সাতক্ষীরার তালায় লাউ চাষ করে আশার আলো দেখছেন শাহিনুর গাজী। ফসলি জমির পাশে পতিত জমিতে লাউ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন তিনি। রাসায়নিক সার ও বিষমুক্ত হওয়ায় এই চাষির লাউয়ের চাহিদাও অনেক বেশি। শাহিনুরের সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই লাউ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
উপজেলার শাহাপুর গ্রামের ইমান আলী গাজীর ছেলে শাহিনুর গাজী। এবার তার লাউয়ের মাচায় সারি সারি ঝুলছে ছোট বড় বিভিন্ন আকারের লাউ। অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যায় লাউ চাষে লাভের মুখ দেখে আনন্দিত গোটা পরিবার।
সরেজমিনে শাহিনুরের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাড়ির পাশে পতিত ১০ শতক জমিতে লাউ চাষ করেছেন শাহিনুর। যেখানে উন্নত প্রজাতির লাউয়ের বীজ বপণ করেন। বাঁশের খুঁটিতে নাইলন সুতা আর জিআই তার ও পাটখড়ি দিয়ে উঁচু করে তৈরি করেছেন মাচা। বীজ বপণের দুই মাসের মধ্যে সারি সারি লাউয়ে মাচা ভরে ওঠে। চারা রোপণ, পরিচর্যা, জৈবসার, মাচা তৈরিসহ সব মিলিয়ে তার খরচ হয়েছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার মতো।
এরমধ্যে তিনি ১৫ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে এবার আরও ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার লাউ তিনি বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করেছেন শাহিনুর।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাড়ির উঠানে বা পতিত জমিতে যে লাউ চাষ করে বাড়তি উপার্জন করা সম্ভব তা শাহিনুর করে দেখালেন। লাউ চাষে তার সফলতা দেখে এলাকার আরও অনেকেই এ কাজে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
শাহিনুরের স্ত্রী হালিমা খাতুন বলেন, বেশিরভাগই এলাকার লোকজন বাড়িতে এসে লাউ কিনে নিয়ে যান। আর বাকিগুলো স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হয়। তাদের লাউ চাষে রাসায়নিক সার কিংবা বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়নি। সম্পূর্ণ জৈবসার ব্যবহার করে আর সযত্নে আবাদ করেছেন লাউ।
চাষি মো. শাহিনুর গাজী বলেন,ফসলের জমির পাশের পরিত্যক্ত জমিতে লাউ চাষ করেছি। গত দুই বছর লাউয়ের চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছি। এবার আরও বেশি লাউয়ের চাষ করেছি। আরও দুই মাস ধরে তিনি লাউ বিক্রি করতে পারবো। আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকূলে হওয়ায় ফলনও হয়েছে।
গড়ে প্রতিটি লাউ তিনি ২৫ থেকে ৩০ টাকা করে বিক্রি করছেন। এবছর তিনি অর্ধলাখ টাকা লাউ বিক্রি করে লাভবান হবেন বলে আশা করেছেন এ কৃষক।
এ লাউচাষি আরও বলেন, লাউ চাষের জন্যে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে কোনো সহযোগিতা পায়নি। তবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আরও বেশি ফসল উৎপাদন করতে পারবো।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ