ঢাকা, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫

রঙিন মাছ চাষে সফল ঠাকুরগাঁওয়ের তাজুল

প্রকাশনার সময়: ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৯

ভীষণ ব্যস্ত জীবন ব্যবস্থায় এক পলকের জন্য চোখ আটকে যায় বাহারি রঙ বেরঙের অ্যাকুরিয়ামের ওপর। ক্রমশ এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। ঘরের মধ্যে কাচের শিট দিয়ে ঘেরা এক কৃত্রিম জলাধার শোভাবর্ধক হয়ে মানুষের মন কাড়ে। বাড়তি আয় করার চিন্তা থেকে বাড়ির আঙিনায় এমন নানা রঙের রঙিন মাছ চাষে সফল হয়েছেন তাজুল ইসলাম।

ঠাকুরগাঁওয়ে দিন দিন বাড়ছে বাণিজ্যিকভাবে রঙিন মাছের চাষ। বাড়ির আঙিনা কিংবা ছাদে বিভিন্ন প্রজাতির বাহারি রঙের মাছ চাষ করে প্রতিমাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করছেন উদ্যোক্তারা। চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করার চিন্তা থেকে রঙিন মাছ চাষে পাচ্ছেন ব্যাপক সফলতা। এমন সফলতায় বিদেশি জাতের এ মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন জেলার অনেকে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর গ্রামের বাসিন্দা তাজুল ইসলাম রানা। পেশায় একজন মাদরাসার শিক্ষক হলেও স্বপ্ন ছিল উদ্যোক্তা হবার। ২০১৮ সালে টেলিভিশনে রঙিন মাছ চাষের প্রোগ্রাম দেখে আগ্রহ জন্মায় তার। পরে অবসর সময়কে কাজে লাগানো ও বাড়তি আয়ের আশায় বাড়ির আঙিনার পাশে শুরু করেন চাষ। বাজারে চাহিদা থাকায় বছর ঘুরতে না ঘুরতে সফলতার মুখ দেখেন তিনি। শুরুর দিকে পরিবারের সদস্যরা দ্বিমত হলেও এখন তারাই সহযোগিতা করছেন।

তার খামারে গাপ্পি, গোল্ড ফিশ, কমেট, কই কার্ভ, ওরেন্টা গোল্ড, সিল্কি কই, মলি, গাপটিসহ ১৫ প্রজাতির রঙিন মাছ আছে। মাসে ৫০০ টাকার খাবার খরচ হয় তার। খামার থেকে পাইকারি দরে মাছ বিক্রির পাশাপাশি বিক্রি করা হয় খুচরা দরে।

জেলা মৎস্য অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, জেলায় বিদেশি জাতের রঙিন মাছ চাষ করেন ২০ জন উদ্যোক্তা। ইতিমধ্যে এ মাছ চাষে সফলও হয়েছেন অনেকে। আর ক্রমশ বাড়ছে এ মাছ চাষের প্রবণতা।

রঙিন মাছের খামার দেখতে আসা সাদেকুল ইসলাম বলেন, আমার অনেক দিনের শখ এসব মাছ চাষ করা। এসে দেখলাম খুব ভালো লাগলো। ভাইয়ের কাছে পরামর্শ নিয়ে আমি শুরু করব।

সফল রঙিন মাছ চাষি তাজুল ইসলাম বলেন, টেলিভিশনে রঙিন মাছ চাষের অনুষ্ঠান দেখে আমি মুগ্ধ হই। পরে পরিবারের সাথে কথা বললে কেউ সহযোগিতা করেননি। নিজের প্রচেষ্টা আর পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে সফলতার মুখ দেখেছি। তবে মৎস্য অফিস থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাই নাই। যদি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও মৎস্য অফিসের সহযোগিতা পাই তাহলে আরো বড় পরিসরে চাষ বাড়াব।

ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ খালিদুজ্জামান বলেন, জেলায় রঙিন মাছ চাষির সংখ্যা বেড়ে চলছে। তবে এখনো পর্যন্ত তাদের কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি। চাষিদের সাথে থেকে খুব দ্রুত প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ