বর্ষার চলনবিল যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নীলাভূমি, যদিও এক সময় চলনবিলের নাম শুনলে গা ছমছম করে উঠতো। চোখের সামনে ভেসে উঠতো উথাল পাতাল ঢেউ এর দৃশ্য। দিগন্ত ছোয়া জলরাশি অজানা ভীতি সৃষ্টি করতো মানুষের মনে। এটাই বর্ষার চিরায়িত রুপ। তবে বর্ষাই শ্রেষ্ট সময় চলনবিল বেড়ানোর জন্য।
বর্ষা মৌসুমকে কেন্দ্র করে চলনবিলে দর্শনার্থীদের ঢল নামে। ছুটির দিনে এই ঢল আর বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে বর্ষার আগমন শুরু হয়েছে। আর এই সময়টাতে চলনবিলও তার প্রকৃতি সৌন্দর্যে প্রস্ফুটিত হয়। সৌন্দর্য পিপাসু দর্শনার্থীরা এই সময়কেই বেছে নেয় চলনবিলের প্রাকৃকিত দৃশ্য উপভোগ করার জন্য। কেননা এই সময়ে বিলে পানি কম থাকে, নৌকা ডুবির সম্ভাবনা থাকে না, ডুবলেও প্রাণহানির সম্ভাবনা থাকে না। তাই সৌন্দর্য পিপাসু ব্যক্তিরা পরিবারকে নিয়ে চলনবিল ভ্রমণে বের হয়।
বর্ষার এই সময়ে বিল পাড়ের সকল বাড়ির চিত্রই প্রায় এক, সকল ঘাটেই নৌকা বাঁধা থাকে। এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি বা এক পাড়া থেকে অন্য পাড়া যেতে নৌকাই তাদের একমাত্র ভরসা। যেহেতু রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে যায়, তাই নৌকাই তাদের প্রধান বাহন। সাধারণতো চলনবিলের নৌকাগুলো দুই ধরণের, একটি ঠেলা বা ডিঙ্গি নৌকা অন্যটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা। ছোট চলাচলের জন্য ডিঙ্গি নৌকা এবং বেশি দূরত্বে চলাচলের জন্য ইঞ্জিনচালিত নৌকাগুলো ব্যবহার করা হয়।
বর্ষা শুরুর এই সময়ে বিস্তীর্ণ মাঠে রাশি রাশি পানি, সেখানে পাল তোলা নৌকার আনাগোনা, সাথে রিমঝিম বাতাস পুলকিত করে দেহ মনকে। এই সব কিছু মিলে চলনবিল অঞ্চলের প্রকৃতিকে সৌন্দর্যকে আরও আকর্শনীয় ও মায়াময় করে তুলেছে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ