প্রতিমাসে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয়ের আশা তার। শামিম রেজা নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের বামনকোলা গ্রামের বাসিন্দা। বুধবার (২ নভেম্বর) সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শামীম রেজার ড্রাগন বাগানে থরে থরে লাল, হলুদ ফল ঝুলছে। গাছের প্রতিটি শাখায় শোভা পাচ্ছে ফুল। সেগুলো পরিচর্যা করে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি। জানালেন ৪ বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষে এই পর্যন্ত ১৭ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ফলের পাশাপাশি তিনি চারাও উৎপাদন শুরু করেছেন। তার বাগানের ফল সুমিষ্ট ও সুস্বাদু এ কারণে চাহিদাও বেশ। প্রতিদিনই আশপাশের এলাকা থেকে ক্রেতারা বাগান থেকে ফল কিনছেন। আকার ভেদে প্রতি কেজি ফলের দর ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।
শামিম রেজা জানান, ঝুকি নিয়ে তিনি ড্রাগন চাষ শুরু করেছিলেন। বর্তমান উৎপাদনে তিনি খুশি। তার বাগান দেখে অন্যরা ড্রাগন চাষে অনুপ্রাণিত হচ্ছে। আশা করছেন চারা ও ফল বিক্রি করে তিনি মাসিক দেড় থেকে ২ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।
বামনকোলা গ্রামের সোহাগ আহমেদ বলেন, শামিম ভাইয়ের সফলতায় তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন। চিন্তা করছেন নিজেও ড্রাগন বাগান করবেন। ড্রাগন ফলের চাষ, চারা উৎপাদন ও ফল বিক্রি করে দ্রতই স্বাবলম্বী হয়ে ওঠা সম্ভব।
গুরুদাসপুর কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মতিয়র রহমান বলেন, গুরুদাসপুরের মাটি ড্রাগন চাষের উপযোগী। এ ফল চাষে রোগ বালাই ও খরচ অনেক কম। বাগানের পাশাপাশি ফল ও কাটিং করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ড্রাগন চাষ করে বেকারদের স্বাবলম্বী হওয়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ