একই মাঠে পাশাপাশি দুটি খেতে সবুজ পাতার ভেতর থেকে উঁকি দিচ্ছে রঙিন ফুলকপি। বেগুনি রঙের ফুলকপির নাম ভ্যালেন্টিনা আর হলুদ রঙের নাম ক্যারোটিনা। প্রথমবার এই রঙিন ফুলকপি চাষে সফল হয়েছেন মো. মোশারফ হোসেন। এসব ফুলকপি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন উৎসুক জনতা
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার জন্মেজয় গ্রামের বাসিন্দা মো. মোশারফ হোসেন। সাদা রঙের ফুলকপির চেয়ে রঙিন ফুলকপির দাম বেশি হওয়ায় বেশ খুশি এই কৃষক।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, ‘বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের’ আওতায় চলতি বছর রঙিন ফুলকপি চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ প্রকল্প থেকে উপজেলায় একমাত্র চাষি হোসেনকে ১৫ শতাংশ জমিতে রঙিন ফুলকপির প্রদর্শনী দেওয়া হয়। প্রথমবারেই সফল হয়েছেন কৃষক মোশারফ।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মোশারফের খেতে গিয়ে দেখা গেছে, কিছুটা লম্বা সবুজ পাতার আড়ালে ফুটে আছে রঙিন ফুলকপি।
কৃষক মোশারফ হোসেনের বাবা শহীদ মিয়া জানান, কৃষি অফিস থেকে প্রদর্শনী দিয়ে রঙিন কপি চাষ করায় এই কপির বেশ ভালো ফলন হয়েছে। সাধারণ কপির চেয়ে দ্বিগুণের বেশি দাম পেয়েছেন।
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রুহুল আমিন ও হুমায়ুন কবীর বলেন, এবার রঙিন ফুলকপি চাষে মোশারফ হোসেন সফল হওয়ার পর অনেকেই এই কপি চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। রঙিন ফুলকপি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি ফলনও ভালো। একইসঙ্গে দামও ভালো পাচ্ছেন। এ দুটি জাতের সবচেয়ে বড়গুণ হচ্ছে এটাতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।
গফরগাঁও উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রকিব আল রানা বলেন, উপজেলায় প্রথমবারে ৩৩ শতাংশ জমিতে হলুদ, বেগুনি এবং সবুজ এই তিন রঙের ফুলকপি চাষ করা হয়েছে। সাদা ফুলকপির চেয়ে রঙিন ফুলকপির চাহিদা অনেক বেশি এবং পুষ্টিগুণও অনেক বেশি। এ বছর প্রচলিত ফুলকপির চেয়ে রঙিন কপি তিনগুণ বেশি দামে বিক্রি করতে পেরেছে কৃষকরা।
তিনি জানান, এসব ফুলকপিগুলোতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট অনেক বেশি থাকে। এ ছাড়াও পরিমাণে ক্যারোটিনা, অ্যান্তোসাইরিন নামে এক ধরনের ভিটামিন থাকে, যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক দরকারি। রঙিন ফুলকপিতে ভিটামিন-এ থেকে শুরু করে বি-১, বি-২ এ রয়েছে। ব্যাপক চাহিদা থাকায় আমরা এই রঙিন ফুলকপির সম্প্রসারণে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।
নয়া শতাব্দী/টিএ/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ