ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১, ৮ রজব ১৪৪৬

মাচায় ঝুলছে দৃষ্টি নন্দন শত শত তরমুজ

প্রকাশনার সময়: ১৩ মে ২০২৪, ১২:১৩ | আপডেট: ১৩ মে ২০২৪, ১২:৩৯

তপ্ত দুপুরে সূর্যের আলো তরমুজ খেতে পড়ে চিকচিক করছে। তরমুজের দিকে তাকাতেই চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে। খেতজুড়ে বাঁশের তৈরি মাচা। সেইসব মাচায় ঝুলে আছে ‘স্মাট বয়’ জাতের তরমুজ। একটি-দুটি নয়, শত শত তরমুজ। প্রথমবারের মতো এই তরমুজ চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জসিম উদ্দিন খান মুক্তা। তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে।

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের মশাখালী ইউনিয়নের কান্দি গ্রামের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন খান মুক্তা। পাশের গ্রাম প্রসাদপুরে নিজ জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। এই তরমুজের ভেতরে টকটকে লাল। স্বাদে মিষ্টি ও সুস্বাদু। গুণের অধিকারী এ তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছেন জসিম। এই তরমুজের ভেতরে টকটকে লাল।

প্রসাদপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সরাসরি খেত থেকে তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন কয়েকজন। একজন গাছ থেকে তরমুজ ছিড়ে দিচ্ছেন তাদের। খেতের মাচায় ঝুলছে তরমুজ। সবুজ পাতার মধ্যে যেদিকে চোখ গেছে, শুধু তরমুজ ঝুলতে দেখা গেছে। সেখানেই কথা হয় তরমুজ চাষি জসিম উদ্দিন খান মুক্তার সঙ্গে।

তিনি জানান, ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে বগুড়া থেকে ৮০০ বীজ সংগ্রহ করেন। এরপর সেখানে বেড তৈরি করে ওপরে বিছিয়ে দিয়েছেন মালচিং পেপার। এর ফাঁকে উৎপাদন করেছেন চারা। এরপর গফরগাঁও কৃষি বিভাগের পরামর্শে ও সার্বিক সহযোগিতায় তিনি চারা রোপণ করেন। এ পর্যন্ত জমি প্রস্তত, সার, বীজ, মাচা, সুতা ও জাল বাবদ তার খরচ হয়েছে অন্তত ৩০ হাজার টাকা।

উপজেলা কৃষি অফিসার রকিব আল রানা ও উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার রুহুল আমিনের পরামর্শ নিয়ে সব কাজ করেছেন তিনি। এতে তার উৎপাদন খরচ বেশ সাশ্রয় হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি তরমুজ বিক্রি করা শুরু করতে পারবেন বলে জানান।

জসিম উদ্দিন খান জানান, খরচ বাবদ দিয়ে অন্তত ৭০ হাজার টাকা লাভ হবে তার। এবারের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সামনের দিনে দ্বিগুণ জমিতে তরমুজ চাষের পরিকল্পনা রয়েছে তার।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাকিব আল রানা বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় এ বছর উপজেলায় প্রায় ১ একর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে কৃষক জসিম উদ্দিনকে তরমুজ প্রদর্শনী দেয়া হয়। তিনি ৩৩ শতাংশ জমিতে মাচায় তরমুজের আবাদ করেছেন। এখন তার খেতের তরমুজগুলো ৫ থেকে ৮ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়েছে। তরমুজের ভেতরের অংশে চমৎকার লাল রং ধারণ করেছে। স্মার্টবয় জাতের এ তরমুজ গফরগাঁও উপজেলায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বর্তমানে জসিম উদ্দিনের খেতের তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে।

স্থানীয় কৃষকরা তরমুজের ভালো ফলন দেখে ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তারা সামনের বছর এ জাতীয় তরমুজের আবাদ করবেন। উপজেলায় মাঠ পর্যায়ে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। কিভাবে তরমুজের আবাদ উপজেলায় বৃদ্ধি করা যায় এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিস সব সময় প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিবে ও কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করবে।

নয়া শতাব্দী/এনএইচ/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ