ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নান্দাইলে মুলা চাষ করে লাভবান আফাজ উদ্দিন

প্রকাশনার সময়: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৫৬

সবজি আর সালাদ হিসেবে মুলা সবার কাছে অত্যন্ত প্রিয়। খরচ কম, লাভ বেশি তাই কৃষক মুলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এবার মুলা চাষ করে লাভবান কৃষক আফাজ উদ্দিন। ৩ হাজার টাকা খরচে ইতিমধ্যে ১৫ হাজার টাকার মুলা বিক্রি করেছেন এই কৃষক।

ময়মনসিংহের নান্দাইলে বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের বীরকামট খালী গ্রামের কৃষক আফাজ উদ্দিন ৮ শতাংশ জমিতে সিড বারি-৪ জাতের মুলা চাষ করেছেন। ৩ হাজার টাকা খরচে ইতিমধ্যে তিনি ১৫ হাজার টাকার মুলা বিক্রি করেছেন। আরো প্রায় ১০ হাজার টাকার মুলা বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।

মুলার আকার অনুযায়ী, প্রতি হালি মুলা ৬০ টাকা, ৪০ টাকা এবং ২৫ টাকা হালি দরে বিক্রি করছেন।

কৃষক আফাজের মুলা চাষ দেখে অন্যরাও মুলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। পাশাপাশি তিনি অন্যদের মুলা চাষে উৎসাহ দিয়ে আসছেন।

মুলা চাষের জন্য নান্দাইলের আবহাওয়া, মাটি উপযোগী হওয়ায় ফলনও হচ্ছে বেশ। উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে মুলা চাষ করেছেন কৃষক। বাজারে দাম ভালো আর চাহিদা থাকায় অল্প পরিশ্রমের এ ফসলটি চাষ করে কৃষক স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

সরেজমিন আফাজের মুলা খেতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি মূলার আকৃতি অনেক বড়। মনেহয় যেন মাটির নিচ থেকে সাদা রঙয়ের গুপ্তধন বেরিয়ে এসেছে। বাজারে বিক্রির জন্য তিনি মুলা তুলছেন। তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে রোমান মিয়া তার কাজে সাহায্য করছেন।

বীরকামট খালী গ্রামের শাহেদ আলী ২০ শতাংশ, চরকামট খালী গ্রামের আক্কাস আলী ১০ শতাংশ জমিতে মুলা চাষ করেছেন। শাহেদ আলী বলেন, আমার খেতে প্রচুর মুলা হয়েছে।

কৃষক আফাজ উদ্দিন বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও ৮ শতাংশ জমিতে মুলা চাষ করছি। এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার টাকার মুলা বিক্রি করছি। অনেক ভালো ফলন হয়েছে। খেতে থেকে পাইকাররা আইয়া কিনে লইয়া যায়। বাজারেও নিয়া বেচি।

মুলা খেতে একবার ইউরিয়া সার ও পানি দিয়েছিলেন। এর বেশি আর কিছু তিনি ব্যবহার করেননি বলে জানান তিনি।

উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক জানান, এলাকার কৃষক মুলা চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। মুলা চাষে কোনো প্রকার বালাই নাশকের প্রয়োজন হয় না।

নান্দাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, উপজেলায় দিন দিন মুলা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবার মুলার ভালো ফলন ও দাম পেয়ে খুশি কৃষক। তাছাড়া মুলাসহ কিটনাশকমুক্ত বিভিন্ন সবজি চাষ করার জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃকদের মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ