লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় সুপারি বাগানে বস্তায় আদা চাষ করে সফল হয়েছেন ময়না বেগম। এর মধ্যে তিনি ৩৫ হাজার টাকা আদা বিক্রি করেছেন। এছাড়া তিনি চুইঝাল চাষ করেন।
ময়না বেগম হাতীবান্ধা উপজেলার উত্তর গোতামারী এলাকার আজম আলীর স্ত্রী। তিনি আনসার ভিডিপির মৌলিক প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে সুপারির বাগানে বস্তায় আদা চাষ করেন।
সুপারি গাছের ফাঁকে ফাঁকে সারি করে এক হাজার আট শত বস্তা রেখেছেন তিনি। পরিমাণ মতো জৈব ও রাসায়নিক সার এবং দানাদার কীটনাশক বেলে দো-আঁশ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে বস্তায় ভরেছেন। আদা চাষে খরচ হয়েছে পঞ্চাশ হাজার টাকা। তিনি ৩৫ হাজার টার আদা বিক্রি করেছেন এবং তিন লাখ টাকার আদা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদী ময়না।
ময়না বলেন, বাগানে অনেক ফাঁকা জায়গা আছে, এগুলো অব্যবহৃতই থাকে। তাই বাড়তি কোনো ফসল ফলানো যায় কিনা তা নিয়ে ভাবতে থাকি। এক পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ নেই। পরে সুপারি গাছের ফাঁকে ফাঁকে ৩০ শতক জমিতে বস্তায় আদা চাষ শুরু করি।
তিনি আরও বলেন, সাধারণভাবে আদা চাষের চেয়ে এই পদ্ধতিতে ফলন বেশি হবে। আমি আশা করছি এই পদ্ধতিতে লাভবান হতে পারব। আমি সফল হলে অন্যান্য নারীদেরকে উদ্বুদ্ধ করব।
ময়নার ছেলে শ্রেষ্ঠ বলেন, মা আদা এবং চুইঝাল চাষ করে আমাদের পড়াশোনার খরচ চালান। দুই ভাই ঢাকায় পড়াশোনা করি।
হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন মিয়া বলেন, উপজেলার অনেকেই এখন বাণিজ্যিকভাবে আদা চাষ করছেন। আশা রাখছি সুপারি বাগানে বস্তায় আদা চাষিরা শতভাগ সফল ও লাভবান হবেন। কৃষি অফিস থেকে তাদের সকল প্রকার সহায়তা করা হবে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ