দীর্ঘ সময় থেকে বাংলাদেশে সুই সুতার কাজ বা নকশি কাঁথার সুনাম রয়েছে। লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের নারীরা সুই-সূতোয় স্বপ্ন বুনছেন। ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় তারা বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজ করছেন।
দল বেঁধে নারীরা আশ্রয়ণ প্রকল্প সংলগ্ন মাঠে বসেই রঙিন সুতো কাপড়ে বুনে তৈরি করছেন নকশি কাঁথা, কেউ বা বাচ্চাদের জামা তৈরিতে ব্যস্ত। কেউ বানাচ্ছেন শপিং ব্যাগসহ বিভিন্ন পণ্য। তাদের এভাবে উৎপাদনমুখী বা স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার জন্য ব্যস্ত রয়েছেন রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. শারমিন ইসলাম।
রামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইছাপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের স্বাবলম্বী করতে ৪১ নারীকে দেওয়া হচ্ছে সেলাই প্রশিক্ষণ। কেউ ব্যাগ বানানো শিখছে, তো কেউ শিখছে নকশি কাঁথায় সেলাই করা, কেউ আবার সেলাই মেশিন চালিয়ে তৈরি করছেন বিভিন্ন পোশাক।
এই প্রশিক্ষণে যারা ভালো করবেন, তাদেরকে বিনামূল্যে দেওয়া হবে সরকারি সেলাই মেশিন। এ ছাড়া প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে তৈরি এসব পণ্য অনলাইনসহ বিভিন্ন দোকানপাটে বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
সংশপ্তক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণ কাজে রামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কাজ দেখতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. শারমিন ইসলাম।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ