সিরাজগঞ্জের তাড়াশে লাভ ব্রিজে উপচে পড়া ভিড়। কর্মব্যস্ত জীবনের ফাঁকে পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দে মেতে উঠেছেন সবাই। দর্শনার্থীদের পদচারণায় লাভ ব্রিজ ফিরে পেয়েছে নতুন রূপ।
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি বৃহৎ বিল নাম চলনবিল। নাম শুনলেই গা ছমছম করে ওঠে, চোখের সামনে ভেসে উঠে থইথই জলে উথালপাতাল ঢেউ। তবে চলনবিলে এবার এখনও আশানুরুপ পানি আসেনি। যতটুকু পানি আছে, সেই পানিতেই নৌকায় মাইক, সাউন্ড সিস্টেম নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তরুণ যুবকেরা। সারাদিনের ভ্যাপসা গরমে ঘোরাঘুরির পর কিছুটা স্বস্তি নিতে নারী-পুরুষ, শিশু থেকে শুরু করে নানা বয়সের মানুষ ভিড় করেছেন সিরাজগঞ্জের এই লাভ ব্রিজে।
সন্ধ্যা হলেই তাড়াশ উপজেলার মাগুড়াবিনোদ-নাদোসৈদপুর আঞ্চলিক সড়কের লাভ ব্রিজে লোকজনের উপচে পড়া ভিড় দেখা করা যায়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ছবি তোলা, প্রিয়জনের সঙ্গে বেড়ানো, বিভিন্ন ধরনের খাবার, নৌকা নিয়ে পানিতে ভেসে বেড়ানো এসব নিয়ে মেতে উঠেছেন বিভিন্ন বয়সীরা। ঈদের পর দর্শনার্থীদের পদচারণায় লাভ ব্রিজ ফিরে পেয়েছে নতুন রূপ।
কথিত আছে, এ বিলের বুকে প্রমোদতরি ভাসিয়ে একসময় রাজা-বাদশাহ, পাঠান, মোগলরা নিদারুণ ক্লান্তি ঝেড়েছেন। পর্যটকেরা চলনবিলের বিশালতা দেখে অভিভূত হয়েছেন। লেখকেরা রচনা করেছেন নানা কাহিনি। চলনবিলের মাছে ভোজ হয়েছে বনিয়াদদের। কালের বিবর্তে এসবের অনেকটাই এখন বিবর্ণ। বিলের তলদেশে পলি জমে ধীরে ধীরে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বিশালতা। এরপরেও স্বরূপের জানান দিয়ে নানা সাজে ভ্রমণপিপাসুদের মুগ্ধ করে চলনবিল।
দর্শনার্থীরা জানান, উপজেলার নানা প্রান্ত থেকে এখানে সহজে আসা যাওয়া করা যায়। তাপদাহ কিছুটা বেশি থাকায় সন্ধ্যায় দিকে ঘুরতে ঘুরতে আসেন দর্শনার্থীরা। তবে চলনবিলের সাইটখালে পানি থাকায় ব্রিজে বাতাসে আসছে আর এতেই স্বস্তি পেয়েছেন বলে জানান তারা।
তারা আরও জানান, ব্রিজের দুপাশে সুন্দর পরিবেশ দেখে মুগ্ধ। প্রাকৃতিক বাতাসে বেশ আনন্দ পেয়েছেন। সময় সুযোগ পেলে আবারো পরিবার নিয়ে আসতে চান।
মাগুড়া গ্রাম থেকে শাহীন সপরিবারে ব্রিজে ঘুরতে এসেছেন। তিনি জানান, ভ্যাপসা গরমে সারাদিনের ক্লান্ত দূর করতে প্রাকৃতিক বাতাস উপভোগ করতে এ ব্রিজে আসছি। লোক সমাগম কম থাকায় ভালো লাগছে এ ব্রিজে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ