সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রথমবার মাল্টা চাষ করেই লাভবান হয়েছেন কৃষক মো. কামরুল হক। বাগানে প্রতিটি গাছেই থোকায় থোকায় ঝুলছে সবুজ জাতের বারি-১ জাতের মাল্টা। মাল্টার ভারে নুয়ে পড়েছে গাছের ডালগুলো। প্রথমবার তিনি মাল্টা বিক্রি করেছেন ১ লাখ টাকারও বেশি।
কামরুল হক (৩২) উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের সগুনা গ্রামের বাসিন্দা। ২০২০ সালে দুই বিঘা অনাবাদি পতিত জমিতে মাল্টার গাছ লাগান। জমি প্রস্তুত, রাসায়নিক ও জৈব সার প্রয়োগ, চারা ক্রয় ও রোপণে শ্রমিক খরচসহ এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা। তার বাগানে ১০০ এর বেশি গাছ রয়েছে। চারা রোপণের মাত্র দুই বছরেই মাল্টা বাজারে বিক্রি করতে পেরেছেন।
প্রথমবার মাল্টা বিক্রি করেছেন ১ লাখ টাকারও বেশি। চলতি বছর যে পরিমাণ মাল্টার ফলন হয়েছে, এতে ২ থেকে ৩ লক্ষাধিক টাকার মালটা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন এ কৃষক। এতে বিনিয়োগের সব টাকা উঠে আসবে প্রত্যাশা করছেন তিনি। মালটাগুলো দেখতে বড় ও আকর্ষণীয় এবং মাল্টার ওজনে প্রতিটি গাছের ডাল নুয়ে পড়েছে।
কৃষক কামরুল হক জানান, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর যে পরিমাণ ফলন হয়েছে, তাতে সব খরচ মিটিয়ে লাখ টাকার উপরে লাভ হবে। আগামী বছর ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার অধিক মালটা বিক্রি করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, কৃষি অফিসের লোকজন আমাকে মাল্টা চাষে উদ্ধত করেছেন। কৃষি অফিস থেকে কিছু চারা নিয়ে পতিত জমিতে রোপণ করি। পরবর্তীতে দেখি গাছের ধরণ বেশ ভালো। পরে আরও কিছু চারা কিনে আনি। বাজারে এই মাল্টার চাহিদ ব্যাপক কারণ সুস্বাদু, রসালো। মাল্টা বাগান পরিচর্যায় বাড়ির সবাই সহযোগিতা করে।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কৃষক কামরুল মাল্টা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। ফলটি পুষ্টিকর বিশেষ করে রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। তার বাগানে এ বছর যে পরিমাণ ফলন হয়েছে, এতে তিনি অনেক বেশি লাভবান হবেন। মাল্টা বাগানের গাছ প্রতি ১০-১৫ কেজি হারে বাজারজাত করতে পারবে। সুস্বাদু পুষ্টিকর রসালো ফল মাল্টা বারি-১ চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ