ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

অসময়ে টমেটো চাষে আব্দুল লতিফের বাজিমাত

প্রকাশনার সময়: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৪৬ | আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫৩

ভোলার লালমোহনে এ বছর নিজ বাড়ির আঙিনায় ১০ শতাংশ জমিতে অমৌসুমে টমেটো চাষ করেন আবদুল লতিফ। চাকরির পাশাপাশি টমেটো চাষে সফলতা পেয়েছেন তিনি। আব্দুল লতিফের দেখাদেখি চাষাবাদে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় অনেকেই।

আব্দুল লতিফ ফুলবাগিচা উপজেলার মোজাফ্ফর পন্ডিত বাড়ির বাসিন্দা। তিনি লালমোহন ইউনিয়নের ফুলবাগিচা পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কৃষি অফিস থেকে আবদুল লতিফকে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের জন্য প্রদর্শনী দেওয়া হয়। যার মাধ্যমে এ টমেটো চাষ শুরু করেন। এ জন্য উপজেলা কৃষি অফিস থেকে দেওয়া হয় বীজ। এ বীজ রোপণের এক মাসের মধ্যে চারা গজায়। বাড়ির আঙিনার ১০ শতাংশ জমিতে মালচিং পেপার দিয়ে বেডে ওই চারা রোপণ করি। রোপণের তিন মাসের মধ্যেই গাছে ফল আসতে শুরু করে। এখন গাছগুলোতে থোকায় থোকায় ঝুলছে টমেটো।

আব্দুল লতিফ জানান, সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম থেকে স্থানীয় বাজারে টমেটো বিক্রি শুরু করি। এ টমেটো অমৌসুমে হওয়ায় বাজারে দামও ভালো। এরই মধ্যে ৫ হাজার টাকার বিক্রি করেছি। প্রতি কেজি টমেটো ১২০ থেকে ১৪০ টাকা মূল্যে বিক্রি করছি। আশা করছি খেত থেকে অর্ধলাখ টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারব। এর পিছনে আমার খরচ হয়েছে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা। টমেটো চাষে পরিশ্রমও অনেক কম হয়েছে। অবসর সময়ে টমেটো গাছগুলোর নিজেই পরিচর্যা করছি।

স্থানীয় মো. মিজানুর রহমান বলেন, আব্দুল লতিফ পোস্ট অফিসে চাকরির পাশাপাশি বিভিন্ন সময় নানা ধরনের চাষাবাদ করেন। তাতে তিনি সফলও হচ্ছেন। তার দেখাদেখি আমি নিজেও চাষাবাদ করে সফলতা পাচ্ছি। এ ছাড়া স্থানীয় অনেকে পোস্ট মাস্টার আব্দুল লতিফের দেখাদেখি চাষাবাদে আগ্রহী হচ্ছেন।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অসীম চন্দ্র মজুমদার জানান, আব্দুল লতিফ কৃষি চাষাবাদে ব্যাপক আগ্রহী। গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে আগ্রহ প্রকাশ করায় তাকে বিনামূল্যে বারি হাইব্রিড টমেটো-১১ জাতের বীজ, সার ও গাছের শক্তি বৃদ্ধির জন্য হরমোন দেওয়া হয়েছে। টমেটো চাষ করে সফলতাও পেয়েছেন। এ ছাড়া তার যে কোনো প্রয়োজনে কৃষি অফিসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। আমরা তাকে সব সময় প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিচ্ছি।

তিনি আরও জানান, অমৌসুমে যেকোনো কৃষি পণ্যের বাজার মূল্য ভালো থাকে। তাই কেউ যদি এই অফ-সিজনে নতুন কোনো ধরনের ফসল চাষাবাদে আগ্রহী হয়, তাহলে উপজেলা কৃষি অফিস সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে পাশে থাকবে।

নয়া শতাব্দী/এসএ/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ