ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেরপুরে সরিষার ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশনার সময়: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৫০ | আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:২৪

অনুকূল আবহাওয়া আর রোগবালাই কম থাকায় শেরপুরে ভালো হয়েছে সরিষার আবাদ। মৌ-মৌ সুগন্ধে যেনো হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

জানা যায়, ভোজ্য তেলের দাম বাড়ায় সরিষা আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা। শ্রীবরদী, নকলাসহ শেরপুর সদরের বেশিরভাগ জমিতে এখন চাষ হচ্ছে সরিষার। প্রতিবছর অল্প কিছু সংখ্যক জমিতে চাষ হলে ও এবছন নতুনভাবে বেশ কিছু এলাকায় সরিষার আবাদ হয়েছে। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হওয়ায় দ্রুত বেড়ে উঠেছে সরিষার গাছগুলো, আর কয়দিন পরেই শুরু হবে জমি থেকে সরিষা তোলার কাজ। এদিকে ভালো ফলনের সম্ভাবনায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

শেরপুর সদরের চরশেরপুর এলাকার সরিষা চাষি জামাল মিয়া বলেন, গত কয়েক বছর ধরে অল্প অল্প করে সরিষা চাষ শুরু করি, এবছর বাজারে সরিষার ভালো দাম থাকার কারণে প্রায় ২ একর জমিতে সরিষা চাষ করেছি। গাছে ফলন ও বেশ ভালো আশা করছি এবার ভালো লাভবান হবো।

রেইচা এলাকার সরিষা চাষি করিম উল্লাহ বলেন, ২০ শতক জমিতে সরিষা চাষ করেছি। এবার ভালো ফলন হয়েছে। গতবছর প্রতি মণ সরিষা ৩ হাজার ৫শ টাকায় বিক্রি করেছি, এবছর বাজারে সরিষার ভালো চাহিদা রয়েছে। তাই আশা করছি, এবছর ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারবো।

শ্রীবরদী তাঁতিহাটি এলাকার চাষি ক্যসাউ মারমা বলেন, প্রতিবছর সরিষার চাষ করি, এতে জমির যেমন উর্বরতা বাড়ে তেমনি উৎপাদিত সরিষা দিয়ে পরিবারের তেলের চাহিদা পূরণ করে আসছি। এবছর সরিষা থেকে মধু সংগ্রহ করার জন্য ৪-৫টা বক্স ও বসিয়েছি।

শেরপুর কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, সারা দেশের তুলনায় শেরপুর জেলা সমতল ভূমির পরিমাণ বেশি। এর কারণে এখানে একই জমিতে বারবার চাষাবাদ করতে হয়, এতে জমির উর্বরতা কমে যায় তাই আমরা বার বার আবাদ করা জমির উর্বরতা বাড়াতে কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। কৃষি বিভাগের সহায়তায় শেরপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরিষার আবাদ এবং উৎপাদন দুইটাই বেড়েছে। আমরা চাই এলাকার কৃষক যাতে উৎপাদিত সরিষা থেকে তেল পরিশোধন করে নিজেদের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিক্রি করে লাভবান হয়।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ