ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

হাজারো পাখির বন্ধু জয়ন্ত

প্রকাশনার সময়: ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:০৩ | আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:০৬

প্রায় দুই যুগ ধরে হাজারো পাখির বন্ধু হোটেল মালিক জয়ন্ত। শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবে দেখলে যে কেউ বিস্মিত হবে। খাবার দেওয়ার সাথে সাথে এ গাছ ও ছাদ থেকে সবাই চলে আসে উড়ে। এমনই ভিন্ন রকমের ভালোবাসা দেখে পথিকও থমকে দাঁড়িয়ে যায়। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ব্যস্ততম গাড়াগঞ্জ বাজারের এমন দৃশ্য দেখা মিলে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই পাখিগুলোর অপেক্ষা কখন আসবে তাদের বন্ধু। উপজেলার গাড়াগঞ্জে অবস্থিত ঘোষ সুইটস এর মালিক মিলন ঘোষের ছেলে জয়ন্ত ঘোষ এসেই খাবার দেওয়া শুরু করেন। যেখানে একটি কাক-পক্ষিও ছিল না। হঠাৎ করে নেমে আসতে শুরু করে হাজারো পাখি। কিচিরমিচির শব্দে যুদ্ধ শুরু হয় খাবার খাওয়ার। এ ঘটনা চলতে থাকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী। হাজারো গাঙ শালিক এক সাথে নেমে পড়ে।

রাতে হোটেলের অবশিষ্ট রুটি, পরোটা ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিলেই চলে খাওয়ার মহোৎসব। সাধারণ মানুষও চলতি পথে এমন দৃশ্য দেখে না থেমে পারেন না। তারাও উপভোগ করতে থাকেন এ বিরল দৃশ্য। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কোথায় যেন হারিয়ে যায় গাঙ শালিকের দল।

এলাকার বাসিন্দা সম্রাট হোসেন জানান, এমন দৃশ্য আমরা খুব কমই দেখতে পাই। পাখির প্রতি মানুষের এমন বিরল ভালোবাসা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। অত্যন্ত ব্যস্ততম এ বাজারে মানুষের কোলাহলের সাথে পাখির এমন বন্ধুত্ব সবাইকে অবাক করে।

এলাকার বৃদ্ধ কিরামত আলী জানান, এ ঘটনা প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় ধরে দেখে আসছি। আমরা অবাক হয়ে যাই, পাখির প্রতি মানুষের এমন বিরল ভালোবাসা দেখে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ওরা হারিয়ে যায়। তবে ভোর হলেই চলে মিলন মেলা।

শৈলকুপা গাড়াগঞ্জ বাজারের ঘোষ সুইটসের স্বত্ত্বাধিকারী জয়ন্ত ঘোষ জানান, আমার বাবা-চাচারা ২০ বছরের বেশি সময় এসব পাখির খেদমত করে আসছে। এখন আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। একসময় পাখি কম আসলেও এখন দিনের পর দিন পাখির সংখ্যা বাড়ছে। হাজারো পাখির মিলন মেলা দেখতে ভালোই লাগে।

নয়া শতাব্দী/এসএ/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ