ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ৬ রজব ১৪৪৬

তজুমদ্দিনে হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর রসের ঐতিহ্য

প্রকাশনার সময়: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৩২

৮০ বছরের বৃদ্ধ মফিজুল হক পূর্ব পুরুষের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এখনো খেজুর গাছে উঠে গাছ কেটে রস সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এক সময় ভোলার প্রতিটি উপজেলার গ্রামগঞ্জের রাস্তার দুপাশে সারি সারি খেজুরের গাছ ছিল। মফিজুল একাই ২০০ থেকে ২৫০ খেজুর গাছ কাটতেন তবে এখন আর সেই গাছের দেখা মিলছে না গ্রামগঞ্জে।

শীত মৌসুমে খেজুর গাছ থেকে রস পেরে বাসায় রান্না করে খাওয়ার সেই ঐতিহ্য ভুলতে বসেছে তরুণ প্রজন্ম। ক্ষতিকারক পোকামাকড়, গাছ কাটার প্রবণতা ও নতুন গাছ না লাগানোর ফলে খেজুর গাছের সংখ্যা কমে গেছে। পরিবেশ রক্ষা ও ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে খেজুর গাছ রোপণে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান এলাকার সচেতন মহল।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, সাম্প্রতিককালে কিছু কিছু এলাকায় কৃষকদের খেজুর গাছ লাগানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বাড়ির আনাচে-কানাচে, রাস্তার পার্শের পরিত্যক্তস্থানে কৃষকেরা পর্যাপ্ত পরিমাণ খেজুর গাছ রোপণ করলে ভবিষ্যত প্রজন্মকে খেজুরের রস ও গুড়ের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, খেজুর গাছ বিলুপ্ত হওয়া শুধু পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলছে না, বরং জীবিকা নির্বাহকারী এই পেশাজীবীদের ভবিষ্যৎকেও অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে। তাই প্রকৃতির ভারসাম্য এবং গ্রামীণ ঐতিহ্য বাঁচাতে এখনই প্রয়োজন সক্রিয় উদ্যোগ। খেজুর গাছ শুধু একটি গাছ নয়, এটি অতীত ও সংস্কৃতি।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ