ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আখের সঙ্গে সাথী ফসল, স্বপ্ন বুনছেন আড়িয়াল খাঁর চাষিরা

প্রকাশনার সময়: ০১ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৫

বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এক সময় ছিলো ধুধু বালুর চর। তবে কৃষকের স্বপ্নের ফসলে সেই চর এখন সবুজের সমাহার। মাদারীপুরের কালকিনির মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে আড়িয়াল খাঁ নদী। সেই নদীর চরে পূর্ব এনায়েত নগর ইউনিয়নের আলিপুরের কৃষকেরা এক সময় শুধু আখ চাষ করতেন। হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে বছরে এক ফসল চাষ করে তেমন লাভের মুখ দেখতেন না। তবে এখন আখের সঙ্গে সাথী ফসল চাষ করায় কৃষকের মুখে হাঁসি ফোটেছে।

এবছর উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে আখের সঙ্গে সাথী ফসলের চাষ শুরু করেছে চাষিরা। চরের বালুময় মাটিতে প্রধান ফসল আখের সাথে সাথী ফসল হিসাবে কেউ চাষ করেছে মসলা জাতীয় ফসল পেয়াজ, রসুন, মরিচ আবার কেউবা চষ করেছে ভুট্টা, মুসর, খেসারিসহ নানা জাতের ফসল। একই সময়ের মধ্যে এক খরচেই সাথী ফসলে লাভবান হচ্ছে চাষিরা। এতে তাদের মুখে হাঁসি ফোটে।

চরের কৃষক মোহাম্মাদ (৫০) সরদার বলেন, একসময় আমি জমিতে শুধু আখ চাষ কারতাম। তাতে আমার কোনো লাভ হতো না। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে আখের সাথে সাথী ফসল ভুট্টা ও মুসর চাষ করেছি। মুসর ঘরে তোলার সময় হয়েছে। আশা করি আমি এবার লাভবান হব।

একই এলাকার কৃষক ফজলু আকন যানান, দুই বিঘা জমিতে আখের সাথে সাথী ফসল হিসাবে মরিচ ভুট্টা চাষ করেছি। গত হাটে ২ হাজার টাকা দরে মরিচ বিক্রি করে বেশ লাভবান হয়েছে। মৌসুম শেষে দের থেকে দুই লাখ টাকা লাভ হবে আশা করি।

চরের আরেক কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, ১৯৮৮ সালের পরে এখানে শুধু বালুরচর ছিলো। কৃষি অফিসের পরামর্শে একই খরচে চার বিঘা জমিতে আখের সাথে সাথী ফসল হিসাবে লালশাক, পেঁয়াজ, রসুন, মুসরসহ নানান জাতের ফসল চাষ করেছি।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জোবায়েত হোসন বলেন, পূর্ব এনায়েত নগর এলাকায় এ বছর ৩৭ হেক্টর জমিতে আখের চাষ হয়েছে। আখের সাথে সাথী ফসল হিসাবে এই চরে মরিচ, ধনিয়া, পেঁয়াজ রসুন, ভুট্টা, মুসরসহ বিভিন্ন মসলা জাতীয় ফসল চাষ করার পরামর্শ দিয়েছি। এতে কৃষকরা লাভবান হবেন বলে আশা করি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, আগে এসব জমিত শুধু আখ চাষ হতো, কৃষি বিভাগের পরামর্শে এখন আখের সাথে সাথী ফসল হিসাবে খেসারি, মুসর, পেঁয়াজ, রসুন, ভুট্টা, মরিচসহ বিভিন্ন জাতীয় ফসল চাষবাদ হচ্ছে। এতে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে এলাকার মানুষ অত্যন্ত খুশি এবং আমরা এটা আরও সম্প্রসারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ