নির্বাচনের মাঠ সরগরম করে প্রচারণার নানা উপকরণ। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে ঠাকুরগাঁওয়ের সাউন্ড সিস্টেম ও ছাপাখানাগুলো মালিকেরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ ও ঝামেলা এড়াতে করা হচ্ছে মেরামত। আর দরকারি সরঞ্জাম, কাগজ-কালি ও মৌসুমী শ্রমিক মজুদের প্রস্তুতি চলছে তাদের। তবে প্রার্থীরা বাইরে থেকে কাজ না করিয়ে স্থানীয়ভাবে কাজ করালে এ শিল্প আরো এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা মালিকদের।
ছন্দে ছন্দে আর প্রার্থীর গুণগানে মুখরিত হয়ে নির্বাচনী মাঠে চলে প্রচারণার মহাযজ্ঞ। নির্বাচনে প্রচারণা ভোটের মাঠকে সরগরম করে তোলে। সেই সাথে তৈরি করে ভোটের মাঠে উৎসবের আমেজ। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে জাতীয় নির্বাচনের মাইকিং, পোস্টারিং সহ নানাভাবে ও নানা সাজে নির্বাচনী প্রচারণা। নির্বাচনী মাঠকে চাঙা রাখতে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে ঠাকুরগাঁওয়ের মাইক সাউন্ড-সিস্টেম ও ছাপাখানাগুলো মালিকেরা।
মাইক ব্যবসায়ী ও ছাপাখানাগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার প্রস্তুতি হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে নতুন মেশিন ও সরঞ্জামাদি। কাজের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এমন সরঞ্জামাদি করা হচ্ছে মেরামত। অলিতে-গলিতে নির্বাচনের হাওয়া পৌঁছে দিতে বিভিন্ন ধরনের ও আকারের মাইক নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। আর দরকারি কাগজ ও কালি নিয়ে মজুদ ছাপাখানাগুলো। আবার অনেকে তৈরি করে ফেলেছেন পোস্টারের ডিজাইন, অপেক্ষা শুধু বের হওয়ার।
তবে পরিবহন খরচ বাড়ার পর থেকে বেড়েছে সাউন্ড সিস্টেম ও ছাপাখানার খরচ। গত দেড় বছরে সব কিছুর দাম বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। তাই এবারে নির্বাচনী প্রচারণায় বাড়বে খরচ। তবুও ভালো ব্যবসা করার আশাবাদী মালিকেরা।
জেলায় মোট ৩০টি ছাপাখানা ও ১৪৫ টি মাইকিং সাউন্ড-সিস্টেমের দোকান রয়েছে। সকলে নির্বাচনকে ঘিরে নিয়ে রেখেছেন আগাম প্রস্তুতি।
তবে অতীতের ব্যবসার শিক্ষায় হতাশ ছাপাখানার মালিকেরা। স্থানীয় ভাবে প্রিন্ট না করার কারণে পড়ছে মন্দা প্রভাব। শিল্পকে ধরে রাখতে এবারে প্রার্থীদের স্থানীয় ভাবে প্রিন্ট করবার আহবান সকলের।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেদিনই শুরু হয় নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। যা চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। এবারে ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ টি সংসদীয় আসনে ৪১৭ টি ভোটকেন্দ্রে ১১ লাখ ৪৫ হাজার ৬০৪ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
পূর্বাশা অফসেট কালার প্রেসের স্বত্বাধিকারী তুষার বলেন, ভোটের মাঠের প্রচারণার জন্য পোস্টার, লিফলেট তৈরির জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়ভাবে যদি প্রার্থীরা কাজটা করে তবে আমাদের এ শিল্পকে ধরে রাখতে আরো সহজ হবে।
ঠাকুরগাঁও জেলা মাইক ও সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে আমাদের মাইকিং ও সাউন্ড সিস্টেমগুলোতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত মূল্য আমরা নির্ধারণ করেছি। আশা করছি ভালো ব্যবসা করতে পারব।
ঠাকুরগাঁও প্রেস মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদের কাজগুলো পেলেও সংসদ নির্বাচনের কাজগুলো পাই না। অনেক আশা থাকলে ক্ষতির মুখে পড়তে হয় ব্যবসায়ীদের। স্থানীয় ছাপাখানাগুলোতে ছাপালে এ শিল্পকে ধরে রাখা সম্ভব ও আরো মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ