ঢাকা, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫

শখের ছাদ বাগান করে সফল আলী হোসেন

প্রকাশনার সময়: ২১ মে ২০২৪, ১৬:৫৭ | আপডেট: ২১ মে ২০২৪, ১৮:১৮

শেরপুরে জুয়েলারি ব্যবসায়ী আলী হোসেন শখের বসে গড়ে তুলেছেন ছাদ বাগান। তিনি ২০টি গাছ দিয়ে বাগান করার কাজ শুরু করেছিলেন। এখন ২ শতাধিক বেশি ফুল-ফলের গাছ রয়েছে। এর মধ্যে ফলের গাছই বেশি। ছাদ বাগানের প্রতিটি আম গাছে প্রায় ২ শতাধিক করে আম ধরেছে।

জানা যায়, আলী হোসেন সিংপাড়া মহল্লার তার বাসার মাত্র ৩শ বর্গফুটের একখণ্ড ছাদে ২৫টি আমের চারা রোপণ করে ভালো ফলনের আশা করছেন। এরমধ্যে তার বাগানের প্রতিটা গাছে ২ শতাধিক আম থোকায় থোকায় ঝুলছে। বাগানে ফজলি, আম্রপালি, লেংড়া ও ব্যানানা ম্যাংগোসহ ৬-৭ প্রজাতি আমের গাছ রয়েছে। অন্যদিকে, বারোমাসি জাতের আম গাছের এক ডালে পরিপক্ব আম, অন্য ডালে আমের গুটি এবং অপর ডালে আমের মুকুল শোভা পাচ্ছে।

এ ছাড়া বাগানের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যানানা ম্যাংগো প্রজাতির আম। এখন প্রতিটা ব্যানানা আমের ওজন প্রায় এক কেজি সাইজের হয়ে থাকে। পরিপক্ব হলে ওই আমের সাইজ ২ কেজি পর্যন্ত হবে বলে জানান বাগান মালিক আলী হোসেন।

আলী হোসেনের ছাদ বাগানে আম গাছ ছাড়াও রয়েছে মালটা, কমলা, আনার, লেবু, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজির খেত। তাকে দীর্ঘদিন থেকেই কোনো সবজি কিনে খেতে হয় না। তাই বাগান নিয়ে খুশি তিনি। এ ছাড়া বাগানে হরেক রকমের ফুল ও ঔষধি গাছও রয়েছে। বাগান দেখতে প্রতিদিনই এলাকার অনেকেই ভিড় করছেন। তার সাফল্য দেখে অনেকে ছাদ বাগান করতে আগ্রহী হচ্ছেন।

উদ্যোক্তা আলী হোসেন জানান, অনেকটা শখের বসেই ছাদের উপর এ আমের চারা রোপণ করেন গত বছর। এক বছরের মাথায় এমন ফলন দেখে উৎফুল্ল তিনি। ওই বাগানে তিনি এবং পরিবারের সদস্যরা পরিচর্যা করেন।

বাগানে তিনি জৈব সার ছাড়া অন্য কোনো রাসায়নিক সার ব্যবহার করে না। আম পরিপক্ব হলে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বিলিয়ে দেবেন বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ড. সুকল্প দাস দৈনিক নয়া শতাব্দীকে জানান, আমরা বরাবরই ছাদ বাগানকে উৎসাহিত করে থাকি। শহরের অনেকেই এখন ছাদ বাগান করে নিজেদের ফল ও সবজির চাহিদা মিটিয়ে নিচ্ছেন।

নয়া শতাব্দী/এনএইচ/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ