বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে চিংড়াখালী ইউনিয়নে দাউরা খালের ওপর চারদশক আগে নির্মিত ভাঙ্গাচোরা আয়রন সাঁকোটি কয়েকটি গ্রামের ৮-১০ হাজার মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা। তবে সেতুটি সিডরে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় চাঁদা তোলে সুপারি গাছ দিয়ে কোনোমতে পারাপার উপযোগী করে রেখেছে এলাকাবাসী। এতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও বয়োবৃদ্ধরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আয়রন সেতুটি দিয়ে কয়েক গ্রামের ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষের চলাচল করে। তবে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বরের সিডরে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পারাপারের অনুপোযোগী হয়ে পড়লেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এ নিয়ে কোনো তৎপরতা নেই। পরে স্থানীয়রা চাঁদার টাকায় সুপারি গাছ দিয়ে কোনোমতে পারাপারে উপযোগী করে।

বর্তমান সরকারের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক পরিবর্তন হলেও চণ্ডিপুর গ্রামের ৬ হাজার মানুষ এবং একপারে থাকা কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের কোনো সমাধান হয়নি।

শুধু রশি টানাটানি ও কাগজ চালাচালি ছাড়া একাধিকবার আবেদন করেও একটি কালভার্ট বা ব্রিজের অদ্যবধি সুরাহা হয়নি। প্রতি বছরেই স্থানীয়দের আর্থিক সহায়তায় মেরামত করা হয় সাঁকোটি। বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। শিশু শিক্ষার্থী ও বৃদ্ধদের বিকল্প নৌকায় করে পার করতে হয়। হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা যায় না। এ সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে ইতিপূর্বে একজনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।

এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি সাঁকোটির স্থানে জরুরি ভিত্তিতে একটি টেকশই ব্রিজ নির্মাণের। এতে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপারের হাত থেকে রক্ষা পাবে এলাকাবাসী।

জনপ্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য না দেওয়ার জন্য কৌশলে এড়িয়ে যান। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আক্কাস আলী বুলুকে কয়েকবার ইউনিয়ন পরিষদে খুঁজেও পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে এলজিইডি বাগেরহাটের প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফুজ্জামান জানান, অতিদ্রুত অর্থ সংস্থানের মাধ্যমে ব্রিজটি নির্মাণ করা হবে।

নয়া শতাব্দী/এসআর