পাটুরিয়া ৩নং ফেরি ঘাটে বসে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। পাশেই ছিল লঞ্চ ঘাট থেকে ফেরি ঘাটে আসা ও যাওয়ার রাস্তা। মাঝে মধ্যেই লোকজনের চাপে দীর্ঘ লাইন দেখা যায় এই রাস্তায়। হঠাৎ চোঁখ পড়লো রাস্তার পাশে পদ্মানদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে ১৮ থেকে ২০ বছরের এক যুবক। গেঞ্জি-গামছা পরা। হাতে ছিল ছোট একটা পলিথিন। মাঝে মধ্যেই পলিথিনে ফু দিতো। আর একা একাই হাসতে থাকতো এবং কথা বলতো। এই অবস্থা দেখে একটু সামনে গেলাম। পরে দেখতে পারলাম হাতের পলিথিনের ভিতরে হলুদ জাতীয় কিছু একটা আছে। পরে জানতে পারলাম একটা ড্যান্ডি আঠা। এটা দিয়ে নাকি নেশা করে।
পরে স্থানীয় বেশ কয়েকজন দোকানদার, রিকশাচালক ও অটোবাইক চালকদের সাথে কথা বললাম। জানতে চাইলাম ওই কিশোরের পরিচয়। কিন্তু কেউ কোন পরিচয় দিতে পারল না।
তবে তাদের কথা বলে একটুকু জানতে পারলাম সে না কি পথ শিশু। সে না কি ঘাট এলাকায় ঘুরাঘুরি করে বড় হয়েছে। তার সম্পর্কে এর চেয়ে বেশি কিছু জানতে পারিনি। এভাবেই চোঁখের সামনে নেশায় জড়িয়ে ধ্বংস হচ্ছে পথশিশু ও কিশোররা।
পাটুরিয়া ফেরিঘাট হয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এছাড়া রয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি, সচেতন নাগরিক ও প্রশাসনসহ রয়েছে নানা শ্রেনীর পেশার মানুষ। কারো চোখ পরে না এই কিশোরের দিকে। আমি আপনি কি পালন করছি আমাদের দায়িত্ব। আমরা কেন তাকাবো ওদের দিকে।
কারন ওরা তো পথ শিশু। এটা কি তাদের অপরাধ।
দেশের সংবিধান অনুযায়ী দেশের প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার সমান। তাহলে পথ শিশুরা পায় না কেন। একটু ভালো চিকিৎসা ও ভালো পরিবেশ পেলে তারাও তো সুন্দর জীবন গড়ে তুলার সুযোগ পেত।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ