বরগুনায় মাছের ঘের ও পুকুরপাড়ে মাচা পদ্ধতিতে চাষ হচ্ছে রসালো ফল তরমুজ। মৌসুমের বাইরে হওয়ায় ব্যাপক চাহিদা ও বেশি দাম থাকায় এ পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। শুধু কৃষি বিভাগ নয় চাষিদের আগ্রহ বাড়াতে ও সহযোগিতা করতে পাশে রয়েছে জেলা প্রশাসন।
টল টলে পানিতে ভরা পুকুর, তার উপরে বাঁশ আর জালের তৈরি মাচায় থোকায় থোকায় ঝুলছে শত শত লাল ও হলুদ রঙের তরমুজ। আকার ও স্বাদে গ্রীষ্মের তরমুজের থেকে কোন অংশে কম নয়। এসব তরমুজ হচ্ছে বেঙ্গল টাইগার, জাপানের কারিশমা, থাইল্যান্ডের তানিয়া জাতের। বর্তমানে বাজারে প্রতিটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। বর্ষায় তরমুজ চাষে সাফল্য দেখতে শহর ও গ্রাম থেকে কৌতূহলী লোকজন আসছে কৃষি খামারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরগুনা সদর উপজেলার ৮নং সদর ইউনিয়নের কালিরতবক গ্রামে অসময়ে তরমুজ চাষ করা এক কৃষক দম্পতি জানান, পুকুরের পাশে মাচায় তরমুজ চাষ করে তারা সাড়া ফেলেছেন। বর্ষাকালীন তরমুজ চাষের এই সাফল্য দেখতে শহর ও গ্রাম থেকে কৌতূহলী লোকজন প্রতিদিনই আসছে আমাদের কৃষি খামারে। এতে তরমুজ বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে না। তারাই খামার থেকে অসময়ে পাওয়া তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
তাদের ছেলে বনি আমিন এবছর ইউটিউব দেখে শখে চাষাবাদ করলেও প্রথমেই সফলতা পেয়েছেন। মাছসহ অন্য সাথী ফসল বাদ দিয়ে তরমুজে আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা আয় হবে আশা করছেন এই কৃষক দম্পতি।
বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, কৃষক দম্পতির বর্ষাকালীন তরমুজ চাষে সাফল্য দেখে বরগুনায় অনেকের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষিতে উৎসাহ দিচ্ছি এবং মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক নানা প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
বরগুনা জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা এই কৃষি খামার পরিদর্শন করে কৃষক দম্পতিকে প্রশংসার পাশাপাশি সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ