ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

উলিপুরে আগাম জাতের কপি চাষে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চাষিদের

প্রকাশনার সময়: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:২২ | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:৩৪

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ফুলকপি ও বাঁধাকপির বাম্পার ফলনের আশায় প্রান্তিক চাষিরা আগাম জাতের কপি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফলন বেশি হওয়ায় বিশেষ পদ্ধতিতে রোপণ করা আগাম জাতের এ বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে। অল্প খরচে বেশি লাভের আশা করছেন চাষিরা।

শীতের শুরুতে চাষিরা লাভের আশায় এসব আগম জাতের ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ শুরু করেন। এরই মধ্যে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন তারা। নানামুখী ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তারা ফুলকপি ও বাঁধাকপির চারা পরিচর্যায় মনোযোগী হয়েছেন তারা। সফলতার লক্ষ্যে পৌঁছাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারে উপজেলায় ১টি পৌরসভাসহ ১৩টি ইউনিয়নে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৫০ হেক্টর জমি। তার মধ্যে ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষ ও রয়েছে। কৃষি অফিস থেকে কপি চাষিদের বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই পোকামাকড় নিধন সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে কপি চাষিরা অনেক লাভবান হবেন বলে জানান তারা।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমে কোনো জমি আর পতিত নেই। বিস্তীর্ণ জমিতে এখন শোভা পাচ্ছে সবুজের সমারোহ। চাষিরা আগাম ধান কেটে আগাম জাতের কপি রোপণ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আর রোগ বালাই না হলে এবার কপির বাম্পার ফলন হবে। কপি চাষে দ্বিগুণ লাভের আশা করছেন চাষিরা। আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই স্বপ্নের ফসল ফুলকপি ও বাঁধাকপি ব্যাপক হারে বিক্রি করতে পারবেন চাষিরা। কোনো কোনো চাষির নিজস্ব জমি না থাকলেও তারা অন্যের জমি লিজ (কন্ট্রাক) নিয়ে আগাম হাইব্রিড জাতের ফুলকপি-বাঁধাকপি চাষ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দলদলিয়া গ্রামের কপি চাষি কামরুল ইসলাম জানান, আগাম জাতের ৩ হাজার ২শ টি কপির চারা লাগিয়েছেন ২০ শতক জমিতে। এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকা। কপির ফলন হওয়া পর্যন্ত আরও খরচ হবে প্রায় ৮ হাজার টাকা। মোট খরচ হবে প্রায় ১৬ হাজার টাকা। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে আর পোকামাকড়ের আক্রমণ না হলে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা আয়ের আশা করছেন। তিনি আরও বলেন, অল্প সময়ে অল্প খরচে দ্বিগুণ লাভ করা সম্ভব শীতকালীন এ সবজি চাষে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কপি চাষি সাখাওয়াত আলী, বকুল মিয়া, কুদ্দুস মিয়া, জয়নাল আবেদিন, রিয়াজুল ইসলাম, নুর আলম সিদ্দিক ও নুরনবীসহ আরও অনেকে জানান, আগাম জাতের কপি চাষে দ্বিগুণ লাভ করা যায়। বাজারে অনেক চাহিদা থাকায় দামও ভালো পাওয়া যায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মো. মোশারফ হোসেন বলেন, বর্তমান বাজারে কপির অনেক চাহিদা রয়েছে দামও ভালো রয়েছে। আগাম জাতের কপি চাষিদের উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই পোকামাকড় নিধন সম্পর্কে পরামর্শ দেয়া অব্যাহত রয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ