ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

প্রথমবার ব্ল্যাক বেবি তরমুজ চাষে আমিরের সাফল্য

প্রকাশনার সময়: ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৩৯ | আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৪৫

ভোলার চরফ্যাশনের শশীভূষণে প্রথমবারের মতো ‘ব্ল্যাক বেবি’ জাতের তরমুজ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন আমির হোসেন। এর মধ্যেই তিনি ১ লাখ ১০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন।

প্রথমবারের মতো ২৪ শতক জমিতে আমির হোসেন ‘ব্ল্যাক বেবি’ জাতের তরমুজের বীজ বপণ করেন। পল্লী-কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) এর অর্থায়নে এবং পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ) এর সহযোগিতায় দুই মাসের মাথায় তিনি তরমুজের ভালো ফলন পেয়েছেন। এর মধ্যেই তিনি ১ লাখ ১০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। তার খামারে এখনো ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার তরমুজ আছে। এসব তরমুজ চাষ করতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। বছরের যে কোনো সময় দুই থেকে তিনবার এই তরমুজ চাষ করা যায়।

কৃষক আমির হোসেন জানান, প্রতি কেজি বেবি তরমুজ ৮০-৯০ টাকা দরে তিনি বিক্রি করেন। এক একটি তরমুজের ওজন ২ থেকে ৫ কেজি।

তিনি জানান, আগে তিনি সবজি চাষ করতেন। বাজারে বিদেশি জাতের ‘ব্ল্যাক বেবি’ তরমুজ চড়া দামে বিক্রি হতে দেখে তার আগ্রহ বাড়ে। তিনি বেসরকারি সংস্থা পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ) এর সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো এই তরমুজ চাষ করে লাভবান হয়েছেন। আগামী বছর বেবি তরমুজ চাষ তিনগুণ বাড়াবেন তিনি। তার এই সফলতা দেখে আশপাশের লোকজন বেবি তরমুজ চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

চরফ্যাশন সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রোকনুজ্জামান বলেন, চরফ্যাশন উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ) কৃষি সম্প্রসারণে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। সাধারণ তরমুজের চেয়ে এই তরমুজ বেশি মিষ্টি ও সুস্বাদু। পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ) এর সার্বিক সহযোগিতায় উচ্চমূল্যের এ ফসল আবাদ করার মাধ্যমে কৃষকের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। আমরা আশা করছি, চরফ্যাশন উপজেলায় এ তরমুজ অতি দ্রুত জনপ্রিয়তা পাবে।’

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ