ঢাকা, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নড়াইলে বাণিজ্যিকভাবে তৈরি হচ্ছে কেঁচো সার

প্রকাশনার সময়: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:২১

নড়াইল সদরে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে কেঁচো কম্পোস্ট সার উৎপাদন। উপজেলার গোপালপুর গ্রামের দীপক বিশ্বাস এ উদ্যোগ নিয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে এ সার উৎপাদন করে তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন।

প্রথমে সংরক্ষণের জন্য টিনের চালায় রাখা হয় গোবর। তারপর সেই গোবর হালকা শুকিয়ে রিং বা হাউজে কয়েকদিন রাখার পরই তাতে কেঁচো দিয়ে ৩৫ থেকে ৪০ দিন রাখার পর উৎপাদিত হয় ভার্মি কম্পোস্ট সার বা কেঁচো সার।

দীপক বিশ্বাস চাষাবাদের প্রয়োজনে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে শুরু করেন ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন। বাড়ির আঙিনায় পরিত্যাক্ত জায়গায় ছোট পরিসরে শুরু করলেও বর্তমানে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করছেন তিনি। বাড়িতে প্যাকেটজাত করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন। রাসায়নিক সার বর্জন করে তার উৎপাদিত এই জৈব সার শীতকালীন সবজি চাষে ব্যবহার করছেন চাষিরা। ফলে বিষমুক্ত ও সুস্বাদু হচ্ছে সবজি।

দীপক বিশ্বাস বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করি। প্রথম পর্যায়ে তারা বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। গোবর দিয়ে এই সার উৎপাদনে তেমন কোন খরচ নেই। এই সার দিয়ে নিজের পুষ্টি বাগানের চাহিদা পূরণ করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছি। গ্রামের অধিকাংশ লোক এখান থেকে সার নিয়ে শীতকালীন সবজি উৎপাদন করছে।

কৃষক পলাশ শেখ বলেন, ২৬ শতক জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ করেছি এখানে কোন রাসায়নিক সার দেয়া হয়নি। অল্প টাকায় দীপকের বাড়ি থেকে জৈব সার কিনে এনে ব্যবহার করছি। সবজির ফলন ভালো হয়েছে।

সিংগিয়া গ্রামের হাসিবুর ইসলাম বলেন, ফুলকপি বাধাকপি ও বস্তু পদ্ধতিতে সিম চাষ করেছি। সব ধরনের ফসলে এই কেঁচো সার দিয়েছি। আশা করছি ভালো ফলন হবে।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান বলেন, সবজি চাষে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সারের প্রাধান্য দিলে উৎপাদিত সবজি হবে বিষমুক্ত অপরদিকে মাটির গুণাবলি বৃদ্ধি পাবে। তার এই সার উৎপাদন দেখে স্থানীয় অনেকেই এগিয়ে আসবে এবং তারাও স্বাবলম্বী হবে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ