সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি বেগুন, কাঁচা মরিচ চাষ করে সাড়া জাগিয়েছেন কৃষক পাপ্পু সরকার।
উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ওয়াশীন গ্রামের বাসিন্দা কৃষক পাপ্পু সরকার। চলতি বছর ৩০ শতাংশ জমিতে বেগুন ও কাঁচা মরিচ চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও পাচ্ছেন বাম্পার। তার এই জমি থেকে ৬০ মণ বেগুন ও কাঁচা মরিচ উৎপাদনের আশা করছেন। তবে তার পরিকল্পনা শুধু বেগুন ও কাঁচা মরিচ নয় ডাটাশাক, লালশাকসহ নানা সবজি উৎপাদন করবেন।
২০২২ সালে শাওমি কোম্পানি থেকে চাকরি ছেড়ে বাড়ির পাশে পতিত জমিতে সবজি চাষ শুরু করেন পাপ্পু সরকার। তিনি এবার ৩০ শতাংশ জমিতে বেগুন, কাঁচা মরিচ চাষ করেছেন। স্বল্প সময়ে এই বেগুন, কাঁচা মরিচ চাষ করে বেশ লাভবানও হয়েছেন। দুইদিন পরপর ক্ষেত থেকে এক মণ করে বেগুন ও কাঁচা মরিচ তোলা হয়। বর্তমানে নিরাপদ সবজি বেগুন ও কাঁচা মরিচ এর চাহিদা ব্যাপক। আবার দামও ভালো। চলতি মৌসুমে জমিতে ৬০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। তবে বেগুন ও কাঁচা মরিচ বিক্রি করে দুই মাসে তার আয় হয়েছে ৩০ হাজার টাকা।
কৃষক পাপ্পু সরকার বলেন, আমার এখানে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে নিরাপদ সবজি চাষ করা হয়। ক্ষেতে আলোর ফাঁদ, ডালপোতা ফাঁদ, হলুদ পেপার, সাদা পেপার ফাঁদ পাতা হয়। কীটনাশকের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় নিমপাতা, বেলপাতা ও মেগনির নির্যাস। এতে সবজিগুলো থাকে সম্পূর্ন বিষমুক্ত। যা খাবার জন্য পুরোপুরি নিরাপদ।
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষকে সুস্থ রাখতে বিষমুক্ত সবজি চাষ করেছি। তবে লাভ কম হলেও তাতেই খুশি। এভাবেই যদি বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি চাষ করি তাহলে এই সবজি খেয়ে মানুষ সুস্থ জীবনযাপন করবে এমনটাই প্রত্যাশা।’
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বেগুন ও কাঁচা মরিচ চাষে অবদান রেখেছে চাষি পাপ্পু সরকার। তবে সরাসরি বাজারে সাপ্লাই করতে পারলে তিনি যেমন ন্যায্যমূল্য পাবেন তেমনি তাকে দেখে অন্য চাষিরাও আগ্রহী হবে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ