কথায় আছে, ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’। তেমনি মাছ শিকারও বাঙালি জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই মাছ খাওয়া বা শিকার দুটোতেই বাঙালির মনে আছে তীব্র আবেগ ও ভালোবাসা। রাতের আধারে আলো জালিয়ে মাছ শিকার একটি প্রাচীন পদ্ধতি। সাধারণত মাঠে যখন পানি কম থাকে তখনই এই পদ্ধতিতে মাছ ধরা হয়।
বর্তমানে চলনবিলের বিস্তীর্ণ মাঠ থেকে বন্যার পানি কমে যাওয়ায় জেলে ও শৌখিন মাছ শিকারিরা আলো জালিয়ে টেটা ও পলো দিয়ে মাছ শিকার করছেন। বছরই তারা এই পদ্ধতিতে মাছ শিকার করেন।
চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের রবিউল করিম জানান, প্রতি বছরই তারা এই পদ্ধতিতে মাছ শিকার করেন। সন্ধ্যার পর তারা লাইট, টেটা ও পলো নিয়ে মাছ ধরতে নেমে যান। সারিবদ্ধভাবে লাইটের আলো দিয়ে পানির নিচের মাছ খুঁজতে থাকেন। মাছ দেখা মাত্র টেটা বা পলো দিয়ে তা ধরেন। এই পদ্ধতিতে সাধারণত টাকি মাছই বেশি পাওয়া যায়। এ ছাড়া অন্যান্য দেশি প্রজাতির মাছও অল্প সংখ্যক পাওয়া যায়।
বারুহাস ইউনিয়নের বিনোদপুর গ্রামের শৌখিন মাছ শিকারি বাবলু জানান, এই পদ্ধতি মাছ ধরা এক দারুণ আনন্দের। চলনবিলের বিভিন্ন এলাকায় এখন হাজারো শিকারি এই পদ্ধতিতে মাছ শিকার করছে। বিভিন্ন মাঠে যতদূর দৃষ্টি যায় দেখবেন শুধু আলো আর আলো।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মশগুল আজাদ বলেন, রাতে আলো জালিয়ে টেটা ও পলো দিয়ে মাছ ধরা একটি উত্তম কৌশল। এতে অন্য কোনো জলজ প্রাণির ক্ষতি হয় না।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ